somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন ডিজিটাল ক্যামেরা মালিকের প্রথম ছয়টি ভুল

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যারা অনেক সাধ্য সাধনা করে ডিজিটাল ক্যামেরার মালিক হই তাদের সবারই একটি কমন স্বপ্ন থাকে। ক্যামেরা হাতে পাওয়ার আগে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে অপেক্ষা করি এবং মনে মনে ভাবি, ক্যামেরাটি আগে হাতে আসুক- ফাটিয়ে দেবো!
একটু বেশি আবেগপ্রবন যারা, তারাই এই ফাটিয়ে দেয়ার আগেই করে বসি কয়েকটি ভুল। ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া ভালো, আরো ভালো ভুল করার আগেই শিক্ষাটি নিতে পারা। আসুন তবে আজ দেখা যাক নতুন ডিজিটাল ক্যামেরা মালিকের ভুলগুলো কি কি-

এক· ঢাউস সাইজের ইমেজ ফাইল ই-মেইল করে পাঠানো
নতুন ক্যামেরাটি হাতে পাওয়ার পর পরই আমাদের ইচ্ছে হয় ক্যামেরাটির স্মার্টনেস এবং নিজের ফটোগ্রাফি প্রতিভার খবর বন্ধুদের জানানো। ফটোগ্রাফিতে নিজের প্রতিভা থাকলে তো খুবই ভালো, আর এটা অন্যকে জানানোতেও দোষের কিছু নেই। তবে সেই ইমেজ ফাইল অন্যকে ই-মেইল করে পাঠানোর আগে ফটোর সাইজটি ছেট করে নেয়া উচিত- যাতে করে এটা ডাউনলোড করতে আপনার বন্ধুর বেশি সময় না লাগে।

দুই· ইমেজ ফাইল ব্যাকআপ না করা
অনেকেই নিজের ফটোর নেগেটিভ যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু ডিজিটাল ফটোর বেলায় ওই আগ্রহটি কেন যেন থাকে না। আজ তোলা ছবিগুলো ডেস্কটপে রাখলেন, গতকালকের গুলো রেখেছিলেন জি ড্রাইভের ভেতর পিকনিক ফোল্ডারে, এতে করে দরকারের সময় কাঙ্ক্ষিত ছবি আপনি খুঁজে পাবেন এমন গ্যারান্টি আপনি নিজেই দিতে পারবেন না। মনে রাখবেন ডিজিটাল ক্যামেরা হাতে পেলেই আপনার প্রচুর ছবি তুলতে ইচ্ছে করবে। ফলে অল্প দিনেই আপনি প্রচুর ফটোর মালিক হয়ে যাবেন। এই ফটো গুছিয়ে রাখার অনেক উপায় আছে। তবে সবাই লাইব্রেরি সায়েন্স পড়বেন বা ক্যাটালগিং সিস্টেম জানবেন এমন কোনো কথা নেই- তার চেয়ে সহজ সরল ভাবে বছর ওয়ারি বা সাবজেক্ট ওয়ারি ফোল্ডার করে পিসিতে ফটো রাখুন। ধরা যাক ২০০৬ নামে একটি ফোল্ডার করলেন, তার মধ্যে আবার সাব ফোল্ডার করে রাখুন একেক ইভেন্টের ফটো।

তিন· ক্যামেরার ডিজিটাল জুম ব্যবহার
এটা একবারেই ভুয়া একটি অপশন। ক্রেতা টানার জন্যই ক্যামেরা কম্পানিগুলো এটা করে থাকে। বাস্তবে এর কোনো রেজাল্ট নেই। তাই কেবল ফটো তোলা নয়, ডিজিটাল কামেরা কেনার সময়েও ডিজিটাল জুমের অপশনে কোনো রকম গুরুত্ব দেয়ার দরকার নেই।

চার· কম রেজুলুশনে ফটো তোলা
অনেকেই ক্যামেরার মেমরি কার্ড বাঁচানোর জন্য কম রেজুলুশনে ফটো তোলেন। মনে করে দেখুন, যখন ফিল্ম ক্যামেরায় ফটো তুলতেন কতোটা হিসেব করে এক একটা ফ্রেম সেট করতেন। সে হিসেবে সবচেয়ে বড় সাইজে ফটো তুললেও আপনার ক্যামেরায় ফিল্মের চেয়ে বেশি ফটো তোলা যাবে। আজকের ফটো যদি আগামীর স্মৃতি হয়, তাহলে সেই স্মৃতিটি যেন বড় আর ডিটেইল হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

পাচ· ক্যামেরার সঙ্গে পাওয়া সফটওয়্যারটিই ব্যবহার করা
প্রতিটি ডিজিটাল ক্যামেরার সঙ্গেই থাকে একটি সফটওয়্যার সিডি। এতে সাধারণত একটি ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার থাকে। অনেকেই কেবল এই সিডির সফটওয়্যারটিই ব্যবহার করেন। হ্যা, এগুলোতে ছবি এডিট করার কিছু শর্টকাট সিস্টেম দেয়া থাকে, তবে এগুলো কখনোই প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড টুল নয়। ফটো এডিট করার জন্য অ্যাডোবি ফটোশপ বা এ মানের কোনো এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করম্নন।

ছয়ঃ ক্যামেরটিকে বুঝতে একটু সময় দিন
অনেকে ক্যামেরাটি হাতে নিয়েই ফটো তুলতে শুরু করেন। এটা করার আগে ম্যানুয়ালটি ভালো করে পড়ে নিন। প্রতিটি যন্ত্রের নতুন মডেলই হয়ে থাকে আগেরটির চেয়ে আলাদা। ক্যামেরার বেলায় এই পরিবর্তনটি হয় বেশ অনেকখানি। তাই বেশিরভাগ সাধারণ নিয়মকানুন জানা থাকলেও ম্যানুয়ালটি আগে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন। সম্ভব হলে ম্যানুয়ালটির একটি ফটোস্ট্যাট কপি করে রাখুন। কারণ ক্যামেরা মডেল অনেক বেশি হয় এবং কোনো ম্যানুয়াল একবার হারিয়ে গেলে দ্বিতীয় কপি আর সহজে খুজে পাবেন না।

অদরকারি তথ্য
০১. এ লেখাটি প্রথম ছাপা হয়েছিল যায়যায়দিনের ক্যামেরা পাতায়
০২. ওপরের ছবিটি শাখারিবাজারে কল্পনা বোর্ডিংয়ে তোলা। সেখানে ছবিমেলার অংশ হিসেবে একটি প্রদর্শনী চলেছে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মুনেম ওয়াসিফের সে প্রদর্শনীর নাম ছিল "ব্লাড স্প্লিন্টার অফ জুট" বাংলায় বলা হয়েছে "পাটের মৃত্যু আখ্যান"।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪
৮৫টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×