বাংলাদেশের হিন্দুরা বলতে গেলে ৯৫ পার্সেন্ট আম্লিগকে ভোটি দেয় ইহা ধ্রুবসত্য। অনেকেই হয়তো দ্বিমত পোষণ করতে পারে সেটা তার নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তারা সবসময়ই ভাবে আম্লিগ তাদের রক্ষাকর্তা কিন্তু তারা বিরাট ভ্রমের মধ্যে আছে। তার বুঝতেই পারছেনা বা বুঝতে দেওয়া হচ্ছেনা যে স্বাধীনতার পর তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আম্লিগ। তাদের সম্পদ যাকিছু বেদখল হয়ে তার সবই করেছে আম্লিগ। কোন একজন হিন্দু বলতে পারবেনা যে তাদের সম্পদ দখল করেছে জামাত বা বিএনপি। অপকর্ম করে আম্লিগ মিডিয়ার কল্যাণে সেটা হয়ে যায় জামাত বা বিএনপি। তারা যদি রক্ষাকর্তা হিবেবে আম্লিগকে সমর্থন না করে সব রাজনৈতিক দলের সংগে রাজনীতি করতো তাহলে কোন সময়ই আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হতোনা। আম্লিগের প্রধান স্বয়ং হাসিনাই হিন্দুদের মধ্যে দাঙ্গা বাধানো জন্য টাকা ঢেলেছিল যার প্রমান নিচের ভিডিওতে দেখা যেতে পারে।
হিন্দুদেরকে শক্তভাবে দাড়াতে হবে; বাংলাদেশেকে নিজের ভাবতে হবে ভালোবাসতে হবে একজন মুসলিমের যতটুকু অধিকার তারথেকে একবিন্দু অধিকার কোন হিন্দু কম না এটা সবসময় ধারণ করতে হবে এবং বুক ফুলিয়ে চলতে হবে। তাদের আজন্ম এক পাঁ ভারতে রাখার প্রবনতা বন্ধ করতে হবে। এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সরকারী চাকুরীতে ২৫ % বা আরো বেশীঅবদান রাখছে যেখানে তাদের সংখ্যা ৭/৮ পার্সেন্ট তাহলে তারা নিজেদেরকে বঞ্চিতভাবে কেন? নিচের ভিডিওতে ভারতীয় এক কবি ও সাংবাদিকে কথায় আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
হিন্দু ভাইদের একটা কথা অবশ্য অবশ্যই মনে রাখতে হবে কোন বিপদে ভারত আপনাদের কোনভাবেই সাহায্য করতে পারবেনা তাই ভারতের কাছে সাহায্য না চেয়ে নিজেদের কোমর শক্ত করুন। ভারতীয় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শক্তভাবে কথা বলুন। দেশকে ভালোবাসুন বিভেদ সৃষ্টি না করে দেশের মানুষের সংগে মিলেমিশে চলুন।
একটা কথা মনে রাখবেন বাংলাদেশ ভারত না যে রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোশকতায় সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হবে, সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন ধরনের আইনের মাধ্যমে একটা গন্ডির মধ্যে আটকিয়ে দেওয়া হবে এবং নানাভাবে ধর্মীয় বিধিনিষের আওতায় আনা হবে যাতে সংখ্যালঘুরা দিনের পর দিন আরো নিষ্পেষিত আরো নির্যাতিত হয়। পরিশেষে আবারো বলবো বাংলাদেশে আমার যতটুকু অধিকার আপনারও ঠিক ততটুকুই অধিকার এক বিন্দুও কম নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৮