তোমাকে দেখলাম সেদিন ঠায় দাড়িয়ে আছ
বাসস্ট্যান্ডে হাত ধরে যুগলবন্দী কপোতের বেশে।
আমার হার্টবিট বেড়ে গেলে কোনমতে পালিয়ে বাঁচি।
তোমাকে এড়িয়ে চলতে চলতে
শেষতক তোমার মুখোমুখি
হলাম আজ অবশেষে।
তোমার জন্য কত অর্ঘ্য মাল্য রচনা করে
ক্লান্ত আমি শ্রান্ত পথিক বেশে
অঞ্জলি দিলাম তোমার করপুটে।
তুমি তো দাম্ভিক সৈরাচারীর দাপটে
অর্ঘ্য-মাল্য সব ছুড়ে দিলে,
কোন এক ঠুনকো অজুহাতে।
আর আমি যে রক্তের তপ্ত স্রোত পেরিয়ে
উত্তাল সমুদ্রের ফেনিল ঢেউ থামিয়ে।
সেভেন সামিটকে পদানত করে
সাত মহাদেশ থেকে দেশান্তরে, শুধু তোমার জন্য
একশ একটা নীল পদ্ম এনে
তোমাকে অঞ্জলি দিলাম।
আর তুমি! কি এক অজ্ঞাত কারনে
যুক্তিহীন যুক্তির খাতিরে
এমন নির্দয় হলে।
জয়িতা জিজ্ঞাসি তোমায় আজ
কিইবা এমন ক্ষতি হতো যদি
তোমার সীমাহীন ঐশ্বর্য্য থেকে আমায় কিছু দিতে?
আমি তো অচ্ছ্যুৎ এক চারন কবি।
তোমাতেই লীন তোমাতেই সমর্পিত আমি।
আর তুমি তো নিত্য নতুন বিনোদনের খোজে
আত্মপ্রসাধ লভো কাকে কতটুকু ঠকিয়েছে ভেবে।
জয়িতা একটু কৃপা কর করুনায় সিক্ত কর
তোমার অর্গল থেকে মুক্তি দাও
প্রেম-কুহকে বাধা শত তরুনে।
যারা কিনা অহর্নিশ তোমায় ভেবে
পেমার্ঘ্য রচনায় ব্যাপৃত, মুগ্ধতা আকন্ঠ?।
আর তুমি নিষ্ঠুর ছলনায়
হাজারো প্রেমাবেগ পদদলিত তোমার
রাজকীয় সব আয়েসী ভঙ্গিতে।
মন্ত্রপাঠ মাত্র শিরোচ্ছেদ এই আজ্ঞায়
কিম্ভুতকিমাকার জল্লাদ হৃদয় তোমার।
জয়িতা! আলগা কর †তামার †মা†হর বাধন
রক্ষা কর এ ধরাধাম।
যারা অসাধ্য সাধনে ব্যপৃত
জ্ঞান অন্বেষায় সদা জাগ্রত
কষ্ট দিওনা এমন হৃদয়।
জয়িতা যদি পার ফিরে আস
কোন এক গোধূলী বেলায়।
যখন পাখিরা নীড়ে ফেরে ক্লান্ত পাখায়
কর্মক্লান্ত মানুষেরা অধীর আগ্রহে যেমন
ফিরে আসে আপন ডেরায়।
তেমনি ফিরে এস প্রেম আর শুদ্ধতা নিয়ে
আমাতেই শেষ গন্তব্য ভেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