আমারে যেদিন মুসলমানী করানো হইলো, সেদিন আমি জানতামই না, আজই আমার নুনু কাটানো হইবো। সকাল থেইকা আমাদের বাড়ি ভরা মেহমান। এত্ত মানুষ দেইখা একটু পরপরই মা’র কাছে গিয়া জিগাই,
“মা আইজকা কি কারও বিয়া? বাড়ি ভরা এত্ত মানুষ ক্যান?”
মা, চাচি, দাদি আর বড় বইনেরা সবাই আমার কথা শুইনা খালি হাসে। আমারে লক্ষ্য কইরা কয়,
“হ। আইজ তোর বিয়া।”

আব্বা একটু পরপর আইসা বাসার মহিলাদের ঝারি মারে,
“এখনও কত্ত কাম বাকী! রান্না-বান্না শুরুই হয়নাই। ওইদিকে হাসেম ভাই(যিনি নুনুর গলা কাটে


আমি তখনও কিছু টেরই পাইলাম না। বাড়ির উত্তর দিকের বিশাল পেয়ারা গাছ থেইকা বিশাল একটা পেয়ারা জব্দ কইরা গাছের ডালে বইসাই কামড়াইলাম। গাছের নিচ দিয়া কেও গেলে ছোট ছোট পেয়ারা তাদের মাথায় ফালাইতে চেষ্টা করলাম। আমার ছোটভাই রাকিব, প্রায় আমার সম বয়সী। ও তখন গাছে উঠতে পাড়তো না। আমারে গাছে উইঠা পা ঝুলাইতে ঝুলাইতে পেয়ারা খাইতে দেইখা খালি হিংসায় জ্বলতো। গাছের উপর থেইকা ওরে ভেঙ্গাইলে ঢিল ছুঁড়ে মারতো আমারে লক্ষ্য কইরা। এবং আমার শরীরে যখন ঢিল লাগতো না, তখন ও এম্নিতেই কাইন্দা দিতো।


যাইহোক, দুপুর বেলায় হাসেম চাচা তার হারমোনিয়াম, তবলা, আরও কি সব বাদ্যযন্ত্র নিয়া বাড়িতে হাজির। সাথে আরও দুইজন ছ্যামড়া(ছেলে)। এতক্ষণে আমি আসল ব্যাপারটা বুইঝা ভয়ে কাঁপা শুরু কইরা দিলাম।

আরও জানতে পারলাম, আমাদের দুই ভাইকে একই সাথে মুসলমানী কারানো হইবো। আশ্চর্য হইয়া লক্ষ্য করলাম, আমি যখন ভয়ে কাঁপতেছি, তখন ছোটভাই এই খবর শুইনা বেজায় খুশি।

আমি এই অমানুষিক নির্যাতন থেইকা বাচার জন্য খাটের তলে গিয়া পালাইলাম। চুপ মাইরা বইসা রইলাম। কিছুক্ষণ পর আমারে খোঁজা-খুঁজি শুরু হইয়া গ্যাছে।






অবশেষে হাসেম চাচা বিরক্ত হইয়া আমার চোখ-হাত সবাইকে ছাইড়া দিতে কইলো। আমারে জিগাইলো, এত ভয় কিসের? আমি কইলাম,
চাচা! আমার নুনু কাইটেন না! আমার নুনু কাইটেন না!

হাসেম চাচা মুখ থেইকা পানের পিক ফালাইয়া হাসতে লাগলো। আমারে কইলো,
“কও তো ছাই!”
আমি মনে করলাম, ছাই কইলে আমারে মুক্তি দেয়া হইবো। তাই মহা খুশিতে কইলাম,
“ছাই!!”

“নিচের দিকে তাকায় দ্যাখো, নুনুর মাথা নাই!”

আমি নিচের দিকে তাকাইয়া দেখি, সত্যিই নুনুর মাথা নাই।

ওইদিকে হাসেম চাচা তাঁর দলবল নিয়া গান শুরু কইরা দিছে,
“শক্ত মাটিত মিশ্যা গেলো,
সোহাগ বাপের চক্ষের জঅঅঅঅঅঅঅললল...!!!”



সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৭