মানুষ জন্ম থেকেই শিরোনামহীন। চলার পথে যে কত যাইগাই হোচট খায় বলা যায় না।
ঘটনাটা আসলে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া,মানে আমার নিজের থেকে।
সেই ছোট বেলা থেকেই বাবা মার বকা খাওয়া পড়াশোনা না করার জন্য এবং বকা খাওয়ার পরেও না পড়া।বাবা মা অনেক কষ্ট করেও পড়াতে বসাতে পারতেন না।বাবা মার সপ্ন ছিল ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন।
বাবা ছিল একটু উগ্র মিজাজের।ক্লাস টুতে যখন পরি তখন বাবা বলতেন এই ছেলেকে দিয়ে কিছু হবে না।বাবা কোথাও গেলে বা নামাজ পড়তে গেলে আমি পড়াথেকে উঠে পরতাম।যখন বাবা আসত আসে যখন আমাকে না পেতেন তখন আচ্ছা করে ধোলাই খেতাম পরে আসলে।ক্লাস ফাইভ এ আমার বাবা আমাকে পড়ার চাপ বাড়িয়ে দিলেন।তখন আমার রোল নং ১।কিন্ত ক্লাস ফাইভ এ আমার লেখাপড়া বাবা কয়েকবার বন্ধ করে ঘর থেকে বের ও করে দিলেন। তারপর আবার কদিন ভাল ভাবে চলল। এভাবে দিন কাটতে কাটতে ক্লাস নাইন।কিন্ত ওই সময় আমি খারাপ হয়ে যাই লেখাপড়াই...বাবা আমার সাথে কথা বলেন না।লেখাপড়ার কোন খোজ খবর ও নেন নি।কি লাগবে কার কাছে পরতে হবে কোন কিছুই না।আমি কিন্তু ক্লাস নাইন এ সাইন্স নিছি। যা পরি সব নিজে। স্কুলে কোন ভাল টিচার নাই। কদিন পর পর টিচার আসে আবার চলে যাই।এভাবে এসে গেল এস.এস.সি পরিক্ষা আবার চলে ও গেল।আমার এস এস সি পয়েন্ট নিয়ে বাবার চিন্তা কারন যদি ফেল করি।পড়াশোনা একদম এই করি নি। যা হোক ভাল ভাল আমার পয়েন্ট আসল ৪.০০।তার পর ও বাবা খুশী কারন ফেল করি নি.. কিন্ত ভাল রেজাল্ট এর পক্ষে যথেষ্ট নয় আর সাইন্স এর কাছে থেকে আর ও বেশি হওয়ার কথা ছিল।
তখন কলেজের লাইফ শুরু হল।বাবা তখন আমার লেখাপড়ার তদারক শুরু করল।একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আমার বাবা ছিলেন বি.এ পাস।কলেজে আমাকে আবার সাইন্স এ ভর্তি করল। কলেজের দুইটা বছর দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল।ফাইনাল পরিক্ষা দিলাম তখন বাবার সেই ছোট বেলা আমাকে নিয়ে যে সপ্ন দেখতে লাগল আমাকে মেডিকেল এর স্টুডেন্ট বানাবে।ভর্তি করিয়ে দিলেন কোচিং এ।কিন্তু আমি পারছি না।নাম্বার কম পাই বলে আমাকে বকেন।কেন কম পাই বিভিন্ন সরম দেন।এক সময় রাগে কথা বলে ফেলি মুখে মুখে বলি পরব না।বাবা বলেন না পরলে বাসা থেকে বের হয়ে যা।তখন ভাবি যে চলে যাই। আরেক মনে ভাবি বাবা মা যাই করেন সন্তানের ভালর জন্য।এসব ভাবলে খুব খারাপ লাগে। জানিনা আমার যখন বাবার বয়স হবে তখন আমার সাথে কি হবে..???