somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের সম্মানিত অভিভাবকদের কাছে এক যুবকের খোলা চিঠি

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হ্যা, আমি জানি আমি কি চাই তাই আশাহতো হই না কখনো। যদিও অনেকের কাছে আমার চাওয়াটা পাগলামী আর আবেগে ভরপুর। হবে হয়তো, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না।
সমাজকে তো আর একদিনে বদলে দেয়া যায় না আর দেওয়াও ঠিক নয়। অভিভাবক বৃন্দ বেয়াদবি মাফ করবেন। এই আমি ২৬ বছরের এক যুবক হওয়া সত্তেও আমার বিয়ে করতে চাওয়াটা ভিষন অপরাধ। কেনো জানেন..?? আমি আমার উত্তমার্ধকে পার্সোনায় নিতে পারবো না বা ইউনিলিভারের প্রসাধনী দিয়ে তার দেহো তত্ব সাঙ্গো করতে পারবো না বা বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়ে রোজগারের সবটুকু লুজ মোশোনে শেষ করতে পারবো না এই কারনে। এটি আমার কথা নয়; এটি এই সমাজের কথা। আমার-আপনার মত সমাজের ভদ্রলোকদের কথা। তবে এই আমিই যদি ২-৫ টা প্রেম করি, গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে পার্কে, চিপায়-চাপায় ডেটিং করি অথবা মাঝে মধ্যে আবাসিক হোটেল বা বন্ধুর মেসে নিয়ে একটু ফুর্তি করি তখন এই একই সমাজ কি বলবে জানেন..?? একটু দায় সারা গোছের কিছু নৈতিকতার বুলি আওড়াবে। সমাজ রসাতলে গেলো বলে কিছুক্ষণ চিল্লাপাল্লা করবে। অতঃপর কেউ কেই বলবে, এটা কোনো ব্যাপার না; এই বয়সে একটু-আধটু করেই থাকে। আমার বন্ধুদের কাছে আমি হবো স্মার্ট বয়। বাহ! কি চমৎকার তাই না..!!
ব্যাপারটা খুব মজার যে আমি বেকার এজন্য সমাজের কাছে আমার বিয়ে করা হারাম কিন্তু প্রেম করা যায়েজ। বেকার অবস্থায় টি-শার্ট বদলানোর মতো গার্লফ্রেন্ড বদলানো যাবে, যেখানে-সেখানে ডেটিং করা যাবে, সারা দিন ক্যাম্পাসে আড্ডা দেওয়া যাবে; সারা রাত মোবাইল ফোনে লাইলি-মজনু হয়ে কথা বলা যাবে; সিনেমা হলে যে দিকে একটু বেশি অন্ধকার সেখানে বসে রোমান্স করা যাবে, পরীক্ষার রাতেও বসে বসে ফেসবুকে চ্যাট করা যাবে....আরও যা যা আছ সবই করা যাবে। শুধু বিয়েটা করা যাবে না। কারণ আমি বেকার। তখন ভরোণ-পোষোনের প্রশ্ন আসে। অথচ বেকার অবস্থায় ডজন ডজন প্রেম করলেও অভিভাবকরা দিব্বি খরচ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঐ একই কাজ গুলো যদি বিয়ে করে করতে চাই তখনোই বাধে যত বিপত্তি............!!!

ভুল তত্বে কেটে গেলো ২৫টি বছর। জীবনের সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিলো এটি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নিয়মের বেড়াজালে পড়ে শুধু গ্রাজুয়েশন শেষ করতেই চলে যাবে জীবনের ২৭-২৮ টি বসন্ত। এর পর আসবে গ্রীষ্মের ঝড়ো হাওয়া, শীতের প্রকট। কিন্তু তখন কি পারবো ২৫ এর সেই টকবগে যুবকের মত সবকিছু মোকাবেলা করতে..?? প্রতিষ্ঠিত নামক শোনার হরিণ যখন আমার হাতে ধরা দেবে তখন তো আমি ৩৫ কি ৩৬ বছর। জীবনি শক্তি কি আগের মত করে কাজ করবে..?? তবে তাতে অভিভাবকদের কোনো আপত্তি নেই। আমিতো এখন স্ট্যাব্লিশ। এটিইতো আসোল কথা। এখনো আমার অধিকার আছে প্রেয়সীকে ঘরে তুলবার। যদিও সবাই জানি আমার প্রেয়োসী কিছু দিন আগেও আর কত জনের গার্লফ্রেন্ড ছিলো। কত যুবকের রাতের ঘুম কেড়ে নেবার কারন ছিলো। থাক ওরা না ঘুমিয়ে; তাতে আমার কি..?? আমিতো এখন স্ট্যাব্লিশ। এখন আমার একার সমস্ত অধিকার তার দেহের ইপর উপর....।। হামলে পড়তে নিষেধ করে কার এত বড় বুকের পাটা.? আমার টাকা আছে; আমিতো স্ট্যাব্লিশ।

তাহলে সমাজ, সভ্যতা, রাষ্ট্র যে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সেটি সেরে তুলবে কে..?? যে ছিলো ২৫ বছরের যুবক সেতো নিজেই জরাগ্রোস্থ।

৬৭টি বছরের গড় আয়ু না কি আমাদের। সংগ্রাম করবার মত বাকি থাকলো গুটি কয়েক বছর। তার পর..?? মাঝে মাঝে মনে হয় অপ্রত্যাশিত কিছু করে ফেলি। কিন্ত থেমে যায় এই ভেবে যে আল্লাহর কাছ আমি কি জবাব দেবো..??

কি বা করার আছে আমার..?? দোষ আসলে যত আমার ঐ বাধ ভাঙ্গা যৌবনের।
যাহোক আবারও ক্ষমা চাচ্ছি অভিভাবক বৃন্দ...!! মাফ করবেন...!!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×