somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্বোধ এবং হামবড়া

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লেখাটি উৎসর্গ করছি আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন, গুনী লেখক চাঁদগাজী সাহেব কে



এক।
কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটা খাবার বিষয়ক গ্রুপে "Do you mind if I join you?" শিরোনামে একটা লেখা খুব ভাইরাল হয়। ঢাকার এক ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে এক ব্যাক্তি অচেনা এক মেয়ের সাথে বসে খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুঁজিবাদ বিষয়ে আলোচনা করে। এবং অপরিচিত মানুষের সাথে এক টেবিলে খাওয়ার ঘটনাকে সে "most wholesome lunch" বলে উল্লেখ করে।

যদিও লেখাটি চুরি করা, লেখার নিচে কালেক্টেড লেখা ছিলো। সুতরাং যে লেখা পোষ্ট করেছে সে হয়তো একটু লজ্জা-শরম ধারন করে। কিন্তু লেখকের নাম না লিখে শুধু কালেক্টেড লেখা এক ধরনের ছ্যাচরামিই বলা যায়।

যাই হোক, লেখাটি ফেসবুকে খুব ভাইরাল হয়েছিলো এবং প্রচুর ট্রল ও মিমস হয়েছে এইটা নিয়ে। এর কারনটা কি? কোন এক টং দোকানে গেলে দেখা যাবে চিনে না জানে না এমন মানুষেরা চা-সিগারেট খেতে খেতে রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, খাদ্য সমস্যা, সাহিত্য, খেলাধুলা, অপরাধ, শোবিজ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা করে, তর্ক বিতর্ক করে। এইটা স্বাভাবিক ঘটনা। আপনি ঢাকার নামী রেস্টুরেন্টে বিদেশী ফাস্টফুড খেয়ে যখন যদি পুঁজিবাদকে গালমন্দ করেন, মানুষ আপনাকে হয় নির্বোধ বলবে, নাহলে এ্যাটেনশন সিকার বলবে।

আমাদের সমাজে এই ধরনের প্রচুর মানুষ আছে। আইফোন হাতে নিয়ে ব্রান্ডের জামা-জুতা পরে একটা চে-গুয়েভারার টুপি মাথায় ঝুলিয়ে পুঁজিবাদকে গালাগালি করে, স্যোস্যালিস্ট ও কমিউনিষ্ট ইকোনমির গুনগান গেয়ে বেড়ায়। এই ক্যাটাগরির পোলাপানগুলো সব নির্বোধ অথবা এ্যাটেনশনসিকার।

দুই।
ইদানীং সবাই নিজেকে হামবড়া ভেবে বসে আছে। রাজনীতিবিদ নিজেকে দেশের মাথা ভেবে বসে থাকেন, সরকারী কর্মচারী নিজেকে সবার চেয়ে সেরা ও সম্মানী মানুষ মনে করেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটির (প্রায় সব) ছাত্র নিজেকে দেশের সেরা ছাত্র এবং বাকিদের অগা-মগা-ছগা জ্ঞান করে। বিদেশে ভিক্ষা করে কেঁদে কেটে এ্যাসাইলাম নেয়া মানুষ এখন বাংলাদেশের মানুষকে বর্বর মনে করে। ইউরোপ-আমেরিকায় ওয়েটারের কাজ করে, ট্যাক্সি ড্রাইভ করে দু'পয়সা আয় করে নিজেকে আর বাংলাদেশী না ভাবা মানুষ বাংলাদেশকে ৩য় বিশ্বের গরীব দেশ জ্ঞান করে।
এই মানুষগুলো দুটো ইংরেজী শিখেই নিজেকে বিশাল জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবি ভেবে সব বিষয়ে জ্ঞান দেখাতে চায়। কেউ এদের কথাকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও এরা থোড়াই কেয়ার করে। এদের দেখে ভাবি গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল প্রবাদটি এমনি এমনি এ ভাষায় যুক্ত হয়নি।

আমি এই হামবড়া টাইপের মানুষদের উপর তেমন একটা রাগ করি না। কারন তাদেরকে আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হয়। আর বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের সাথে রাগ করার কোন মানেই নেই।

বিদ্রঃ আবেগী জোশ দেখিয়ে কমেন্ট করার আগে নিচের লেখাটুকু পড়েন।

হঠাৎ এই লেখার উদ্দেশ্যঃ ১ নং লেখা ফেসবুকে ভাইরাল লেখাটির উপর বিরক্ত হয়ে লেখা। ২ নং লেখা প্রবাসী ক্লাসমেট এর হামবড়া টাইপ মনোভাব দেখে লেখা।

কেন উৎসর্গ করলামঃ আমি ঠিক করেছি এখন থেকে আমার প্রতিটি লেখাই কাউকে না কাউকে উৎসর্গ করে লিখবো। আর চাঁদগাজী আমার প্রিয় ব্লগার। তার বুদ্ধিদীপ্ত প্রবন্ধ ও গবেষনা মূলক লেখাগুলো থেকে আমি জ্ঞানের খোরাক পাই, ব্লগের সবার লেখাতে তার ভদ্র ভাষার প্রাসঙ্গিক ও সাপোর্টিভ মন্তব্য দেখে অনুপ্রেরণা পাই। তাই প্রথম উৎসর্গ তাকেই করা।

ছবি দেয়ার কারনঃ আমি পশুপ্রেমী। এখন থেকে আমার প্রায় সব লেখাতেই পশু-পাখির ছবি থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪
৪০টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×