বিচারপতি খায়রুল হক নানা কারণে আলোচিত ছিলেন। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে। তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করায় দেশে রাজনৈতিক সংঘাতের পথ উন্মুক্ত হয়। এই মামলায় নিজেরই দেওয়া সংক্ষিপ্ত আদেশ ছিল যে, পরবর্তী দুই টার্ম কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে"। কিন্তু বিতর্কিতভাবে ১৬ মাস পরে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদের লোভে খায়রুল পূর্ণাঙ্গ রায়ে পরবর্তী দুই টার্ম কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে" কথাটি বাদ দিয়ে দিলেন।
নৈতীকভাবেও খায়রুল ছিলেন অসৎ তিনি প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ত্রাণ তহবিলের টাকা গ্রহণ করে নিজের চিকিৎসা করেছেন। প্রথা ভেঙে প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তাছাড়ও তিনি বিচারপতি থাকা অবস্থায় অন্য কয়েকজন বিচারপতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন যা আইনী ইথিকস-এ পড়েনা।
ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ১৫৩ জন এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে যান। বাকি ১৪৭ আসনে ভোট গ্রহণ ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। পরবর্তীতে হাসিনার একনায়ক বণে যাওয়ার পিছনে এই রায় মূখ্য ভুমিকা পালন করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামো হয়ে থাকে তাহলে খায়রুল কি সংবিধানের সেই মৌলিক কাঠামোতে আঘাত করেনি তার বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমে? আশা করি বিচারপতি খায়রুল হক কোন একদিন বিচারের কাটঘরে দাড়িয়ে এসব প্রশ্নের জবাব দিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