
(চুলকানী থাকলে এড়িয়ে চলুন / ট্যাগ লাগানোর আগে ভাবুন)
ততকালীন সময়ে অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিদের পরজিত হওয়া ও ১৯১৮ সালে জার্মানির রাজতন্ত্রের বিলোপ ইহুদিদের ষড়যন্ত্রের ফলেই সংঘটিত হয়েছিল বলে হিটলার বিশ্বাস করতেন। তাছাড়াও হিটলার ছেলেবেলায় ভিয়েনার একটি আর্ট স্কুলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন বলেই ইহুদিদের প্রতি এক ধরণের বিতৃষ্ণার জন্ম হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে হিটলারের নেতৃত্বাধীনে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানি ও তার সহযোগীরা জার্মান অধিকৃত ইউরোপজুড়ে প্রায় ষাট লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন। যা হোলোকাস্ট নামে পরিচিত।
হোলোকাস্ট শব্দটি গ্রীক শব্দ। শতাব্দী ধরে হোলোকাস্ট সাধারণ ইংরেজি শব্দ ছিল যার অর্থ "আগুনের মাধ্যমে ধ্বংস বা বলিদান" বা রূপকভাবে "গণহত্যা"। ১৯৫০-এর দশকে হোলোকাস্ট একটি বিশেষ শব্দ হয়ে ওঠে এবং ইংরেজি ও অন্যান্য অনেক ভাষায় ইহুদিদের নাৎসি নির্মূল বর্ণনা করার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাধারণ শব্দ। অর্থাৎ ইহুদিদের ধ্বংসের জন্য ডিফল্ট শব্দ হয়ে ওঠে বা একচেটিয়াভাবে ইহুদি নিধনকে বোঝায়।
সুকৌশলে ইহুদিরা এটা করতে পেরেছিল সেই সংগে জার্মানদের মনে তারা প্রথিত করতে পেরেছে যে, ইহুদি নিধন অপরাধের কারণে জার্মানি তথা জার্মানদের পৃথিবী ধ্বংস পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত এর মাশুল দিতে হবে অর্থাৎ ইহুদিদের সকল অপকর্মের পক্ষে সাফাই গাইতে হবে, প্রশ্নহীনভাবে তাদেরকে আর্থিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক, আঞ্চলিক সাপোর্ট দিতে হবে, তাদের সকল অন্যায়কে সমর্থন করতে হবে এবং এর পক্ষে বিবৃতি দিতে হবে। ইহুদি বিদ্বেষ আইন প্রনয়ন করতে হবে অর্থাৎ ইহুদিরা হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল এবং এই হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠার সুফল এখন ইসরাইল পাচ্ছে।
ঠিক এমনি ভাবে---------
ভারত ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে একটা হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠা করেছিল। ভারতের হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র ছিল পাকিস্তান বিদ্বেষ, রাজাকার, আলবদর, আলসামস ইত্যাদি শব্দাবলিকে গালিতে রুপান্তর করা, আম্লিগ বা ভারতের বিরুদ্ধে থাকলেই স্বাধিনতার বিপক্ষের শক্তি বলা; পাকিস্তানে চলে যেতে বলা। জামায়াতে ইসলামী করা অন্যায় এবং দেশবিরোধী তকমা দেওয়া।

আপনারা জানেন কী? ভারতের ডানপন্থী দলগুলোর মূল এজেন্ডাই হলো সংখ্যালঘুদের নানাভাবে কটুক্তি করা সেটা প্রধানমন্ত্রী, মূখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, জাতীয় পর্যায়ের থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ের সব নেতারই প্রথম ও প্রধান কর্ম। পক্ষান্তরে কেউই বলতে পারবেনা যে জামায়াতের কোন জাতীয় নেতা রাজনৈতিক মঞ্চে সংখ্যালঘুদের কটুক্তি করে বক্তৃতা করেছে। তারপরও ভারতীয় হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠায় জামায়াত করা পাপ, অন্যায় ও দেশবিরোধী বলে প্রচারনা চালানো হয়।
বলুনতো যদি জামায়াত ক্ষমতায় আসে (যেটা আপাতত সম্ভব নয়) তাহলে কী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবে (?) নাকি সেটা আদৌ সম্ভব?
ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল তারপর কী উভয় দেশ বাকযুদ্ধে লিপ্ত ছিল? না তারা উভয়ই এখন ভালো মিত্র, ভালো বাণিজ্যিক অংশীদার ভিয়েতনাম ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানী করেছে যা ৫ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ। আরো বহু উদাহরণ আছে যেখানে যুদ্ধে ইতিহাস নিয়ে কেউ ৫৫ বছর ধরে বাকযুদ্ধে লিপ্ত নেই।
শুধু আমরাই আছি কারণ ভারত পূর্ণমাত্রায় আম্লিগের মাধ্যমে হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল।অর্থাৎ রাজনৈতিক জামায়াত করা পাপ, দেশবিরোধী কর্ম!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




