ছবিটি এই মহিলাকে গ্রেফতারের পর।
রাতে থানায় অমানুষিক নির্যাতনের পর আদালতে আনার পর সবার কাছে ধরা পড়ে অমানুষিক নির্যাতনের চিত্র। মারাত্নক আঘাতে কোমর ফুলে কালচে রং ধারন করেছে।
বিএনপির নেত্রী ৭৪ নং ওয়ার্ডের মহিলা দলের সহ-সভাপতি ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রেহানা আক্তার ডলির ওপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রেহানার ভাই তাইজুদ্দিন আহমেদ মিঠু এ অভিযোগ করেন। রোববার দিবাগত রাতে আটক করার পর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তার সারা শরীরজুড়ে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। আদালতে রেহানার দুই ছেলে সৌরভ ও শাওন তার সাথে ছিলেন। মায়ের এই শোচনীয় অবস্থা দেখে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কেঁদেছেন মিঠুও।
সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় সোমবার বিকেলে রেহানা আক্তার ডলিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। দুই মহিলাপুলিশের কাঁধে ভর করিয়ে তাকে তিন তলার এজলাসে আনার সময় দোতালায় সিড়ির কাছে শুয়ে পড়েন রেহানা। এ সময় তার উঠে দাঁড়ানোরও ক্ষমতা ছিল না।
রিমান্ড শুনানির জন্য তাকে এজলাসে হাজির করা হলে তার পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য তাকে আদালতকক্ষের ভেতরের বেঞ্চে শুইয়ে রাখা হয়। রেহানা তার ভাই মিঠুর কোলে মাথা রেখে শুয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি একবার বমিও করেন।
ম্যাডাম হাসিনা-সাজেদা-সাহারা-দিপু এই মহিলার আঘাত কি নারী জাতীর প্রতি আঘাত নয়? সমাজে প্রচলিত, নারীরা নারীদের শত্রু সেটা কি প্রমান হল??
সুত্র- বাংলানিউজ ২৪- ‘‘আদালতের বেঞ্চে শুয়ে মানবাধিকার’’
রেহানার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৫৯