somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফাইনাল পরীক্ষা মানেই কি তিন ঘন্টার বহুসংখ্যক রচনামূলক প্রশ্ন সম্বলিত লিখিত পরীক্ষা?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালে কালে তো পরীক্ষা আর কম দেয়া হয়নি। শিক্ষাজীবন মানেই পরীক্ষা আর পরীক্ষা। ক্লাস ঠিক মত হোক আর না হোক, পরীক্ষা খুব ঠিকমতই হয় সর্বদা। ছোট পরীক্ষা, বড় পরীক্ষা আর মাঝারি পরীক্ষার অভাব শিক্ষাজীবনে হয় না। আজকে পরীক্ষার ব্যপ্তি নিয়ে লেখার নিয়তে লিখতে বসেছি। দেখি কত দূর কী লিখতে পারি!

স্কুলে এবং কলেজে আমরা যে পরীক্ষাগুলো দিয়েছি তার কতগুলো ভাগ রয়েছে। ক্লাস চলার মৌসুমে ৫ মার্কস, ১০ মার্কস বা ১৫ মার্কসের যে পরীক্ষা আমরা দিয়েছি তাকে বলে ক্লাস টেস্ট বা শ্রেণী পরীক্ষা। এরকম প্রতি বিষয়ের জন্য ২-৩ টি বা অনেক স্কুলে ৪-৫ টি শ্রেণী পরীক্ষা হয়। পরে ১ম সাময়িক, অর্ধ-বার্ষিক বা বার্ষিক পরীক্ষায়, শ্রেণী পরীক্ষায় প্রাপ্ত মার্কস নানা কায়দায় যোগ করা হয়। কোথাও একাধিক শ্রেণী পরীক্ষার মার্কসের গড় যুক্ত হয়, কোথাও বেস্ট ২ টা পরীক্ষার মার্কস নেয়া হয়, আবার কোনো কোনো স্কুল-কলেজে শ্রেণী পরীক্ষার মার্কসের একটা নির্দিষ্ট শতাংশ চূড়ান্ত পরীক্ষার সাথে যুক্ত হয়। শিক্ষা মূল্যায়নের ভাষায় এই ক্লাস টেস্টকে বলা হয় ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট আর চূড়ান্ত পরীক্ষা অর্থাৎ বার্ষিক বা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষাকে বলা হয় সামেটিভ অ্যাসেসমেন্ট। স্কুল-কলেজে ক্লাস টেস্ট বা ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট হয় একটা বড় প্রশ্ন বা একাধিক ছোট প্রশ্নের সমন্বয়ে। মাঝে মাঝে শিক্ষকগণ বহুনির্বাচনী ধরণের প্রশ্নেও এ পরীক্ষা নেন। ক্লাস টেস্টের ব্যপ্তি হয় এক ঘন্টা বা ৪৫ মিনিট। এখানে খুব বেশি লিখতে হয় না।

এবার আসা যাক, বড় পরীক্ষার কথায়। আমাদের স্কুলে ১০ম শ্রেণী ব্যতীত অন্যান্য সকল শ্রেণীতে বছরে দু'টি বড় পরীক্ষা হতো; অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক। কিন্তু ২০০৪ সালে, আমরা যখন ৯ম শ্রেণীতে উঠি তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ম করা হয় যে, বছরে তিনটি পরীক্ষা নিতে হবে। অনেক স্কুলে আগে থেকেই তিনটি পরীক্ষা নেয়া হতো। আমাদের স্কুলেও সকল শ্রেণীতে ১ম সাময়িক, ২য় সাময়িক এবং বার্ষিক পরীক্ষার সিস্টেম চালু হয়। প্রাথমিক শ্রেণীতে বড় পরীক্ষাগুলো হতো নানা রকম নৈর্বক্তিক পদ্ধতি যেমন- বহু নির্বাচনী, সত্য-মিথ্যা, মিলকরণ, শব্দার্থ লিখা, শূন্যস্থান পূরণ ইত্যাদি এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও বিশদ প্রশ্নের সমন্বয়ে। কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে গণিত এবং ইংরেজি পরীক্ষা বাদে অন্যান্য সব বিষয়ে পরীক্ষার একটা বড় অংশ হয় বহু নির্বাচনী ধরণের প্রশ্নের মাধ্যমে। প্রায় সমান সংখ্যক মান বন্টিত হয় রচনামূলক অংশে অর্থাৎ ছোট প্রশ্ন ও বড় প্রশ্নে। সেই ছোট প্রশ্নের উত্তর যে খুব একটা ছোট হয়, ব্যাপারটি তা নয়। বড় প্রশ্নের চেয়ে তুলনামূলক কম লিখতে হয় বলে এর নাম হয় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। ৯ম-১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য যোগ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

