somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছহীহ আক্কিদার ভাইগণের পরিচয়------( পোষ্ট মর্টেম)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনলাইনে অফলাইনে ছহীহ আক্কিদার প্রচার প্রসারে যারা কাজ করে অন্যদের মত তাদেরও অনেক ভাগ আছে। আমার অবজারবেশনে মোটামুটি দু'ভাগের পরিচয় উল্লেখ করলাম।

ক. মাদখালিঃ এরা সৌদি আরব এর প্রখ্যাত আলেম রাবে আল মাদখালীর অনুসারি। সেভাবে উনাকে অনুস্বরণ না করলেও সিক্রেট ওয়ান্টেড গ্রুপ যে 'ইসলাম' বিশ্ব ব্যাপি স্প্রেড করার ইচ্ছা পোষণ করে মোটা মুটি ঘুরে ফিরে এরা ঐ দলেরই ফেরকা বন্দি হয়ে কাজ করে যায়। এটা এভাবে নয় যে তারা সবাই রিক্রট। বরং এমন একটা আইডোলজি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রিলেটেড গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করে পাবলিশ করে যা ঐ শ্রেণীর পাঠকগণ নিজ থেকেই পড়ে পড়ে তার অজান্তেই ঐ দলভুক্ত হয়ে পড়ে।

উদ্দেশ্যঃ সৌদি রাজতন্ত্র এর মূলে। আর সৌদি রাজতন্ত্র কোন ক্রমেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোন কাজ করে না। ইসলামের উৎপত্তি যেহেতু মক্কা মদীনায় তাই তাবত পৃথিবীর মুসলিমদের সিম্পেথি কাজে লাগানোর জন্য একটি 'র‌্যান্ড ইসলাম' যেটি প্রাকটিস করলে সকল মুসলিমই স্বাভাবিকভাবে উনাদের অনুগত থাকবে সেই ইসলাম প্রচার প্রসারে কাজে লাগিয়ে রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখাই উনাদের কাজ।
আর এ এজেণ্ডা বাস্তবায়নে তারা পেট্রোডলার কাজে লাগিয়ে একদল 'উলামা' (?) কাজে লাগায়। জন্মগত মাযহাব বিরোধী মনোভাব সম্পন্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যক্তিদের যারা প্রচলিত মাদরাসায় পড়ে আলেম হয় তাদের মদীনা ইউনিভার্সিটিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান করে 'দাঈ' উপাধি দিয়ে মাঠে নামায়। ব্রেন ওয়াশড এই মাদানীগণ পৃথিবীতে এবার তাদের সাপোর্টার বানাতে হরদম 'দাওয়াতি' কাজ করে যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের সালাফি বা আহলে হাদীস নামধারী উগ্র মাযহাব বিরোধী গোষ্ঠিকে কাজে লাগায়। তাদের সিজোফ্রবোনিয়া বেশ কাজে লাগে তাদের মাদখালি আদর্শে প্রতারিত করতে।

দুনিয়া ব্যপি এই চক্রটি একটি সম্মিলিত পাপেট শ্রেণী। রাজতন্ত্রের গলা টিপে ধরতে পারে একমাত্র খেলাফতকামী মুসলিম যুবকগণ। আর মুসলিম যুবকদের পবিত্র জিহাদ বিমুখ জীবন তৈরীতে পেইড উলামাগণ বিভিন্ন মসজিদ দাওযাতি সেন্টার অনলাইনে ওৎ পেতে থাকে যেন তারা শান্তিবাদী ! মূলত সংগ্রাম বিমুখ মুসলিম হিসেবে বেড়ে উঠে। কারণ এ যুবক শ্রেণীটিই প্রিন্সদের ভয়ের কারণ। এরা সংগ্রামি হলে তো গলা টিপে ধরবে।

