somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাবনাগুলো মনের শিকলে বন্দী----!

১৫ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালে গিয়েছিলাম একজন বন্ধুর কাছে। সারাদিন নিজেকে ব্যস্ত রাখার অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে তার সাথে অনেক কিছুই শেয়ার করি বা শেয়ার করতে বাধ্য হই। তারপরও যদি নিজেকে কিছুটা হালকা অনুভব হয়; তাতে মন্দ কি--! কিছুক্ষন গান শুনি---,আবার কিছুটা সময় ব্যয় করি অন্যান্য বন্দুদের তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে----, আর বাকিটা সময় কাটে জোরপূর্বক ঘুমের ঘোরে।
যখন ঘুম থেকে উঠি, তখন সূর্যি-মামা আর আকাশে নেই। তাড়াতাড়ি হলে ফিরে যাওয়ার জন্য নিজেকে তাড়া দেই। তারপর দিন আমার সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা; তাই বাধ্য হয়েই অজানা আশংকায়, কাল্পনিক ভাবনায় ধীরগতিতে হলে চলে আসি।
হাত পা ধুয়ে যখন রুমে ঢুকি; তখন অজানা আশংকায় মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমার রুমমেটদের কথায় কর্নপাত করে কম্পিউটার অন করি। তারপর ও তাতে মন বসে না--------; সবাইকে নাটক দেখার জন্য বলে আমি বারান্দায় চলে যাই।
হঠাৎ সোহেলের ফোন বেজে উঠে আমার মোবাইলে। আনমনে ফোনটা রিসিভ করি--------------হ্যালো------------ কিছুক্ষন চুপ থাকি। পরক্ষনই বললাম- কোনো জরুরী কথা না থাকলে এখন কথা বলতে ভাল লাগছে না; পরে না হয় কথা বলবো। কিন্তু না---- কথা বলতেই হবে।
তার পর সে যা জানাল ----------- তা শুধু শুনেই যাই; প্রতিউওরে কোনো কথা বলতে পারি নাই। জীবনের এইক্ষনে এই কথা শুনবো তা কখনো কল্পনা ও করি নাই। কিন্তু বাস্তবতা না মানার কোনো উপায় নেই। ১০ থেকে ১৫ মিনিট কথা বলি তার সাথে। যখন কথাগুলো শুনি তখন মনে মনে সীমাহীন যন্ত্রনা অনুভব হয়। ফোনটা রাখার সাথে সাথে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারি নাই। মনের অজান্তে মুখ ফসকে বাহির হয়-----ইস! আমি যদি ফোনটা রিসিভ না করতাম----- তাহলে তো কমপক্ষে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারতাম। তাহলে কি আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম------------- আর কিছু ভাবতে পারছি না-------------চোখের সামনে আধাঁরের কালো আভা এসে আমার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়ে যায়।
আমি ভাবি কি আর মানুষ আমাকে কি ভাবে--------- তাই আমি বলতে পারছি না। সবাই কে আমি যে চোখে দেখে এসেছি সে চোখটিই আজ আমাকে র্নিবোধ বলছে। আমি যে তাদেরকে নিয়ে এতো ভাবি তার মূল্য কি আমি চাইতে ও পারবো না--------------- এ কেমন কথা-----!
রাতে অনেক চেষ্টা করেছি ঘুমিয়ে হলে ও কষ্টটা দূরে ঢেলে দেবো------; কিন্তু পারিনি। পরে নিজেকে সান্তনা দেই এই বলে যে--------------- আমি যাকে ভালবাসি তাকে মন দিয়ে আজীবন ভালবেসে যাবো, যেখানে থাকবে না কোনো ধরনের স্বার্থকতা।
জীবনের এই উত্তাল তরঙমালার মাঝে আজ আমি মনখুলে হাসতে পারছি না--------যদি ও অনেক হাসতে মন চায়; তবে আজ আমি কাঁদছি ও না-------------
সবার সুখ কামনা করে, সবার সুখ দেখে দেখে আমার যেন ইহজীবন কাটে--------- তাই কামনা করি বিধাতার নিকট। সকলের তরে আমার মরণ হবে—এই মোর শেষ হবিলাষ। সুখে থাকো বন্দুসকল------------!

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×