আমলকির ডাল কখনো দেখা হয়নি বলে শীতের হাওয়া তাকে কেমন করে নাচিয়ে যায় তাও জানা হয়ে উঠেনি রবিঠাকুরের মত করে।
আমার কাছে শীত মানে জানালা গলে বিছানার উপর বরফি কাটা রোদ।
সুদূর অতীত হয়েও মনের মাঝে সগর্বে টিকে থাকা নতুন ক্লাসের উত্তেজনা আর নতুন বইখাতার চনমনে গন্ধ।
দাদাবাড়ি নানাবাড়িতে কুয়াশা নিয়ে খেলা।
শীত মানে খলশে মাছের ঝোলে আধডোবা হয়ে থাকা ডুমডুমে ফুলকপির টুকরোর দিকে লোভাতুর চোখে চেয়ে থাকা।
সাতসকালে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মুখ থেকে ধোঁয়া ছোটানোর আপ্রাণ চেষ্টা।
শীত মানে অনেকদিনের আশার বেলুন চকিতে চুপসে গিয়েও আশায় বুক বাঁধা।
আসন্ন গ্রীষ্মের কোন এক দিনের জন্য তিলে তিলে স্বপ্ন বুনে তোলা।
এমন ঋতুটাকে কেন ধূসর আর প্রাণহীন ভেবে কবিতা লেখা হবে তাই নিয়ে মনে মনে প্রতিবাদ।
একটি বছরের বিদায়ের অজানা অকারণ বেদনাকে আরেকটি বছরের সূচনা দিয়ে ঢাকতে না পারা।
নিজের গহীনে লুকিয়ে থাকা ভালবাসাকে একদিন অবাক হয়ে আবিষ্কার।
মায়া জড়ানো দুপুর আর গড়িমসি করে পার করা সন্ধ্যা।
শীত মানে কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে আয়েশে চোখ বুঁজে আসা।
রঙিন পৃথিবী ঝাপসা চোখে সাদাকালো হয়ে ধরা পড়া।
শীত আমার জন্য জেগে উঠে ঘিরে ফেলা তীব্র কিছু চাওয়া।
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারি ভাবা অবয়বগুলোর ভোরের স্বপ্ন হয়ে এসেই চলে যাওয়া।