
মোদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এখন ক্ষমতার কেন্দ্রে, মোদী যখন গুজরাটে মূখ্যমন্ত্রী তখন তিনি দাঙ্গা বাধিয়ে দুই হাজারেরও বেশি মুসলিমকে হত্যা করেছিলেন, বাবরি মসজিদ আক্রমনের নাটের গুরু তিনিই ছিলেন সেখানেও বহু মুলিমকে হত্যা করা হয়েছিল এবং সেই তিনিই বিচার ব্যবস্থায় তার অনুগত একজন বিচারপতি বসিয়ে বাবরি মসজিদের যায়গাতে মন্দির নির্মান করেছেন এবং সেই মোদীই তার নিয়ন্ত্রনাধীন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দ্বারা এখন মুসলিমদের সব ধর্মীয় স্থাপনার নিচে মন্দির খুঁজে বেড়াচ্ছে বা পাচ্ছে। এই মোদীই গরু গোবর গোমূত্রকে কেন্দ্রকরে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করছেন এবং উগ্র একটি গোষ্টি তৈরি করছেন যারা বিশ্বাসের ঠেলায় গোবর গোমূত্র খাবে অপরদিকে গোমাংস খাওয়কে কেন্দ্র করে মুসলিমদের পিটিয়ে, পুড়িয়ে হত্যা করছে তখন মোদী তথা তাদের কেউ কথা বলছেনা। নিজেদেশে যারা সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং সংখ্যালঘুদের প্রতিনিয়ত নিপীড়ন করছে সেই তারাই আবার অন্যদেশে ত্রাতার ভুমিকায় নেমে অহেতুক বিদ্বেষ ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
একটা সময় এমন ছিল যখন বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবাংলা একাকার ছিল, ছিলানা কোন ভেদাভেদ শুধু একটা সীমান্ত ছাড়া ছিলনা কোন দূরত্ব কিন্তু রাজনৈতকি পরিক্রমায় সেটা এখন সুদূর অতীত।
গেরুয়ারা এতোটাই ঘৃণার চর্চা করছে যে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং হাইকমিশনের অনেক আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। তাদের পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা দিনের আলোর মতো পরিস্কার করে যে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের সংগঠনের সদস্য কতৃক হামলা ভাংচূর নিঃসন্দেহে পূর্বপরিকল্পিত এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশে ঘৃণার ব্যবহার উভয় দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী টানাপড়েন সৃষ্টি করবে। এই ঘৃণার রেশ চলতে থাকবে দশকের পর দশক যা কোন দেশের জন্যই হিতকর নহে। তবে আশার কথা হলো ভারতে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা সৎপ্রতিবেশী সুলভ এবং মানবীয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



