৫ আগস্ট জয় যে কথা বলেছিল সে কথা থেকে জয় ধীরে ধীরে সরে আসছে এবং সে এখন যা বলছে সেটা তার নিজের কথা না এটা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর কথা।
৫ আগস্ট : শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না।
৭ আগস্ট : জয় ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলে, একদিন আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
একই দিন (৭ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে এক ভিডিও বার্তায় জয় বলে, আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয়। নেতা-কর্মীদের সাহস নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আছি।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয়।’
৮ আগস্ট : ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে জয়। শেখ হাসিনা আর দেশে ফিরবেন না—শুরুর দিকে এমন কথা বললেও এদিন জয় বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ফিরবেন। জয় বলে, ‘শেখ হাসিনা অবসরপ্রাপ্ত না সক্রিয় রাজনীতিক হিসেবে ফিরবেন, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তনের কারণ হিসেবে জয় বলেন, ‘গত কয়েকদিন আমাদের দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর হামলার পর অনেক কিছু পাল্টে গেছে। এখন আমরা আমাদের মানুষদের নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করব। আমরা তাদের একা ছেড়ে যাব না।’
একই দিন (৮ আগস্ট) বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, ‘কোটা আন্দোলন যে সরকার উৎখাতের দিকে গড়াবে, সেটি তারা কেউ ধারণা করতে পারেননি।’
৯ আগস্ট : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উইয়ন নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় জানিয়েছে, তাঁর মা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন এবং অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
একই দিন (৯ আগস্ট) টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জয় বলে, ‘শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন।’ জয় জানান, নেতা কর্মীরা চাইলে তিনি রাজনীতিতে আসতে প্রস্তুত।
সবশেষ ১০ আগস্ট : জয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার মা (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাঁকে সে সময়টুকু দেওয়া হয়নি।’
জয় বলে, যদিও রাষ্ট্রপতি সেনাপ্রধান ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ‘আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে’।
সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলে, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।’
জনগনও চায় তিনি ফেরত আসুক। বিচার হোক গণহত্যার, আয়না ঘর নির্যাতনের, পিলখানা হত্যার, শাপলা চত্বর হত্যার, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার।
সূত্র এখানে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


