ব্লগটিকে বিবর্তনবাদীদের জন্য সাধারণভাবে এবং বাংলা বিবর্তনবাদীদের জন্য বিশেষভাবে উৎসর্গীকৃত। যদিও বিবর্তনবাদীদের নিয়ে লিখতে গেলে বিনোদনের কোনো শেষ নেই তথাপি ব্লগটিকে নির্দিষ্ট কিছু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, শিরোনামে ‘বিনোদন ব্লগ’ নাম দেয়া হলেও সত্যিকারের বিনোদনমূলক কিছু না পেলে তার জন্য লেখক দায়ী থাকবেন না। দেরি না করে শুরু করা যাক তাহলে…!
১. বিবর্তনবাদীদের শরীরে নাকি শতাধিক নিষ্ক্রিয় অঙ্গের অস্তিত্ব আছে, যেগুলো এখন আর কোনো কাজে লাগে না। তো পাঠক! এবার আপনারাই বলুন – যাদের শরীর ব্যাড ডিজাইন আর শতাধিক নিষ্ক্রিয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ভরপুর তাদের কথার মধ্যে যৌক্তিক বা তথ্যপূর্ণ কিছু থাকতে পারে কি-না? তাদের কোনো কথাকে গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে কি-না? তাদের মাথা থেকে প্রলাপ ছাড়া যৌক্তিক বা তথ্যপূর্ণ কিছু তো বেরুনোর কথা না! দেখুন-
২. ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন’ এর প্রবক্তাদের সাথে বাকযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে বিবর্তনবাদী নাস্তিকরা ‘ইন্টেলিজেন্ট’ ও ‘ডিজাইন’ শব্দ দুটি শোনার সাথে সাথে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। অথচ প্রফেসর স্টিফেন হকিং-এর সম্প্রতি প্রকাশিত “The Grand Design” বইয়ে ‘ডিজাইন’ শব্দটা থাকা সত্ত্বেও তারা এই বইকে নাস্তিকতার পক্ষে 'প্রমাণ' হিসেবে ব্যবহারের জন্য লাফালাফি শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে আবার তাদের মহাগুরু রিচার্ড ডকিন্স ইতোমধ্যে ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনার’ এর অস্তিত্বও স্বীকার করেছেন। কেমন লাগে বলুন তো! দেখুন-
৩. বিবর্তনবাদীরা নিজেদেরকে বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রজাতির কাজিন বা নিকট-আত্মীয় প্রমাণ করার জন্য বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সাথে লেজওয়ালা প্রজাতির নাকি তেমন কোনো পার্থক্যই নেই। তা-ই যদি হয় তাহলে আমরা যেমন লেজওয়ালা প্রজাতির কিচিরমিচিরকে কোনো গুরুত্ব দেইনা তেমনি বিবর্তনবাদীদের কিচিরমিচিরকেও কিন্তু গুরুত্ব দেয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ থাকতে পারে না! কী বলেন পাঠক? দেখুন-
৪. বিবর্তনবাদীরা নিজেদেরকে লেজওয়ালা প্রজাতির নিকট-আত্মীয় বলে দাবি করলেও এ পর্যন্ত নিদেনপক্ষে একজন বিবর্তনবাদীকেও পাওয়া যায়নি – যে কিনা তার লেজওয়ালা নিকট-আত্মীয়দের কাছে থেকে বিবর্তন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে কিছু জানতে চেয়েছেন! কিংবা লেজওয়ালা কোনো নিকট-আত্মীয় লেজবিহীন বিবর্তনবাদীদেরকে বিবর্তন সম্পর্কে কিছু তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সাহায্য করেছে। এ কেমন নিকট-আত্মীয়! নিকট-আত্মীয়দের একে-অপরের প্রতি এতটা অবজ্ঞা কেনো!
