পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন "আমি বাইডেনকে অনুনয় করে বললাম আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আমার প্রধানমন্ত্রী আপনার সাথে একটু কথা বলতে চান। উনি বললেন নিশ্চয়ই " পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাইডেন আলাপচারিতার একসময় জিয়াউদ্দিন নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা পিএম হাসিনা এবং বাইডেনের ছবি তুলতে যান। ঠিক তখনই প্রেসিডেন্ট বাইডেন জিয়াউদ্দিনের ফোন নিয়ে বললো দাও আমি সেলফি তুলি। এই হচ্ছে ঐতিহাসিক সেলফির ইতিহাস। যা পররাষ্ট্রমন্ত্রীই নিজেই বলছেন। অথচ আওয়ামীলীগ প্রচার করছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজে গিয়ে নিজের পকেটের ফোন বের করে বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার সাথে ছবি তুলেছে।
এর আগেও এমন অপপ্রচার তারা করেছিল; তুর্কি প্রেসিডেন্ট নাকি বিজয় লাভ করার পর আনন্দে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। এই হচ্ছে সব আজগুবি কথাবার্তা। এদিকে আবার ওবায়দুল কাদের বলছেনএক সেলফিতেই বিএনপির লাফালাফি বন্ধ।
অথচ এইতো ক'দিন আগেই আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বলেছিলেন, ২০ ঘন্টায় ২০ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আটলান্টিকের ওপারে আমেরিকা যাওয়ার কোন প্রয়োজন নাই তাহলে বাইডেনের সাথে একটা সেলফির এতো গুরুত্ব কেন?
কোন একসময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিফট দিয়ে ওনার রুমে যাচ্ছেন তখন লিফ্টম্যানের অনুরোধে তার সাথে একটি সেল্ফি তুলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিফ্টম্যানেরই ফোন দিয়ে। তাই বলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিন্তু লিফ্টম্যানের সমস্ত আশা-আকাঙ্খা পুরণ দেননি এবং লিফ্টম্যানও সেই সুযোগই পাননি এর বেশী অনুরোধ করতে।
কোন কোন ব্লগার নিম্নে এই ছবি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, এই ধরণীতে আমাদের প্রধান মন্ত্রীই সবচেয়ে বড় নেতা। কেউ কেউ তো ইতোমধ্যেই তাকে বিশ্বনেতা উপাধিও দিয়েছেন।
এতো বড় একটা দল কতটা অসহায় দেউলিয়াত্ব বরণ করলে একটি সেলফি নিয়ে মাতামাতি করে তা কারো বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা না!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