"গাঙের পারের হিজল গাছ ফুইট্যা রইছে ডালে,
দু:খের কথা কইও মোর বন্ধুর নাগাল পা'লে
সাক্ষী হইও নদী নালা আর পশু পাখী,
অভাগী সুনাইয়া দিল কাল-বিধাতা ফাঁকি।
সত্য যুগের বায়ু সাক্ষী আর তো সাক্ষী নাই,
বন্ধুরে কইও তোমার মরেছে সুনাই।
বাংলার বাউল বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মের লোক নিয়ে গঠিত। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক নিয়ে গঠিত হলেও মধ্যযুগের অন্যান্য সাধক সম্প্রদায়ের মতো এরা প্রত্যক্ষ সমাজ-সম্পর্কের বাইরে। তাদের নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। কোনরূপ সামাজিক দায় দায়িত্ব বা বন্ধনের ধারেকাছেও এর ঘেঁষে না। বিবাহ-শাদি করেও এরা সংসারধর্মে মন দিতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই নেমে পড়েছে এ-সাধনমার্গের বিদিশার অন্ধকারে।
বাউলরা কোন জাতিবিচার মানেনি। কোন বিধিবদ্ধ সমাজব্যবস্থার আওতায় তারা থাকতে চায়টি। কে হিন্দু, কে মুসলমান এ নিয়ে কোন কলহও দেখা দেয়নি তাদের মধ্যে। শাস্ত্রের অনুশাসন তারা প্রত্যাখান করেছে একটি সুন্দর জীবনবোধের জন্য।
"তাই তো বাউল হৈনু ভাই
এখন বেদের ভেদ বিভেদের
আর তো দাবী দাওয়া নাই।"
কি দোষ এ সহজ সরল মানুষগুলির।কার কাছে এঁরা বিচারের জন্যে যাবে? রাজবাড়ীতে বাউল-ফকিরদের ওপর সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী করছি।
রাজবাড়ীতে বাউল-ফকিরদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত- ও দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে লেখক-শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীদের ফোরাম সংস্কৃতি মঞ্চ।
আগামীকাল ১২.৪.২০১১ ,মঙ্গলবার, বিকাল ৪টায়, শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কৃতি মঞ্চ-র এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও নবীন-প্রবীন সংস্কৃতিকর্মীরা যোগ দেবেন। সংবেদনশীল সকলকে এই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহবান জানিয়েছে সংস্কৃতি মঞ্চ।
তথ্যসূত্র:
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২২