যারা পৌত্তলিকদের উপাসনালয় দেখেছেন তারা ইতোমধ্যে ব্যাপারটা সম্পর্কে অবগত। আর যারা দেখেননি তারা জানার জন্য হলেও যে কোনো উপাসনালয় একবার দেখে নিতে পারেন। লক্ষ্য করলে দেখবেন তাদের উপাসনালয়ে অনেক ইমেজ রাখা আছে। ইমেজগুলোকে তারা নিজের মতো করে রঙ-তুলি দিয়ে বানিয়েছে। ইমেজগুলো দেখে বাচ্চারা বেশ মজা পায়। পৌত্তলিকদের এমন কোনো উপাসনালয় বা বাড়ি পাওয়া যাবে না যেখানে ধর্মীয় কোনো ইমেজ নাই। ফলে পৌত্তলিকতা হচ্ছে ইমেজ-ভিত্তিক একটি ধর্ম – যার অপর নাম পেগানিজম।
এবার বিবর্তনবাদীদের লেখাগুলো যদি পরখ করা হয় তাহলে দেখা যাবে বিবর্তনবাদ মূলত একটি ইমেজ-ভিত্তিক তত্ত্ব। বিবর্তনবাদী কাঠমোল্লারা লক্ষ লক্ষ বা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগের কিছু জীবাশ্মের অংশবিশেষ কিংবা মাথার খুলি থেকে কাঠমিস্ত্রির মতো হাতুড়ি-বাটালি দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো [কাল্পনিক] ইমেজ বানিয়ে, সাথে আরো কিছু [কাল্পনিক] ইমেজ যোগ করে, বিবর্তন তত্ত্বকে বিজ্ঞানের নামে "প্রমাণিত সত্য" বলে দাবি করে অসচেতন লোকজনের মস্তক ধোলাই করছে। নিচের ইমেজগুলো লক্ষ্য করুন-
(বানর জাতীয় প্রাইমেটস থেকে ধাপে ধাপে বিবর্তনবাদী মোল্লাদের বিবর্তন! মাঝের ধাপগুলো মিসিং লিঙ্ক!)
(কাল্পনিক একটি চতুষ্পদী জন্তু থেকে ধাপে ধাপে আধুনিক চতুষ্পদী ঘোড়ার বিবর্তন! মাঝের ধাপগুলো মিসিং লিঙ্ক!)
(ডাইনোসর থেকে ধাপে ধাপে পাখির বিবর্তন! মাঝের ধাপগুলো মিসিং লিঙ্ক!)
(ডাঙ্গার চতুষ্পদী একটি জন্তু থেকে ধাপে ধাপে জলের তিমি ও ডলফিনের বিবর্তন! মাঝের ধাপগুলো মিসিং লিঙ্ক!)
(বিবর্তনবাদীদের কাল্পনিক বিবর্তন গাছ!)
বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনী বাচ্চাদের জন্য দারুণ বিনোদনমূলক একটি উৎস হলেও অনেক ব্রেন-ড্যামেজ্ড বয়স্কদের কাছে সেটিই আবার পৃথিবীর ঘূর্ণন ও গোলত্বের মতোই সত্য!
মজার ব্যাপার হচ্ছে বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনী হাতির মাথাওয়ালা গণেষ ও দশ হাতওয়ালা কালীর চেয়ে অনেক বেশি অযৌক্তিক ও অবাস্তব হওয়া সত্ত্বেও বাংলা বিবর্তনবাদী মোল্লারা বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনীকেই লাঠি-সোটা-গালি দিয়ে ডিফেন্ড করে। কিন্তু কেনো? এর কারণ হচ্ছে বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনীকে (অপ)বিজ্ঞানের নামে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে ইসলাম নামক 'মধু' না থাকলে বিবর্তনবাদকে কেউ হয়ত ছুঁয়েও দেখত না, কিংবা একবার ছুঁয়ে দেখে দ্বিতীয়বার আর ফিরেও তাকাত না। তারা আব্রাহামিক ধর্মে মানুষের সৃষ্টিতত্ত্বকে বাতিল করে দিয়ে মূলত মানুষের বিবর্তনের পেছনেই সময় ব্যয় করে [এক জোড়া মানুষ থেকে ধীরে ধীরে মানুষের বংশবৃদ্ধি নাকি বিবর্তনবাদী মোল্লাদের কাছে মিথ!]। তবে বিশেষ একটি ধর্মের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে টু-শব্দটিও কেউ করে না – যেটি আসলেই মিথ (ব্রহ্মার মুখ, বাহু, উরু, ও পা থেকে চার বর্ণের মানুষের সৃষ্টি)। তারা এমনকি উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণীর বিবর্তন নিয়েও সময় নষ্ট করতে নারাজ। পাঠকরা ইতোমধ্যে বাংলা বিবর্তনবাদী মোল্লাদের অসৎ উদ্দেশ্য ও ধূর্তামী ধরতে পেরেছেন নিশ্চয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১১