★★★ স্কুল লাইফে কখনো ব্যাক বেঞ্চে বসেছি কি না, এমন ইতিহাস খুজলে পাওয়া যাবে না। তবে সহপাঠীদের সাথে গল্প আর আড্ডাবাজিতে ব্যাক বেঞ্চের জুড়ি মেলা ভার। এতদিনে এই ধারনাটাই পাকাপোক্ত হল, ব্যাক বেঞ্চার স্টুডেন্টরা পড়ায় নয়, তারা মূলত আত্মবিশ্বাস ও মনোবলে দুর্বল। আর দুর্বলতা এড়ানোর জন্য ব্যাক বেঞ্চে বসেই বড় ভুলটা করে তারা। স্কুল জীবনের এইসব অভিজ্ঞতার কাহিনী লিখলে মহাকাব্য লেখা যাবে। আম জনতার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে পারে ভেবে সেদিকে আর যাচ্ছি না।
★★★ আমি ছাত্র ভাল কি মন্দ সেকথা বলছি না, তবে ফাস্ট বেঞ্চে বসার সুবাদে স্যাররা ধরেই নিতেন, নিশ্চয়ই পড়া মুখস্থ করেই এসেছে ছেলেটা। তাই আমাকে আর পড়া ধরাটা নিতান্তই অনাবশ্যক ভেবে ব্যাক বেঞ্চার গাধাদের পিটিয়ে মানুষ করার গুরুদায়িত্ব পালনে ব্যতিব্যস্ত হতেন। প্রকৃত সত্য হলো ঔদিনের পড়াটা আমার আদৌ পড়া হয় নি,টনটনে মুখস্থ তো দুরের কথা।
★★★ ক্লাস নাইন-টেনের বাংলা প্রথম পত্রের কবিতার ভাবার্থ শেখানোর জন্য হেড স্যারের ছিল সে কি প্রানান্ত চেষ্টা। কিন্তু গবেটের দলগুলো মাইকেল মধুসুদন দত্তের "কপোতাক্ষ নদ" এর ভাবার্থ গলাধঃকরন করতে করতেই পিঠের ছাল অর্ধেক খুইয়ে বসত। আর আমি আরামসে সতত মানে সর্বদা, নদীর পুলিঙ্গ নদ, বিরলে মানে দুরে ইত্যাদি শিখেই সে যাত্রা উতরে যেতাম। এছাড়াও ব্যাক বেঞ্চারগন বিভিন্ন প্রকার লাঞ্চনা, গঞ্জনার শিকার হতেন। কখনো বা ঠাডা পড়া অঞ্চলের বাসিন্দা বলিয়া তাহাদিগকে কটুক্তি করা হইত (পড়া না পাড়ার কারনে হয়তো বা একবিংশ শতাব্দীতেও বলা হয়ে থাকতে পারে)। সুতরাং ব্যাক বেঞ্চার ছাত্রগন এখনও সতর্ক হন, পড়া শিখুন আর নাই বা শিখুন অন্তত নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলটা বাড়ান আর ফাকিবাজি করুন আরামসে।
বিঃদ্রঃ যদিও এখনকার সৃজনশীল পদ্ধতিতে মুখস্থ বিদ্যার চল নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল বৃদ্ধিই হতে পারে ভাল ফলাফলের নিয়ামক।