শুধু তাই নয়-- এ পথে কাজ না হলে তাদের জন্য সেটেলাইট ব্যবহার করে চরিত্র ধ্বংস করার সব আয়োজন সৌদি রাজতন্ত্র ঘরে ঘরে করে দিয়েছে। ডিশ এন্টিনার মাধ্যমে ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্রে গা ভাসিয়ে দেয়া যুব শ্রেণী সেই ষড়যন্ত্রের বিষফল। এদেরকেই মাদখালী বলে। পৃথিবীতে এদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে তাদেরকে এরা 'খারেজী' চিহিৃত করে থাকে। যেহেতু খারেজি বিষয়ক হাদীসে যুবক ও আমলী লোকদের আলোচনা আছে সেগুলোকে অপব্যাখ্যা করে রাজ তন্ত্র বিরোধীদের ঘারে চাপিয়ে দেয়। আর নিজ দেশের হক্কানী আলেমদের গুম করার ইতিহাস বড়ই নির্মম!! এভাবে কুফফার বিশ্বের ইচ্ছা মত তাদের এডিটেড ইসলাম জিইয়ে রেখেছে। ফলে এই দল পৃথিবীর অন্য সকল কুফফারের সহযোগী হয়ে কাজ করছে।
(পোষ্ট বড় হবে তাই আর নয়।)

খ.জিহাদী
এ শ্রেণীটির নির্দিষ্ট কোন দল নেই। ইসলামে আকৃষ্ট মুসলিমদের মধ্য থেকে এবং অমুসলিমদের মধ্য থেকে নব মুসলিমগণ যারা ইসলামকে কোন বৃত্তের মধ্য থেকে দেখে না তারা সত্যান্বেষী হয়ে এক পর্যায় ইসলামের মূলে চলে যায়। রাসুল সা.এর রেখে যাওয়া মূলে গিয়ে খুঁজে নেয় নির্মল এক জীবন ব্যবস্থা। আক্কীদা গুলো কোন প্রভাবান্বিত হয় না। এরপর তারা দ্বীন বুঝে খুজতে থাকে একটি প্লাটফর্ম। আস্তে আস্তে পেয়েও যায়। এভাবে গড়ে উঠেছে এই শ্রেণীটি। যারা নিজেদের গুরাবা বলে মনে করে। সারা পৃথিবীর নজর এখন তাদের দিকে। একবার এই ছহীহ বুঝ আসলে জীবনকে তারা বিক্রি করে দেয় জান্নাতের বিনিময়ে।

ফুল সহ্যাকে তাঁরা পায়ে পিষে ছুটে যায় জান্নাতের রাস্তায়। কিন্তু ভাগ্যে জোটে বিভিন্ন সমালোচনা। ঠিক রাসুল সা. যেভাবে হয়েছিলেন সমালোচিত তদানিন্তত জাহেলদের নিকট।

এদের কারো কপালে পেট্রো ডলারের টাকা দিয়ে ফাষ্ট ফুডের ঘ্রাণ জুটেনি। বার্গার আর পিৎজার নাম নেবার সময় হয়নি। একপাহাড় থেকে ছুটে চলেছে আরেক পাহাড়ে। ড্রোন অথবা বোমার আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাওয়া লাশ পর্যন্ত খুজে পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর সকল শক্তি এদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য একমঞ্চে এসে জোট বেধেছে। কিন্তু পারেনি। পারবেও না। কারণ এরা কোনদিন ডলারের ঘ্রাণ নিতে ওখানে যায়নি।

এই আকীদার লোকেরা পৃথিবীর এক দিকে আর গোটা বিশ্ব শক্তি অন্য দিকে। পরিচয় এখন এদুটিই। যুদ্ধ চলছে সেই আকীদা প্রতিষ্ঠার। ক্রমশই জটিল হচ্ছে গ্লোবাল পলিটিক্স। অস্থিতিশীল বিশ্ব কোন দিকে মুক্তি খুঁজবে? ন্যাটো, জাতিসংঘের নেতৃত্বে যে বিশ্বাসকে ধ্বংস করার নীল নক্সা অঙ্কন করা হয়ে ধ্বংসের বারুদ ব্যবহার হচ্ছে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। এবং বিজয় তাদেরই হবে ইনশা আল্লাহ। নাছরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারীব..
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×