
জামায়াত শিবির একটি সুসংগঠিত সংগঠন। সেই তুলনায় বিএনপি, জাতীয়পার্টি এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আম্লিগ সুসংগঠিত নয়। জামায়তের সংগে বিএনপি, জাতীয়পার্টি এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আম্লিগের বিশাল ফারাক লক্ষ করা যায়। বিএনপি, জাতীয়পার্টি এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আম্লিগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সবসময়ই খাই খাই ভাব এবং এই পার্টি ত্রয় যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা যে যেভাবে পারে লুটে পুটে খেয়েছে। আম্লিগের সময় তো পুরো দেশটি পারলে ওরা গিলে খেতো। শেখ পরিবার ও তার দোসররা ব্যাংক ডাকাতী করে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়েছিল। ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থানে আপাতত রক্ষা পেয়েছে।
জামায়াত এখনো রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় যেতে পারেনি তাই তাদের সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পাওয়া যাচ্ছেনা যে তারা যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে কতটা খাই খাই হবে। জামায়াতের মৌলিক পার্থক্য হলো তাদের নেতাকর্মীরা দলের জন্য চাঁদা দেয় অন্য যে ত্রয়ি দল আছে তারা চাঁদা খায়। ইতিম্যেই বিএনপির চাঁদাবাজদের নিয়ে জনগন, পেপার পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে বিপুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জামায়াত তাদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড শক্ত করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান করেছিল সেগুলো দেশের সেরাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল। আম্লিগ অনেক পুরোনো দল হলেও তাদের কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিলনা যার মাধ্যমে আয় হবে তারা চাঁদাবাজি, চুরি ডাকাতীতে ব্যস্ত ছিল। বিএনপিরও একই অবস্থা। জাতীয় পার্টি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা যাদের চাল চুলা কিছুই নেই, আম্লিগের দালালী করতে করতেই শেষ।
দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে জামায়াতের কোন দক্ষ নেতা নেই। যেগুটি কয়েক নেতা আছে তাদের আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা নেই এমনকি বহিঃবিশ্বে তাদেরকে মেনে নেওয়ার মতো কোন রাষ্ট্রও নেই বা পরিচিতিও নেই। পশ্চিমারা তাদেরকে সরাসরি বয়কট করবে। দেশ এক অতল গহবরে নিমজ্জিত হবে। দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভারত আরো কোনঠাসা করার জন্য জঙ্গী নাটকের ব্যবস্থা করবে, দেশে পুরোদমে নৈরাজ্য সৃষ্টির কোন কার্পণ্য করবেনা ভারত।
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনে আগামি নির্বাচনে জামায়াত সর্বোচ্চ ৩৫/৪০ টা সিট পেলেও পেতে পারে। যেহেতু আম্লিগ নিষিদ্ধ দল তাই বিএনপি ছক্কা মারবে বলে আমার ধারণা।
আপনার মতামত শেয়ার করলে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে একটা সম্মক ধারনা পাওয়া যেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




