বাদল দিনে বাঙ্গালীর খিচুড়ী বিলাস নেহায়েত নতুন নয়। ডাউলে-চাউলে মিলিয়ে কি একটা ভজঘট করে জগাখিচুড়ী পাকিয়ে খাওয়ার রেওয়াজই বোধহয় খিচুড়ী বিলাস। সাথে উপযাচক হিসেবে গরুর মাংসের ভূনা কিংবা ইলিশের চর্চরী সোনায় সোহাগা। যদিও আমজনতার ভাগ্যে সেসকল জোটে কদাচিৎ। বৃষ্টির দিনে তাদের জন্য জগাখিচুড়িই সার।
★★★ বিবাহিত ব্যাচেলরদের কেউ মনে না করলেও গোফ ওয়ালা ভাবীরা (মেসের পুরুষ কুক) ঠিকই মনে করেন। তারা নিশ্চয়ই বাদল দিনে ব্যাচেলরদের খিচুড়ী বিলাস হতে বঞ্চিত করবেন না। হলোও তাই, নামাযের অব্যবহিত পরেই খিচুড়ীর সাথে বেগুনের চর্চরী আর গরুর মাংসের ঝোল দিয়ে গেল রুম সার্ভিস। আমি সর্বভূক প্রাণী হলেও খিচুড়ীর ব্যাপারে একটু অ্যালার্জী আছে। তবুও বাদল দিনের চিরায়ত ঐতিহ্য রক্ষার্থে উদরপূর্তি করতেই হলো।
★★★ ব্যক্তিগত কথার আড়ালে আমি আসলে একটি মেসেজ দিতে চাই। এ সংক্রান্তে দুটো পয়েন্ট নিয়ে বলব।
(১) পছন্দের আপেক্ষিকতা। অর্থাৎ জগতের সবকিছুই সবাই পছন্দ করবে না এইটাই ন্বাভাবিক। প্রত্যেকের পছন্দই ইউনিক। সুতরাং পছন্দ ও ভালোলাগাটা আপেক্ষিক বিষয়। এ নিয়ে অহেতুক জোর খাটানো উচিত নয়।
(২) সময়ের চাহিদা বোঝা ও মানিয়ে নেয়া (খাপ খাওয়ানো)। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক অবস্খা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। অ্যালার্জীযুক্ত মানুষ বা কাজের সাথে সাময়িক মানিয়ে নেওয়া।
পাদটীকাঃ
খিচুড়ী নিয়ে জগাখিচুড়ী পাকিয়ে খিচুড়ীপ্রেমীদের বিরাগভাজন হতে চাই না বাপু। আমি মুলত দুটো কথা বলতেই খিচুড়ী নিয়ে কিঞ্চিৎ জগাখিচুড়ী পাকালাম। ডোন্ট মাইন্ড ফ্রেন্ডজ....
পুনশ্চঃ জগতের সবকিছুই নিয়ে জগাখিচুড়ী পাকানো যাদের অভ্যাস আজকের বাদলা দিনে তাদের জন্য এক প্লেট খিচুড়ীযুক্ত সমবেদনা।
ঢাকা, ২০ অক্টোবর ২০১৭ খ্রিঃ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