
গত মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তা বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে আন্দোলনে নামে অরাজকত সৃষ্টি করে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারের তরফে বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন এবং তারা আরো আগ্রাসী হয়ে উঠে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ ব্যানারে তারা এনবিআরকে বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা বিভাগ করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। তারা আরো বলছেন তাদের মতামত উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা আরো এককাঠি এগিয়ে প্রতীকী কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ করছেন। এখানে কথা হলো তারা কেন সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে? তাদের তো চাকুরীচ্যুত করা হয়নি তাহলে কোন স্বার্থে তাদের এই বিরোধিতা?
গণহারে ক্ষমা প্রার্থনা-----
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এর প্রথম সারির কয়েক জনকে যখন দুদক চিঠি ধরিয়ে দিলো তাদের অবৈধ সন্পদের তথ্য চেয়ে তখনই তাদের ডাইরিয়া শুরু হলো কেন? যেখানে কাফনের কাপড় পরে প্রস্তুত সেখানে সামান্য সম্পদের তথ্য চাইতেই কেন রণে ভঙ্গ দিলেন? তারা কী তাহলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন যে দুদকের চিঠি পাওয়া মাত্রই দুহাটু ঠক ঠক করে কাঁপছে? আপামোর জনতা জানে যে এনবিআরের একজন পিয়নও কোটি টাকার মালিক, কমিশনাররা কেউ কেউ শত কোটি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আমরা আগওে দেখেছি মতিউর কীভাবে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছিল!
মাফ চাইলেই কী মাফ করা সম্ভব-------
তারা যে অনৈতিক আন্দোলন করেছে যার ফলে দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতির দায়ভার কে নেবে? এখন সময় হয়েছে মিডিয়ার ফুটেজ দেখে তাদের আইনের আওতায় আনা। প্রত্যেকের অর্থাৎ এটুজেড সবার আয়ের তথ্য অনুসন্ধান করা, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, চাকুরি চ্যুত করা এবং আইনের হাতে তুলে দিয়ে বিচারের মাধ্যমে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা। নাহলে ফেসিবাদের দোসরা আবারো সকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তার করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




