somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের সি ই সি বনাম ছি:...ছি কিভাবে হইলেন?

০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা এমন এক ময়লা যে, শত ধোয়ায়ও তার কলঙ্ক-কালিমা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলো কী বুঝতে পারছে, জানি না। আমরা যারা সাধারণ পাবলিক তাদের কাছে এ কথা আর অস্পষ্ট নেই যে, এ রকম একচোখা সিইসি’র অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন একেবারেই অসম্ভব।
আমি দুই টাকার বাস কিংবা কাউন্টার সার্ভিসের বাসে চলাফেরা করি। এসব বাসে যারা যাতায়াত করেন তারা আমার মতোই অতি সাধারণ পাবলিক। খেটে খাওয়া মানুষ। তারা কথা বলতে সতর্কতা অবলম্বন করেন না। তারা সিইসি ড. হুদাকে ছি: ছি: বলে সম্বোধন করেন। প্রথম থেকে তিনি যেসব কথা বলে আসছেন তাতে এমন একটি সাংবিধানিক পদ ছেড়ে, আত্মমর্যাদাশীল মানুষ হলে বহু আগেই তার বিদায় নেয়া উচিত ছিল। রবীন্দ্রনাথ তার এক কবিতায় লিখেছেন, ‘তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি।’ সিইসি সাহেব পতাকা পেয়েছেন বটে, কিন্তু সম্ভবত মহান আল্লাহতায়ালা তাকে সেটা বহন করার শক্তি দেননি।
দায়িত্ব গ্রহণের একেবারে শুরু থেকে তিনি যেসব কথা বলে আসছেন, তার অনেক কিছুই যৌক্তিক ও নিরপেক্ষ নয়। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, চাকরির মেয়াদ শেষে তিনি বড় একটি সরকারি পদে যোগদানের জন্য জোট সরকারের আমলে বর্তমানে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত এক রাজনীতিকের সাথে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদবিরে গিয়েছিলেন। সে তদবির সফল না হওয়ায় বিএনপি ও জোট সরকার এবং জোটের শরিকদের প্রতি তার ক্ষোভের অন্ত নেই। ফলে তিনি চান্স পেলেই বিএনপি ও তার শরিকদের প্রতি গালমন্দ করার সুযোগ হাতছাড়া করেন না। আওয়ামী লীগ তাকে কী দিয়েছে জানি না। কিন্তু তার আওয়ামীপ্রীতি নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এক নিকৃষ্ট নজিরে পরিণত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শুরু করল তখন সিইসি সাহেব বিএনপি বলে কাউকে চিনতেই পারছিলেন না। বিএনপি’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে দলের মহাসচিব ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেন। এরপর সরকার খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। অন্তরীণ হওয়ার আগে বেগম খালেদা জিয়া মান্নান ভূঁইয়ার স্খলে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব নিয়োগ দেন। কিন্তু ‘ছি: ছি: সাহেব’ সে নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেন। কী তার ভাষা! কী তার সিদ্ধান্ত! তিনি বললেন, ‘এটা ভারি অন্যায় কাজ। মান্নান ভূঁইয়া এত দিন দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করলেন। অথচ কলমের এক খোঁচায় তাকে বহিষ্কার করে দেয়া হবে, এটা হতে পারে না। এ মনোভাব স্বৈরাচারী।’ অতএব তার দৃষ্টিতে মান্নান ভূঁইয়াই বিএনপি’র মহাসচিব, খোন্দকার দেলোয়ার নন। যেন তিনিই বিএনপি’র চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন। ফলে তিনি সংলাপের জন্য খোন্দকার দেলোয়ারের বদলে মান্নান ভূঁইয়াকে সাদরে আমন্ত্রণ জানালেন।
কেন মান্নান ভূঁইয়াকে আমন্ত্রণ জানালেন? তাকে জানানো হলো, বিএনপি’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী খোন্দকার দেলোয়ারই দলের মহাসচিব। তাহলে মান্নান ভূঁইয়া কেন? সিইসি তখন বললেন, মান্নান ভূঁইয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র কারণে। মান্নান ভূঁইয়াকে তার বড় প্রয়োজন ছিল। যে বিএনপি তাকে চাকরি দেয়নি, সে বিএনপি’র অস্তিত্বের কোনো প্রয়োজন নেই। সম্ভবত এটাই ছিল তার ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’। কিংবা তাকে অন্য কেউ শিখিয়ে দিয়েছিল, খোন্দকার দেলোয়ারকে নয়, বিএনপি’র প্রতিনিধি হিসেবে মান্নান ভূঁইয়াকেই তাদের বেশি প্রয়োজন। সুতরাং ‘জো হুকুম’। সিইসি সাহেবের কাছে মান্নান ভূঁইয়া চিরজীবী হোক।
কিন্তু এই সিইসিকে তো শেষ পর্যন্ত তার থু থু চাটতে হয়েছে। বলতে হয়েছে, মান্নান ভূঁইয়াকে বিএনপি’র প্রতিনিধি হিসেবে ডাকা ছিল তার চরম ভুল এবং সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দু:খিত। লজ্জা থাকলে এবং সংবিধান ও শপথ বাক্যের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা থাকলে উচিত ছিল তখনই তার বিদায় নেয়া। কোনো ভদ্রলোক এমন আচরণ করতে পারেন বলে কল্পনাও করা যায় না।
কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরে এসে ঘোষণা দিলেন, তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান বললেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। আবদুল জলিলই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে শেখ হাসিনা বললেন, ‘যাও বাকি শো রাহো।’ অর্থাৎ আবদুল জলিল নন, অস্খায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এরপর সিইসি আবদুল জলিলের জন্য কোনো মায়াকান্না করেননি, যেমনটি করেছিলেন মান্নান ভূঁইয়ার জন্য। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত শিরোধার্য হলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্ত তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ এক দারুণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার!
এটা সিইসি সাহেবের সূচনা মাত্র। আওয়ামী লীগ যখন সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশনে এলো, তখন সে কী বিগলিত দশা! সূচনা ভাষণে তিনি বললেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেছে। দেশ স্বাধীন করেছে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকেই তিনি ক্ষমতায় দেখতে চান। কারণ তিনি যে, সিইসি’র মতো বিশাল পদে আসীন হয়েছেন, সেও আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা আন্দোলনের কারণেই। বেহায়াপনার একটা সীমা আছে। সিইসি সে সীমানা ইতোমধ্যেই লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু তিনি টের পাচ্ছেন না যে, সীমানা লঙ্ঘনকারীকে কেউ পছন্দ করে না। তিনি সম্প্রতি জেলা প্রশাসকদের এক সম্মেলনে আবারো যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকরা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। রিটার্নিং অফিসারই তার এলাকার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। রিটার্নিং অফিসার, ডিসিদের তিনি যেসব নসিহত করেছেন, তাতে এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কী চান? তিনি বলেছেন, ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতো কোনো নির্বাচন তিনি দেখতে চান না। বিগত সময়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। সুতরাং তিনি ১৯৭০ সালের মতো একটি নির্বাচন করতে চান। এটিও এক অতি নিকৃষ্ট দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ। সিইসি সাহেবের মতে, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। অথচ দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের সবাই একযোগে স্বীকার করছেন, বাংলাদেশে এই তিনটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। তাই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পরাজিত রাজনৈতিক দলগুলোও খুব একটা শোর তুলতে পারেনি। সবাই নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচন নিয়ে বিশেষভাবে কিছু বলেননি প্রধান নির্বাচন কশিমনার। তার যত রাগ ২০০১ সালের নির্বাচনের ওপর। জেলা প্রশাসকদের তিনি বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা সব রকম প্রভাব থেকে বিরত থাকবেন। তবে তারা নির্বাচন কমিশনের উপদেশ, সঙ্কেত ও আদেশ মেনে চলবেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে কে কী করেছে, সে বিষয়ে তার কাছে তথ্য আছে এবং কারো আর সে ধরনের কাজ করা উচিত হবে না।
২০০১ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদের অধীনে। তিনিও ছিলেন এ টি এম শামসুল হুদার মতোই একজন সাবেক আমলা। ২০০১ সালের নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু বলে দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছিল। নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ওই নির্বাচন মেনে নিয়ে শুধু এতে ‘সূক্ষ্ম’ কারচুপি হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই পর্যন্তই। এর আগে কোনো সিইসি তার পূর্ববর্তী কোনো সিইসি’র নির্বাচনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অন্যায় মন্তব্য করেননি। তাহলে ড. হুদার এমন গাত্রদাহ কেন সৃষ্টি হলো?