৫. যেখানে বিবর্তনবাদীদের সাথে বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রজাতির খালি চোখে দেখা যায় এমন অনেক মিল আছে – যেমন: উভয়েরই এক মাথা, দুই কান, দুই চোখ, এক নাক, দুই হাত, দুই পা, ইত্যাদি আছে; উভয়েরই পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ আছে; উভয়েই বাচ্চা প্রসব করে; উভয়ের শরীরেই রক্ত আছে; উভয়েরই পরিপাকতন্ত্র আছে; উভয়েই খাদ্য গ্রহণ করে; উভয়েই মল-মূত্র ত্যাগ করে; উভয়েই ঘুমায়; উভয়েই মারা যায়; ইত্যাদি – সেখানে বিবর্তনবাদীরা ডিএনএ দিয়ে বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রজাতির সাথে নিজেদের সাদৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করেন – যে ডিএনএ-কে খালি চোখে দেখা যায় না! ব্যাপারটাকে হাস্যকর মনে হয় না?
৬. বিবর্তনবাদীদের আদি পূর্ব-পুরুষ প্রাইমেটরা নাকি গাছে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য লেজ ব্যবহার করতো। গাছ থেকে নিচে নেমে আসার পর নাকি লেজের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে – যদিও কেনো ও কীভাবে প্রথমে লেজ গজালো আর কীভাবেই বা আবার সেই লেজ বিলুপ্ত হয়ে গেল তা কখনোই বলা হয় না! বিবর্তনবাদীরা যে সত্যি সত্যি লেজওয়ালা প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছে তার স্বপক্ষে তাদের একটি ‘বৈজ্ঞানিক প্রমাণ’ হচ্ছে লেজওয়ালা মানব শিশু! বিবর্তনবাদীদের হারিয়ে যাওয়া লেজ দেখুন-
৭. বিবর্তনবাদীরা লোমশ প্রাইমেটদের থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলেই নাকি তাদের গায়ে লোম রয়ে গেছে! তাহলে ব্যাপারটা এরকম দাঁড়ালো: তারা মাথা-ওয়ালা প্রাইমেটদের থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলেই তাদের গায়ে মাথা রয়ে গেছে! চোখ-কান-ওয়ালা প্রাইমেটদের থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলেই তাদের গায়ে চোখ-কান রয়ে গেছে! বুদ্ধিমত্তাহীন প্রাইমেটদের থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলেই তারা বুদ্ধিমত্তাহীন রয়ে গেছে!
৮. বাংলা বিবর্তনবাদীদের মধ্যে কারো কারো বেশ জোরালো একটি যুক্তি হচ্ছে: পশ্চিমা বিশ্বের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঘা বাঘা অধ্যাপকরা যেহেতু বিবর্তন তত্ত্বে বিশ্বাস করেন এবং নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু বিবর্তন তত্ত্ব পড়ানো হয় সেহেতু বিবর্তন তত্ত্ব অবশ্যই সত্য হবে!
৯. বিবর্তনবাদীরা সব সময় “বীটিং অ্যারাউন্ড দ্য বুশ” নীতি অনুসরণ করে। তারা নির্দিষ্ট কোনো যুক্তিতে স্থির থাকতে পারে না – যেহেতু তাদের বিশ্বাসের যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক তারা মানব দেহের অ্যাপেনডিক্সকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে ফতোয়া দিয়ে বিবর্তনের পক্ষে ‘প্রমাণ’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অ্যাপেনডিক্সের প্রয়োজনীয়তা বিজ্ঞান দিয়েই প্রমাণ করে দেখালে তারা আবল-তাবল কিছু বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করে এবং শেষ পর্যন্ত গালিগালাজ ও ব্যক্তি আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। অতঃপর যদি জিজ্ঞেস করা হয় অ্যাপেনডিক্সের কোনো কাজ না থাকা মানেই লেজওয়ালা প্রজাতি থেকে এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে বলে প্রমাণ হয় কি-না? তখন স্বাভাবিকভাবেই পিছুটান দিয়ে বলা হয়, “বিবর্তন প্রমাণ করার জন্য অ্যাপেনডিক্সের কোন দরকার নেই। আরও অসংখ্য ভাবেই সেটা প্রমাণিত।” যাকে বলে ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন (পিছলামীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ)! দেখুন-
১০. বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনকে গাছ থেকে ভূমিতে অ্যাপেল পড়ার মতো সত্য বলে দাবি করার পরও এবং বৈজ্ঞানিক মহলে ইতোমধ্যে স্বীকৃত হয়েছে বলার পরও দেখা যায় তারা প্রচুর পরিশ্রম করে মাটির নিচে থেকে প্রাপ্ত হাড়-হাড্ডি’র ক্ষুদ্র অংশবিশেষ দিয়ে নিজেদের মতো ড্রয়িং করে মাঝে মাঝে ইউরেকা ইউরেকা বলে মিডিয়া জুড়ে রীতিমতো সোরগোল বাধিয়ে দেয়! দেখুন-
১১. বিবর্তনবাদের সমালোচকদের মধ্যে কেউ কেউ কৌতুকচ্ছলে কিংবা ধরা যাক না জেনে বানর প্রজাতি থেকে মানুষ বিবর্তিত হওয়ার কথা বলে হাসি-ঠাট্টা করে থাকেন। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন এই বলে যে, বানর প্রজাতি থেকে যদি মানুষ বিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে এখনো অনেক বানর প্রজাতি থাকা সত্ত্বেও সেগুলো থেকে মানুষ বিবর্তিত হচ্ছে না কেনো? খুবই যৌক্তি প্রশ্ন। অথচ এই কথা শোনার সাথে সাথে বিবর্তনবাদীরা তেড়ে এসে বলা শুরু করেন, “হেঃ! হেঃ! বিবর্তন সম্পর্কে আপনাদের কোনো ধারণাই নাই! জীববিজ্ঞানের উপর ব্যাসিক একটা বই পড়ে নিলে হয় না? বানর থেকে তো মানুষ বিবর্তিত হয়নি! বরঞ্চ মানুষ ও বানর একটি ‘সাধারণ পূর্ব-পুরুষ’ থেকে বিবর্তিত হয়েছে।” কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ‘সাধারণ পূর্ব-পুরুষ’ কি মানুষ নাকি বানর নাকি অন্য কিছু ছিল – সেটা কখনোই পরিষ্কার করে বলা হয় না! তবে রিচার্ড ডকিন্স এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “Monkeys and we come from a common ancestor and that common ancestor would probably have been called the monkey.” বিবর্তনবাদীদের আত্মপ্রতারণার নমুনা দেখলেন তো। একই কথা তাদের গুরু বললে ঠিক আছে কিন্তু অন্য কেউ বললে অজ্ঞ ও হাসি-তামাসার পাত্র হয়ে যায়!
১২. বিবর্তনবাদীরা নিজেরাই বিবর্তনে বিশ্বাস করেন না! কীভাবে? কারণ বানর প্রজাতি থেকে তাদের বিবর্তিত হওয়ার কথা বলা হলে তারা ক্ষেপে যেয়ে বলেন, বানর থেকে তো আমরা বিবর্তিত হইনি! তার মানে তারা বলতে চান যে বানর থেকে তাদের বিবর্তন সম্ভব নয়। কিংবা বানরকে নিজেদের পূর্ব-পুরুষ হিসেবে মেনে নিতে তারা লজ্জা পান। অন্যথায় তো ক্ষেপে যাওয়ার কথা না। আর তা-ই যদি হয় তাহলে বিবর্তনে সংশয়বাদীরাও তো একই কথা বলে আসছেন – অর্থাৎ এক প্রজাতি থেকে ধাপে ধাপে ভিন্ন প্রজাতির বিবর্তন হয়নি বা হওয়া সম্ভব নয়। কী বলেন পাঠক? বিবর্তনবাদীরা যে কোন ইউটোপিয়ার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে বুঝতেই পারছেন।
