somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গোপালী পুলিশ এইটা কি করলি????

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে। সকালের ক্লাসটা করতে পারিনি। ১২.৩০ টায় একটা ক্লাস ছিল। ক্লাসের আগেই শাহবাগের উদ্দেশ্যে ১১ টার দিকে রওয়ানা দিলাম। মাত্র চারুকলা পর্যন্ত গেলাম এর মধ্যেই দেখলাম ভাইয়েরা দৌড়াচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলাম কি হইছে?? এর মধ্যেই পায়ের কাছে এসে পড়ল একটা টিয়ার শেল। জীবনে এর আগে কখনও টিয়ারশেলের সামনে পড়িনি। তাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করব!! পকেট থকে রুমালটা বের করে নাকমুখ চেপে কোন মতে দৌড় দিয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে আসলাম। সবাই বলল আগুনের সামনে যান। টিয়ার গ্যাসের প্রভাব কিছুটা গেল। এরপর দেখলাম একেকজন ভাইকে কোলে করে নিয়ে আসতেছে রোজাদার মানুষগুলি টিয়ার গ্যাসের গন্ধে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে গেছে। অনেক আপুকে দেখেছি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। এরপরেও অনেক মুনাফিক ছাত্রকে দেখেছি শুধু অর্বাচীনের মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর সবার সাথে নীলক্ষেতের দিকে অগ্রসর হলাম এফ রহমান হলের সামনে যেই সবাই আসলো সেখাকার অবস্থানরত পুলিশ টিয়ারশেলের সাথে গুলি করাও শুরু করল। অনেস্টলি বলছি জীবনে কখনও গুলির সামনে পড়িনি। মনে করছিলাম এই বুঝি জীবনের শেষ দিন। যাই হোক আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে এখন বাসায় পৌঁছেছি। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো শুরু হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রিকারীরা এখন বাশের কেল্লার ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এখানেও এখন আস্তিক নাস্তিকের মত দুই ভাগ করে ছাড়বে।

কিন্তু তোদের বলি এখানে পলিটিক্যাল কোন ইস্যু নাই। কোন লিডারশীপও নাই। লিডারশীপ যে নাই এটা যে শুধুমাত্র সাধারন স্টুডেন্টদের আন্দোলন সেটা বার বার প্রমানিত হয়েছে আজকে যারা সেখানে ছিল তারাই দেখেছে। একবার কেউ বলে এইদিকে চলেন কেউ বলে ওইদিকে চলেন সবাইই ছিল সাধারন শিক্ষার্থী।
সুবিধাবাদীর দল তোমরা এখানে কিছুই করতে পারবা না। আর গোপালী পুলিশ আর লীগের কুত্তারা তোমরা আজকে যাহা দেখাইলা তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।

আল্লাহ তাআলার কাছে আরও শুকরিয়া এই বিপদের দিনে কিছু মানুষের আসল রুপ আমার সামনে খোলাসা হবার জন্য। যাদের সাথে চলতাম তাদের আসল পরিচয় পেয়ে গেলাম। মনে থাকবে। আর সরকার আমাদের জামাত- শিবির মনে করেছে। ঢাবির স্টুডেন্টদের গুলির ভয়। তার মনে করছে দুইটা টিয়ারশেল মারবে আর সবাই হলে ঢুকে দরজা লাগিয়ে বসে থাকবে। আর আমার সংগ্রামী ভাইদেরকে লাল সালাম। আর যাদেরকে পাশে পাইনি তাদেরকে বলি তোমরা বেচে থাকো বাবারা অনন্ত কাল ধরে বেচে থাকো যেমন তেলাপোকারা এখনও বেচে আছে। তোমাদের ভাইরা মরে গেলেও তোমরা চুপ থাকবা। তোমার বোনকে রেপ করলেও তুমি চুপ থাকবা। তোমরাই শান্তিপ্রিয়। বেচে থাকো অনন্ত কাল মায়ের আচল ধরে।

মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বলি।

একটা কথা সবসময়ই বলি আবারও বলছি ৭১ সালে মানুষ যুদ্ধে গিয়েছিল বৈষম্যের প্রতিবাদে। তখন যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। আজকে তাদেরকে সুযোগ দিতে গিয়ে লাখ লাখ মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীকে তাদের প্রাপ্য চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
তাহলে আপনি একটু আমাকে বুঝান বাংলাদেশে স্বাধীনটা হল কে? তখন বৈষম্য করেছিল পাকিরা আর এখন এরা। যেখানেই যাই শ্রেনী সংগ্রাম!!! কার্ল মার্ক্স ঠিকই ধরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কি বৈষম্যের স্থান ছিল???
মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন জাঁতির সূর্যসন্তান। তারা কারও করুনায় যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করে আনেননি। আজকে তাদেরই সন্তানরা কারও অনুগ্রহে দিনাতিপাত করবে এটা তাদের জন্যই অবমাননাকর।
এখন বলবেন শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলছেন কেন????
ওকে ভাই একটু মাথা খাটান দুই এক বছর পরপর স্পেশাল বিসিএসে কাদের নিয়োগ দেয়া হয়??? আর কোটার ক্ষেত্রে কাদের অগ্রাধিকার বেশী??? সুবিধাবঞ্চিত বা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তদের জন্য আলাদা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু কোন নিয়োগ পরীক্ষায় সকলের সমান প্রতিদ্বন্ধিতা করবে এটাই কাম্য। শুধুমাত্র এই দাবী নিয়েই সাধারন ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। কেউ বিভ্রান্ত হবেন না প্লিজ। গুজবেও কান দিবেন না। শাহবাগে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননা করে কেউ কথা বলেছে এই প্রমান কেউ দিতে পারবেন???? আবারও বলছি এটা শুধুমাত্র সাধারন ছাত্রদের একটা আন্দোলনল।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×