এর কার্যকারণ বিশ্লেষণ করলেই সিইসি’র নির্লজ্জ আওয়ামীপ্রীতি মুখ ব্যাদান করে বেরিয়ে আসবে। কী হয়েছিল ২০০১ সালের নির্বাচনে? ওই নির্বাচনে চারদলীয় জোট দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। সিইসি খুব স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, তিনি ২০০৮ সালে তেমন নির্বাচন আর দেখতে চান না, যে নির্বাচনে চারদলীয় জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তাহলে তিনি এমন নির্বাচন দেখতে চান, যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের মতো সব আসনে জয়ী হতে পারে। সিইসি সাহেব ডিসিদের বলেছেন, তাদের ‘নির্দেশ ও সঙ্কেত’ গ্রহণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। তিনি কী নির্দেশ দেবেন? আশঙ্কা হয়, তিনি হয়তো বলবেন, ‘অমুক দলের অমুক প্রার্থীকে জিতিয়ে দাও। আর অমুক দলের অমুককে শিজিল করে দাও। ডিসিদের সে ক্ষমতা থাকবে। অতএব সব ফাঁক-ফোকড় বìধ করেই আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে আনা হবে।
সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বিতর্কিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশবলে একটি তালিকা তৈরি করেছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে যাদের অংশ নিতে দিতে চায় না, তাদের নাম আছে এতে। নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসকদের ক্ষমতা দিয়েছে ওই তালিকাভুক্তদের মনোনয়নপত্র বাতিল করার। তা ছাড়া জেলা প্রশাসকরা নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে যেকোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন। পরে এ অভিযোগ প্রমাণিত না-ও হতে পারে। শত প্রতিবìধকতা সৃষ্টির পরও যদি দেখা যায়, চারদলীয় জোটের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে জিতেই যাচ্ছেন, তবে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাদ দেয়া যাবে। কী চমৎকার সব পরিকল্পনা।
১৯৯১ নয়, ১৯৯৬ নয়, ২০০১ নয়, ১৯৭০ সালের মতো নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি ড. হুদা সে সময় দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন না। ১৯৭০ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সামরিক শাসক জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের লিগ্যাল ফেন্সমওয়ার্ক অর্ডারের অধীনে। সে আদলে নির্বাচন করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের সময় জরুরি অবস্খা বহাল রাখার জন্য ওকালতি করে যাচ্ছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের সব মানুষ স্বায়ত্তশাসন ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আদায়ের জন্য একাট্টা ছিল। সে লক্ষ্যেই তারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিল। সে নির্বাচনে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হয়নি। সে জন্য প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারই যথেষ্ট ছিলেন। কেউ সে নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিবাদ করেনি। কারণ এ দেশের মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল, দাবি আদায়ে তারা ঐক্যবদ্ধ। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০টিতে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয় লাভ করে।
সিইসি সাহেব ১৯৭০ সালের মতো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগকে সব আসনে জয়ী ঘোষণা করতে চাইছেন। ১৯৭০ সালের মতো নির্বাচন করা, শতাধিক রাজনীতিককে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশবলে রাজনীতিকদের নির্বাচন করতে না দেয়া, প্রার্থিতা বাতিলে ডিসিদের ক্ষমতা দেয়া এবং কমিশনের আদেশ, নির্দেশ, ইঙ্গিত মেনে চলার কথা বলা­ সব কিছু মিলিয়ে এটা এখন স্পষ্ট হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী করতে চাইছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করেছেন। কারণ এই কমিশন দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব। তা ছাড়া কমিশন প্রশাসনও সাজিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক আমলাদের দিয়ে। এ রকম একটা পরিস্খিতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না।
গত ২০ মাসে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের কেউই নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেননি। তাদের কার্যক্রম একদেশদর্শী, পক্ষপাতমূলক এবং বিএনপিসহ চারদলীয় জোটের প্রতি বিদ্বিষ্ট। নির্বাচন নিয়ে কমিশন ও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কথাবার্তা বলা হলেও নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। নির্বাচন কমিশনই যেহেতু এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সুতরাং তাদের পদত্যাগ করেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ করা সম্ভব। তা না হলে এই কমিশনকে চরম অবমাননার পথে বিদায় নিতে হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:০৪
১২টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×