১৩. এই পৃথিবীর শতভাগ মানুষ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে নিদেনপক্ষে কয়েক হাজার বছর ধরে স্বচক্ষে যা দেখে আসছে তা হচ্ছে: মানুষ থেকে মানুষ-ই হয়; গরু থেকে গরু-ই হয়; ছাগল থেকে ছাগল-ই হয়; বাঘ থেকে বাঘ-ই হয়; বিড়াল থেকে বিড়াল-ই হয়; হরিণ থেকে হরিণ-ই হয়; কুকুর থেকে কুকুর-ই হয়; সিংহ থেকে সিংহ-ই হয়; হাতি থেকে হাতি-ই হয়; বাঁদর থেকে বাঁদর-ই হয়; গরিলা থেকে গরিলা-ই হয়; মুরগীর ডিম থেকে মুরগী-ই হয়; ইলিশ মাছের ডিম থেকে ইলিশ-ই হয়; কুমিরের ডিম থেকে কুমির-ই হয়; টিকটিকির ডিম থেকে টিকটিকি-ই হয়; তিমি থেকে তিমি-ই হয়; পিপীলিকা থেকে পিপীলিকা-ই হয়; মৌমাছি থেকে মৌমাছি-ই হয়; আমের বীজ থেকে আমের-ই গাছ হয়; অ্যাপেলের বীজ থেকে অ্যাপেলের-ই গাছ হয়; কাঁঠালের বীজ থেকে কাঁঠালের-ই গাছ হয়; ইত্যাদি; ইত্যাদি। ব্যতিক্রম কিছু হয়েছে কি-না জানা নেই – তবে সেরকম কিছু হয়ে থাকলে সেটিকে অপ্রাকৃতিক বা অস্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়। এই যখন দিনের আলোর মতো বাস্তবতা তখন বিবর্তনবাদীদের অন্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী ক্ষুদ্র একটি অণুজীব থেকে তারা নিজেরা সহ ধাপে ধাপে পুরো উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে!
১৪. বিবর্তনবাদীরা যৌক্তিক সমালোচনা আর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে যখন বুঝতে পারলেন যে বাস্তবে এক প্রজাতি থেকে ধীরে ধীরে ভিন্ন প্রজাতি বিবর্তিত হওয়া সম্ভব নয় তখন সবকিছুকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পেছনে নিয়ে গেলেন! ভাবসাব দেখে মনে হবে যেন মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পেছনে নিয়ে গেলেই সব কিছু এমনি এমনি হয়ে যাবে! যেমন তারা যখন দেখলেন যে বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রজাতি থেকে ধীরে ধীরে তাদের বিবর্তন সম্ভব নয় তখন তারা বলা শুরু করলেন যে, লক্ষ লক্ষ বছর আগে বানর ও মানুষ উভয়েই একটি ‘সাধারণ পূর্ব-পুরুষ’ থেকে বিবর্তিত হয়েছে! এই ‘সাধারণ পূর্বপুরুষ’-কে ঠেলে ঠেলে কোথায় যে নিয়ে যাওয়া হবে, কে জানে! শেষ পর্যন্ত ‘প্রথম অণুজীব’-এ যাওয়া ছাড়া মনে হয় কোনো উপায় নেই!
১৫. বাংলা বিবর্তনবাদীদের মধ্যে কারো কারো দাবি অনুযায়ী বিবর্তনবাদ নাকি আল্লাহ, গড, বা দেবদেবী ব্রহ্মা আছে কি-না তা নিয়ে কাজ করে না। অন্যদিকে আবার কারো কারো দাবি অনুযায়ী বিবর্তন দিয়ে প্রাণীজগত থেকে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টার হাত কেটে ফেলা সম্ভব! এই লিঙ্কের ১৫ নং-এ দু-জন বিখ্যাত বাংলা বিবর্তনবাদীর মন্তব্য দেখুন।
