ইসরাইলের মোসাদ Mossad বাহিনীর মেয়েদেরকে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুগঠিত এবং সুনিয়ন্ত্রিত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের জন্য প্রধান অস্ত্র হচ্ছে দেহ। দেহকে কাজে লাগিয়ে অনেক জটিল জটিল কাজকে তারা পানির মতো সহজ বানিয়ে ফেলে।
মোসাদ একটি রাষ্ট্রের ইন্টিলিজেন্স টীম হিসেবে তাদের জাতিগোষ্ঠীর পক্ষেই যাচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে একটি দল বা গোষ্ঠী যখন মেয়েদেরকে কাজে লাগিয়ে মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের চর্চা করে তখন আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী বা শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তেমন কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়ে না।
গ্রামের নারীদের মনভোলানো কথা বলে তাদের এবং তাদের সন্তানদের তথাকথিত আল্লাহর পথে আনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ছাত্রী সংস্থার সফলতা বেশ ঈর্ষনীয়।
আগে বলে রাখি আমি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমাদের ইউনিয়নে ছাত্রী সংস্থা বেশ সক্রিয় ছিলো। তাদের কার্যক্রম আমি অবলোকন এবং পর্যবেক্ষন করতাম। সাংগঠিনভাবে সাহায্য করতাম।
কাঁধে ঝুলানো ব্যাগের মধ্যে সাইদী, মওদুদীর লেখা বইয়ের পাশাপাশি কাসেম বিন আবু বকরের উপন্যাসও দেখা যেতো। "বোরকা পরা সেই মেয়েটি" অথবা "ফুটন্ত গোলপ" এর মতো বইগুলোর নায়ক নায়িকা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আবার প্রেমও করে। অবশ্য তা শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত। স্কুল কজেলের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ রমনীদের মাঝে দাওয়াতী কাজ পরিচালনাই ছিলো এদের প্রধান কাজ।
ছাত্রী সংস্থার মতো একটি সংগঠনের কাছ থেকে জামায়াত বা শিবির যে ধরনের সুবিধা নিয়ে থাকে :
==>>
শিবির সদস্যদের দিয়ে পুরুষদের মস্তিষ্ক প্রক্ষালণ সহজ হলেও ধর্মীয় লেবাস এবং সামাজিক কারণে পুরুষ কর্তৃক মহিলাদের এ প্রক্ষালনকর্ম খুবই বিপদজনক। এক্ষেত্রে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা জামায়াত শিবিরের জন্য কিছু কাজ সহজ করে দেয়ার দায়িত্ব পালন করছে। গ্রামের সহজ সরল মহিলা ও তাদের সন্তানদেরকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে বেহেশতের লোভ দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদের দিকে পদস্থলন ঘটাচ্ছে। এ সংস্থার সদস্যরা স্ত্রী লিংগের বলে তাদের বিরুদ্ধে যেকোন সামাজিক প্রতিরোধে সাধারণ মানুষ ভুল করে থাকে।
==>>
ধর্মীয় কারণে শিবির সদস্যরা বিপরীত লিংগের সাথে কোনপ্রকার মানসিক অথবা শারিরীক সম্পর্ক জড়ানোর বিষয়ে বেশকিছু বাধা অনুভব করে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বিপরীত লিংগের সংমিশ্রন জরুরী বটে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রেম বা সম্পর্ক খুবই নিরাপদ। একসাথে কাজ করা অথবা কাজে সাহায্যের দোহাই দিয়ে দৈহিক না হোক অন্তত কথোপকথনের একটি সম্পর্ক তৈরি করেই পুলক অনুভব করে থাকে শিবির নেতারা। আসলে যে এখনো তাজিনডংই দেখেনি তার কাছে উঁইয়ের ডিবিও অ্যাভারেস্ট।
==>>
আমরা যদিও জানি জামাত শিবির একই সংগঠন, আসলে কিন্তু তা নয়। অন্তত তাদের স্বীকারোক্তি সেরকমই। সেই সূত্র ধরে ছাত্রী সংস্থাও একটি আলাদা সংগঠন। জামায়াতের বিরুদ্ধে যেন মহিলা জংগীবাদিতার অভিযোগ তুলতে না পারে সেজন্য অংগ বা সহযোগী সংগঠনের কোর্তা না পরিয়ে অন্য একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে ইসলামী ছাত্রী সংস্থাকে দিয়ে জাতির সর্বনাশটা করে যাচ্ছে।
==>>
শিবিরের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। শিবির নেতা ছাত্রীসংস্থার নেত্রীর শাদী মোবারকে শিবিরের বংশবৃদ্ধি খুবই সহজ। এবং বর্তমানে তাই হচ্ছে। সংঘাতহীন দলীয় প্রসার এভাবেই হয়।
এক্স রেটের মুভি প্রসংগ :
ভারতের মালয়ালম ভাষার একটি মুভিতে দেখেছিলাম- নায়কের কাছে প্রতিরাতে একটি করে মেয়ে আসে রাত কাটানোর জন্য। জোর করে নয় বরং নিজের ইচ্ছায় তারা আসে। এ সুযোগে প্রতিপক্ষ একদিন এক মেয়েকে পাঠিয়ে ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগে নায়ককে গ্রেফতার করাতে চাইলে কয়েক’শ মেয়ে স্বীকারোক্তি দিলো তারা নিজ ইচ্ছায় নায়কের কাছে আসে তাকে মানসিক প্রশান্তি দিতে। কারণ নায়ক তাদের পাড়ার উন্নতি এবং নিরাপত্তার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মেয়েদের বাধার মুখে আর নায়ককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ছাত্রীসংস্থার মেয়েরা মনে করে শিবির নেতাদের বিয়ে করতে পারলে বেহেশত নিশ্চিত। এটা এখনকার ভাবনা। আরেকটু আপডেট হলে “ শিবির নেতাদের সাথে রাত কাটালেই বেহেশত নিশ্চিত”। সুতরাং জাতির কল্যাণের জন্য না হোক অন্তত শিবির নেতাদের শয্যাসঙ্গীনি হিসেবে হলেও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা টিকে থাকুক।
অনটপিক :
ছাত্রী সংস্থার কোন মেয়েকে গ্রেফতার করলে তার সাংগঠনিক পরিচয়কে আড়ালে রেখে তাকে “বোরকা পরা” অথবা “পর্দা ব্যবহারকারী” হিসেবে আখ্যায়িত করে মাঠ গরম করার ঘৃনিত প্রয়াসের বিরুদ্ধে এ পোস্টের কিছুটা সম্পর্ক আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৪