আমাদের সময় এসএসসি পরীক্ষায় গণিত ও ইংরেজি বাদে অন্যান্য বিষয়ে বহু নির্বাচনী প্রশ্নে থাকতো ৫০ মার্কস আর রচলামূলক প্রশ্নে থাকতো ৫০ মার্কস। পরবর্তীতে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন কমিয়ে ৪০ টি করা হয় অর্থাৎ এ অংশে মান নেমে আসে ৪০ এ। এর দরকার ছিল। বহু নির্বাচনী প্রশ্ন দিয়ে শিক্ষার্থীর অনেকগুলো দক্ষতা ও জ্ঞান যাচাই করা যায় না। এ প্রশ্নের প্রয়োজন আছে কিন্তু বিপুল পরিমাণ মার্কস বহু নির্বাচনীতে না থাকাই শ্রেয়।

আমার আজকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল চূড়ান্ত বা সেমিস্টার, টার্ম, বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে। লক্ষ করেছি, আমাদের পরীক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে সবচেয়ে বেশি যাচাই করা হয় বিশদ প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে। বড় পরীক্ষায় অধিকাংশ মার্কস বণ্টিত থাকে ঐ বিশদ প্রশ্নের উত্তরের জন্যেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও একই অবস্থা। চূড়ান্ত পরীক্ষায় এককভাবে সবচেয়ে বেশি মার্কস থাকে রচনামূলক অংশে এবং তা গ্রহণ করা হয় মূলত বিশদ প্রশ্নের মধ্য দিয়ে। আমার একটি প্রশ্ন রয়েছে। সেমিস্টার ফাইনাল বা ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা কেন বড় প্রশ্নের সমন্বয়ে গঠিত তিন বা চার ঘন্টার অভীক্ষার মাধ্যমেই হতে হবে? অ্যাসাইমেন্ট বা টার্ম পেপারে থাকে ৫ বা ১০ মার্কস, বহু নির্বাচনী ধরণের নৈর্ব্যক্তিক অংশে থাকে ২০ মার্কস, শ্রেণী পরীক্ষায় ২০ মার্কস (যা বড় বা মাঝারি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে হয়ে থাকে) এবং রচনামূলক অংশে থাকে ৪০ মার্কস। মানে ফাইনাল পরীক্ষায় রচনামূলক অংশই হলো আসল পরীক্ষা। সব পরীক্ষা বাপ! স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীকে মূলত যাচাই করা হয় তার উত্তরপত্র দেখে। যন্ত্রপাতি বা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে সঠিকভাবে শিক্ষার্থী পরীক্ষা করতে পারে কিনা তা দেখা হয় কোনো মতে। ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতায় নাতিদীর্ঘ কথা-বার্তা লিখতে হয়। তত্ত্ব নামক এক বিরক্তিকর জিনিসও থাকে সেখানে। তত্ত্ব লেখার জন্য তো তত্ত্বীয় পরীক্ষা আলাদাভাবে দিতেই হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষায় আবার তত্ত্ব লিখতে হবে কেন? ব্যবহারিক পরীক্ষার পুরো মার্কস কেন হাতে-কলমে শিক্ষার্থী কাজ করতে পারে কিনা তার ওপর যাচাই করে প্রদান করা হয় না? হিসেব-নিকাশের জন্য কাগজ থাকতে পারে কিন্তু ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা কেন থাকবে?

