ছোটবেলায় রথ এলে, সামনের মাঠটাতে দোকান বসতো, মাঠ পরিষ্কার হতো। তখন স্কুলের ডাইরি খুলে দেখতাম কবে রথ। এখন আর সেই মাঠে রথ হয় না, লটারীর নামে জুয়া খেলা হয়েছিল একবার, তাই পুলিশ এসে তুলে দিয়েছে।
****
এখন কলকাতা শহরে যখন দেখি, পার্ক স্ট্রিট বা এক্সাইড থেকে সাদা ধুতি-পান্জাবি পড়া মাথায় চুল কম, চোখে চশমা আর জপ করতে থাকা কয়েকজন তরুণ বাস ধরার জন্য দৌড়ে আসছে, বুঝি ওই রথ আসছে।
***
২০০৯ থেকে রথের চেহারা বদলে যায় আমার কাছে। ১১ই জুলাই দাদু মারা যায়, তার আগের বছরই দাদু আমাদের বাড়িতে ছিল রথে। পরের রথ গুলোর বিকেলে, মা দাদুর কথা মনে করে, দিদাকে ফোন করতো। আমারও ইচ্ছে হতো না আর মেলায় যেতে। রথ ওখানেই শেষ। তারপর থেকে, মেলার পাশ দিয়ে গেলেও, মেলায় ঢোকা হয় নি।
****
ছোটবেলায় যখন মেলায় যেতাম, প্রচুর জিনিষ কিনে দিত বাবাই। মনে আছে একবার একটা লাইট জ্বলা চাবির রিঙ কিনেছিলাম। মেলা থেকে ঘরে ঢোকার মাঝেই ব্যাটারি ডাউন, লাইট বন্ধ। আবার জ্বালিয়ে ঘরে ফেরা। সেটাকে বালিশের পাশে নিয়ে শোয়া, স্কুলের ব্যাগে রেখে দেওয়া।
***
ওই চাবির রিঙ টার গায়ে আঁকা ছিল ঈদের চাঁদ। আমি ওতো দেখি নি। লাইট জ্বলেছে, নিয়েছি। একবার সবুজ আলো একবার নীল আলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৪