কূটনৈতিক মিশনগুলোতে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সেই দেশের সরকারের দায়িত্ব। কলকাতার পর আবারো আগরতলায় হামলা নিছক কোন দূর্ঘটনা হয় ইহা সম্পূর্ন পূর্বপরিকল্পিত; যেহেতু কলকাতার হিংস্রতার পর আগরতলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাই পরিস্কারভাবে বলা যায় ইহা পূর্বপরিকল্পিত। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য থাকলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বা নিতে দেওয়া হয়নি। এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিস্কারভাবে ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশন, ১৯৬১ এর লঙ্ঘন।
ভারতের গোবর ও গোমূত্রখোর গেরুয়া বাহিনী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক সরকার এর দায় কোনভাবে এড়াতে পারেনা। এরা নিজ দেশে সংখ্যালঘুদের পদে পদে হেনস্থা করতে, মারধর করছে, পিটিয়ে মারছে, পুড়ে মারছে। তারা গরুকান্ডে মুসলিমদের হত্য করছে সেখানে মুসলিমদের কোন মূল্য নেই যতটা না আছে গরুর মূল্য! সেখানে ২২/২৩ পার্সেন্ট মুসলিম হলেও ১ পার্সেন্ট মুসলিমও কোন সরকারী চাকুরীতে নেই এবং নেওয়া হয়না পক্ষান্তরে বাংলাদেশে সরকারী কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু। তারা বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে রামমন্দির তৈরী করলো ইদানীর প্রতিটি মসজিদ মাদ্রাসা ও মাজারে তার মন্দির খুঁজে পাচ্ছে! গোমূত্রখোররা ভারতকে মুসলিম শুন্য করতে নীল নকশা তৈরি করেছে।
এই সাম্প্রদায়িক গেরুয়া অপশক্তি নিজদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে সিদ্ধহস্ত সেই সন্ত্রসীরা বলে কী না বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে যা চরমভাবে মিথ্যচারেরও সীমা লঙ্ঘন! সংখ্যালঘুর ধোয়াতুলে তারা তাদের দূরভীসন্ধি বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত যা বাংলাদেশীরা কোন ভাবেই বরদাস্ত করবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২