পরীক্ষার জন্য তখনই বেশি সময় লাগে যখন সেখানে বড় প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। আর আমাদের ফাইনাল পরীক্ষাগুলো সাধারণত তিন ঘন্টার হয়। ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে দেখেছি চার ঘন্টার ফুল ইউনিট পরীক্ষা হতে। চার ঘন্টা কি পরীক্ষা দেয়ার জন্যে খুব সভ্য একটা সময়কাল? একেক শিক্ষার্থী একেকভাবে শিখতে যেমন ভালবাসে সেরকম তাদের একেকজন একেকভাবে মূল্যায়িত হতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। উন্নত দেশে কাউকে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে, কাউকে টার্ম পেপার দিয়ে, কাউকে ব্যবহারিক কাজ দিয়ে আবার কাউকে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়। নরওয়েতে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোন ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে হয় না। সেখানে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বোঝা ক্রমাগত বাড়িয়েই চলেছি। এসএসসি, এইচএসসিতে আমরা ক্ষান্ত হই নি। আরও যোগ করেছি, পিএসসি ও জেএসসি।

আর আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি সেই সনাতন। বছরের মাঝে বড় বড় প্রশ্নে ছোট ছোট পরীক্ষা এবং বছরের শেষে বড় বড় প্রশ্নে বড় পরীক্ষা। ফাইনাল পরীক্ষাকে কেন ৩ ঘন্টারই হতে হবে? ফাইনাল পরীক্ষার বিকল্প হিসেবে একাধিক ছোট পরীক্ষা কি নেয়া যায় না? অ্যাসাইনমেন্ট বা টার্ম পেপারে মার্কস বাড়িয়ে আদর্শ পদ্ধতিতে ছোট ছোট পরীক্ষা নিলে অসুবিধা কোথায়? আদর্শ প্রশ্নপত্র তৈরি করতে শিক্ষকগণের খাটুনি একটু বাড়বে আর কি। এক বড় প্রশ্ন দিয়েই কি শিক্ষার্থীর সব যোগ্যতা যাচাই করা যায়? কেউ অল্প কথায় ভাল বলে, কেউ অনেক কথা বলেও ভাল বলতে পারে না। সে হয়তো অন্য কোনো উপায়ে ভাল বলে। বড় প্রশ্ন মানেই সেখানে অনেক কিছু বলতে হবে। এ কথা কোনো শিক্ষকই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, বেশি পৃষ্ঠা লিখলে অধিক মার্কস দেয়ার প্রবণতা তাদের মাঝে কাজ করে। এটা মানুষের সাধারণ প্রবৃত্তি। গুণের চেয়ে পরিমাণের দিকে আমাদের বাঙালীদের ঝোঁক তো আরও বেশি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ফাইনাল পরীক্ষা হিসেবে তিন ঘন্টার পরীক্ষা গ্রহণের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিৎ। আমাদের মূল্যায়নের ব্যবস্থার পরিসর ছোট বিধায় হয়তো একেক শিক্ষার্থীর জন্য একেক ধরণের মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। কিন্তু বছর বা সেমিস্টার শেষে একখানা বিরাট সময়ব্যপী পরীক্ষা গ্রহণ কতটা কার্যকর তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। শিক্ষার্থীর ফলাফল বা ভাগ্য কেন ফাইনাল পরীক্ষার তিন ঘন্টায় যাচাই করতে হবে? সারা বছরের পারফরমেন্স যাচাই করতে পারলে তা হবে একটি নিরপেক্ষ পরীক্ষা। সারা বছর ভালো পড়াশোনা করে সেমিস্টার বা বর্ষ সমাপনী পরীক্ষার সময়ে অসুস্থ থাকার কারণে যে কারো ফলাফল খারাপ হতে পারে। এতে তো তার সারা বছরের পারফরমেন্স অমূল্যায়িত থেকে যাবে। তার চেয়ে সারা বছর ধরে ছোট ছোট অনেকগুলো পরীক্ষা গ্রহণ অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়

--- আহ্‌মদ ইকরাম আনাম
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×