ব্লগে লেখাটা দুভাগ্য বশত ইসলামী লেখাটা অামি একটা মুছে দিলাম ঠিক একই সময় দুবার পোস্ট করার কারণে ব্লগ কর্তৃপক্ষ মুছে দিয়েছে। তাই অাবার নতুন করে লিখছি....
বাংলাদেশে কিছু মোল্লা এবং তথাকথিত ইসলামী লেবাসধারী ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক নেতার কথা শুনে মনে হয় এদেশের মানুষ ধর্ম পালন তাদের কাছে প্রথম শিখছে। তাদের ভাব এমন যে ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব তাদের উপর দেয়া হয়েছে। তাই দেশে কে কার সঙ্গে হাত মেলালো বা কে মুসলমান অার কে মুসলমান নয় তা ঠিক করার দায়িত্ব তাদেরই। স্বাধীনতার অাগের কথা বাদ দিলাম, স্বাধীনতা পরবতীতে দেশে এত বেশি মাদ্রাসা,মসজিদ ছিলনা, ছিলনা এত বেশি ইসলামী সংগঠন- রাজৈনিতক দল। তখনো দেশের মানুষ নিরবিঘ্নে ইসলাম ধর্মাচারাণ করেছে। অথচ স্বাধীনতা পরবতী হু হু করে গজিয়ে উঠেছে মাদ্রাসা এবং তাদের মতাদশিক সংগঠন। বেড়েছে মোল্লাদের হৈ চৈ অথচ দেশে বাড়ছে ঘুষ দুনীতি অনিয়ম। ইসলামের স্বঘোষিত রক্ষাকারীরাতো রীতিমত ক্ষমতার হালুয়া রুটি খেয়েছেন...এমনিক ইসলামী বিধান তোয়াক্কা না করেই নারী নেত্রীর অাচঁল ধরে বাংলাদেশকে দুনীতিতে বিশ্বে এক নম্বর করেছে । এক গ্রুপ ইসলামী দল অন্যদলকে কাফের মুনাফেক বলেছেন....কেউ কেউ অাবার নিজেদের সঠিক ইসলামের চর্চাকারী হিসেবে দাবী করে কাউকে কাউকে অমুসলিম বলে অাখ্যা দিচ্ছেন...জঙ্গীবাদী চেহারায় মানুষের উপর অাঘাত করেছেন....মারামারি করেেছন এমনিক মসজিদকে রক্তাক্ত করেছে। একাত্তরে ইসলাম রক্ষায় যেমন মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যায় প্রত্যক্ষ অংশ নিয়েছে.নারী নির্যাতন করেছে.....সবকিছুই হয়েছে কিন্ত ইসলামের নামেই......অথচ মানুষতো সৃষ্টির সেরা জীব.....অার কাউকে কাফের মনাফেক বলার অধিকার খোদ ইসলাম ধর্ম কাউকে দেয়নি...বরং ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নিষেধ করা হয়েছে......অথচ অাজ ধর্মের কথা বলতেই বলতেই মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি ছড়াচ্ছেন এরা। মিথ্যা বলা ধর্মে বড় পাপ বলা হয়েছে...ঘুষকে কঠিন ভাবে নিষেধ করা হয়েছে...ক'দিন অাগেই তো বড় মোল্লারা অাল্লার বিধান পাল্লটে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়মকে জায়েজ করেছেন........অাবার ভোল পাল্টেছে.......এরা এমনই ইসলামের কথা বলে কায়েমী স্বার্থ হাসিল করছেন....তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মেলেনোয় ইসলাম গেল গেল বলে শোর তুলচ্ছেন..উদ্দেশ্য ঐ অাগের মতই অাছেই...........