আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে মনে করি যে ডারউইনিয়ান বিবর্তন তত্ত্ব [একটি অণুজীব থেকে 'এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন' নামক মন্ত্রের আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে মনে করি যে বিবর্তন তত্ত্ব [একটি অণুজীব থেকে 'এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন' নামক মন্ত্রের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পুরো উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগতের বিবর্তন] পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণা, কল্পকাহিনী, অমানবিকতা, মিথ্যাচার, ও চাপাবাজি'র উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এ-রকম একটি তত্ত্বের প্রস্তাবক এশিয়া বা আফ্রিকার কেউ হলে, কিংবা এই তত্ত্বকে বিজ্ঞানের নামে আব্রাহামিক ধর্ম ও স্রষ্টার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়া না হলে, অনেক আগেই তা গার্বেজে নিক্ষিপ্ত হতো। বাংলা ব্লগে যারা লাঠি-সোটা-গালি দিয়ে বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনী আর অমানবিকতাকে ডিফেন্ড করছে তারা সবাই কম-বেশি ইসলাম-বিদ্বেষী। এটি বিচ্ছিন্ন বা কাকতালীয় কোনো ঘটনা নয়।
যাহোক, বিবর্তনবাদী মোল্লারা কীভাবে অন্ধের মতো অদৃশ্যে বিশ্বাস করে তার পক্ষে কিছু প্রমাণ দেখুন-
প্রথমত, বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে যে অণুজীব থেকে বিবর্তন শুরু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেই অণুজীবকে কেউই দেখেনি। এমনকি সেই অণুজীবের জীবাশ্ম পর্যন্ত নাই! মানে অদৃশ্যে বিশ্বাস।
দ্বিতীয়ত, যেখানে বিবর্তনবাদী মোল্লাদের সাথে শিম্পাঞ্জি ও বানর জাতীয় লেজওয়ালা প্রজাতির খালি চোখে দেখা যায় এমন অনেক মিল আছে সেখানে তারা নিজেদেরকে শিম্পাঞ্জিদের 'খালাতো ভাই-বোন' প্রমাণ করার জন্য ডিএনএ'র উদাহরণ দেয়, যে ডিএনএ-কে খালি চোখে দেখা যায় না! মানে অদৃশ্যে বিশ্বাস।
তৃতীয়ত, যে কোনো প্রজাতি থেকে ধাপে ধাপে অন্য কোনো প্রজাতির বিবর্তন কেউই স্বচক্ষে দেখেনি। দেখার প্রশ্নই আসে না, যেহেতু বাস্তবে এমন কিছু ধাপে ধাপে (!) ঘটেইনি! মানে অদৃশ্যে বিশ্বাস।
এভাবে বিবর্তনবাদী মোল্লারা অসংখ্য অদৃশ্যে বিশ্বাস করে বোকার মতো হাসি-ঠাট্টা করে এই বলে যে, ইসলামে বিশ্বাসীরা আল্লাহকে না দেখেই বিশ্বাস করে। অতএব, তারা অন্ধ বিশ্বাসী! তাদের বিশ্বাস অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক! এই মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে নাকি স্বচক্ষে দেখে বিশ্বাস করলেই তবে 'যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনষ্ক' হওয়া যাবে! বিজ্ঞান ও যুক্তি'র নামে ইসলামে বিশ্বাসীদেরকে ধরাশায়ী করতে যেয়ে যুক্তি, বিজ্ঞান, প্রমাণ ইত্যাদি শব্দগুলোকে গোবর লেপ্টে একেবারে পচানো হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নিয়ে লেখার সঙ্কলন