১৬. বাংলা বিবর্তনবাদীদের লেখা দেখে মনে হবে যেনো একমাত্র মুসলিমরা ছাড়া ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই পৃথিবীর সবাই বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনীতে বিশ্বাস করে। তাদের লেখা থেকে এ-ও স্পষ্ট যে, একমাত্র জাকির নায়েক আর হারুন ইয়াহিয়া ছাড়া এই দুনিয়ার কেউই বিবর্তনবাদের বিরোধীতা বা সমালোচনা করে না। তবে ইদানিং তাদের তালিকায় সদালাপ সাইটও যোগ হয়েছে। আর যারা বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনীর সমালোচনা করে তারা সবাই নাকি অজ্ঞ ও ধর্মান্ধ – বিবর্তনের ব-ও বোঝে না। এমন একজন বাংলা মহাবিজ্জানী ও সবজান্তা শমসেরকে দেখুন-
১৭. বাংলা বিবর্তনবাদীদের দাবি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবর্তনবাদ পড়িয়ে ইসলামে বিশ্বাস করা মানে নীতিহীনতা ও সিরিয়াস ইন্টেলেকচুয়াল ডিজঅনেস্টি। এমনকি তাদের দাবি অনুযায়ী নোবেল পুরষ্কারপ্রাপ্ত পদার্থবিদ আব্দুস সালাম একজন অসৎ ও ছদ্মবিজ্ঞানী ছিলেন – যাঁর থেকে সাবধান থাকা উচিত। দেখুন-
১৮. বিবর্তনবাদী নাস্তিকরা এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও ধর্মকে প্রত্যাখ্যান করে বন্য পশু-পাখিদের জগৎ থেকে কিছু উদাহরণ নিয়ে এসে নৈতিকতার 'বিবর্তনীয় উৎস' খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন – যদিও গৃহপালিত পশু-পাখিদের মধ্যেই ঢের উদাহরণ আছে এবং স্বয়ং বিবর্তন তত্ত্বেরই কোনো ভিত্তি নেই। তো তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই মহাবিশ্বের স্রষ্টাই যদি না থাকে – মৃত্যুপরবর্তী জীবন বলেও যদি কিছু না থাকে – তাহলে নৈতিকতার উৎস খোঁজার উপর তারা এত জোর দিচ্ছেন কেনো! বলাই বাহুল্য, পশু-পাখিরা কিন্তু বিবর্তনবাদীদের কাছে নৈতিকতা শিখতে আসে না! তার মানে বিবর্তনবাদীরা নিজেদেরকে পশু-পাখিদের চেয়েও অধম ভাবেন – যাদের নিজস্বতা বলে কিছু নেই।
১৯. বিবিসি হার্ডটক-এ ইন্টারভিউ এর সময় বিবর্তনবাদী নাস্তিক রিচার্ড ডকিন্স যখন সকল প্রকার ইভিলের জন্য ধর্মকে দায়ী করছিলেন তখন ইন্টারভিউয়ার তাকে থামিয়ে দিয়ে বিংশ শতাব্দীতে সংঘটিত যুদ্ধ আর গণহত্যা এবং সেই সাথে স্ট্যালিন, পলপট, মাও এর কথা উল্লেখ করলে রিচার্ড ডকিন্স বলেন যে, স্ট্যালিন, পলপট, মাও এর মতো কম্যুনিস্টরা প্রকৃত নাস্তিক ছিলেন না! তারাও নাকি এক ধরণের ‘ধার্মিক’ ছিলেন! – যদিও কম্যুনিস্ট নাস্তিকদের কল্যাণেই অনেক দেশে নাস্তিকতা আর বিবর্তনবাদের প্রসার ঘটেছে। কিন্তু ‘প্রকৃত নাস্তিক’ এর সংজ্ঞাও উনি বলেননি! যেমন কেউ যদি দাবি করেন রিচার্ড ডকিন্সই প্রকৃত নাস্তিক নন সেক্ষেত্রে উনি কীভাবে নিজেকে প্রকৃত নাস্তিক প্রমাণ করবেন? কী বলেন পাঠক?
২০. বিবর্তনবাদীরা মাছ থেকে কীভাবে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েছে তার পক্ষে ‘বৈজ্ঞানিক প্রমাণ’ দেখুন। একেবারে খাসা!
২১. দুষ্ট লোকদের দাবি অনুযায়ী বাংলা বিবর্তনবাদীরা নাকি সাদা চামড়াকে প্রচণ্ডরকম ভয় পায়। তারা নাকি শক্তের ভক্ত, নরমের যম। এই দাবির স্বপক্ষে অসংখ্য প্রমাণের মধ্যে নিচের কিছু প্রমাণ দেখানো হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