
সতর্কতামূলক লক্ষণ: একটানা বমি, প্রচণ্ড পেট ব্যথা, অবসন্নতা বা অস্থিরতা অর্থাৎ আচরণগত পরিবর্তন, শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ (চামড়ায় ফুসকুড়ি, দাঁতের মাড়ি, নাকে, বমির সঙ্গে, পায়খানা-প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া) হাত-পা ফ্যাকাশে হয়ে ঠান্ডা বা ঘর্মাক্ত হওয়া, ৪-৬ ঘণ্টা ধরে প্রস্রাব না হওয়া সতর্কতার লক্ষণ। মনে রাখবেন, জ্বর ভালো হওয়ার পর ৩ থেকে ৪ দিন খুব ঝুঁকিপূর্ণ থাকে; যা ডেঙ্গু জ্বরের ক্রিটিক্যাল ফেইজ হিসেবে চিহ্নিত। তাই জ্বর নেমে গেলেই রোগী শঙ্কামুক্ত ভাবা ভুল।
করণীয়: প্যারাসিটামল ছাড়া কোনো জ্বর বা ব্যথার ওষুধ খেলে জটিলতা ও বিপদের আশঙ্কা দেখা দেবে। প্রথম দিনেই ডাক্তার দেখাবে হবে এবং তিনটি টেস্ট অর্থাৎ সিবিসি, ডেঙ্গু এনএস ১, এসজিওটি করতে হবে। ডেঙ্গু এনএস ১ জ্বর শুরু হওয়ার ৩ দিন পর করলে লাভ নেই। সে ক্ষেত্রে সিবিসি, এসজিওটি, ডেঙ্গু অ্যান্টিবটি করতে হবে।
শকের লক্ষণ: তীব্র পেট ব্যথা, লো প্রেশারের সঙ্গে রোগীর হাত ও পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। যদি অল্প প্রস্রাব হয়, হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে, পেট ফুলে গেলে, হঠাৎ করে গা ঝাঁকুনি দিয়ে খিঁচুনি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। দিনে ৩ বারের বেশি বমি ও পাতলা পায়খানা হলে সোজা হাসপাতালে চলে যাবেন।
বাসায় করণীয়: রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল যেমন– ডাবের পানি, স্যালাইনের পানি, স্যুপ, শরবত খাওয়াবেন। বমি, পাতলা পায়খানা হলে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।
বাসায় পালস অক্সিমিটার থাকলে অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করবেন। শ্বাসকষ্ট হলে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারও কারও ক্ষেত্রে প্লুরাল ইফিউশন অর্থাৎ ফুসফুসে, পেটে পানি চলে আসতে পারে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুর হোসেন এর লেখা থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


