তখন ঠিক কোন ক্লাসে মনে নেই। সবে তোমার জন্মদিন জেনেছি। ২৫শে জানুয়ারী। আর সবে তোমার একটা অ্যালবাম কিনেছি। 'ফসিল্স ২' বা 'মিশন এফ' হবে। সেই অ্যালবামের পেছনে ফর শোস কনটাক্ট বলে দুটো ফোন নাম্বার লেখা ছিল। সকালবেলায় ওই দুটো নাম্বারের মধ্যে একটাতে ফোন করি। অনেক পরে বুঝতে পারি, ওটা রূপসাদির গলা ছিল। কিন্তু আমি সেদিন ফোনে কিছুই বলিনি। তবে আমি তোমার গলা শুনেছিলাম। তুমি কথা বলছিলে। সেইটাই একটা আনন্দ।
তার পর বহুবার বহুভাবে কাছে যাওয়ার চেষ্টা। স্কুলে পড়ার সময় আবার একটা অ্যালবাম কিনেছিলাম 'অপদার্থ'। কিছুই মানে বুঝতে পারতাম না। সেই সময় আমার বাবা আমাকে বেশ সাহায্য করেছিলেন। 'ফসিল্স' এর গানের মানে বুঝিয়ে দিতেন। একটা সময়ে প্রায়ই সঙ্গীত বাংলা চালিয়ে দেখে নিতাম, 'ফসিল্স' এর গান হচ্ছে কিনা।
এইসব পেরিয়ে খোঁজ পেলাম 'ফসিল্স ফোর্স'এর। তখন উচ্চমাধ্যমিক। আমি থাকি খড়গপুরে। খাওয়াদাওয়া বন্ধ। আমাকে সাউথ এন্ড পার্কে নিয়ে যেতেই হবে। বাবাও নাছোড়বান্দা। নিয়ে যাবেন না। অগত্যা উপায় নেই। পরীক্ষা শেষ করেই আমার ডেস্টিনেশন সাউথ এন্ড পার্ক।
সেই প্রথমবার তোমাকে সামনে থেকে দেখা। 'রূপম on the rocks' এর উপর লিখে দিয়েছিলে 'সোহমকে ভালোবাসা রূপম'। এভাবেই কত শো, কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা কেটে গেল। সাংবাদিকতায় পা ফেললাম। আর কী আশ্চর্য! আমার প্রথম অ্যাসাইন্মেন্ট রূপম ইসলামের সাক্ষাৎকার। বলা বাহুল্য যার পর নাই আনন্দিত। তার চেয়েও বেশি ভীত।
এভাবেই চলতে চাই। তোমার সঙ্গে একাত্ব হতে চাই। তোমার দর্শনের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। জন্ম হোক আরও গানের। জন্ম হোক আরও লেখার। প্রজন্মের জীবনের সচেতন শব্দ হয়ে উঠুক রূপম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