somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

না চাওয়া ব্লগ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অফিসে বসে কপি লিখছি। চার পাঁচটা লাইন লেখা হয়েছে সবে। এন্টার দিয়েই মনে হল, এবার একটা কবিতা লেখা দরকার। আমার জন্য দরকার। ঠিক সেই সময় ছোটবেলার একটা কথা মনে পড়ে গেল। কাজেই আর কবিতা লেখা হল না। মনে হয় কবিতারা এইভাবেই আমার কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। অনেক দূরে। আমি হয়ত তার আর নাগাল পাবো না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কবিতা ছাড়া আর কিছুই আমার লিখতে ভালো লাগে না। আর এখন কবিতাও লিখতে পারছি না। এই দ্বিধা আর জঞ্জাল পেরিয়ে আমি আবার কবে কবিতার মধ্যে দিয়ে হাঁটতে শিখব জানি না।
ছোটবেলার সেই গল্পটার কথা বলি। ক্লাস সিক্স-সেভেনের পর থেকে বাংলা ছাড়া আমার আর কোন বিষয় পড়তে ভালো লাগত না। একটা বিষয় নিয়ে লিখতে লিখতে ঠিক আজকের মতো ঘটনা ঘটেছিল। সেটা ক্লাস সেভেনই হবে। পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা হচ্ছে। যথারীতি আমি কিছুই লিখতে পারছি না। কিন্তু এমনি এমনি বসে থাকা তো আর যায় না। তাই পদার্থ বিজ্ঞান ছেড়ে দিয়ে, আমি সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটা কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম।কবিতাটা ছিল 'দেশ্লাই কাঠি'। আমাদের আবৃত্তি ক্লাসে ওই কবিতাটা শিখিয়ে মুখস্থ করতে বলা হয়েছিল। মুখস্থ হয়েছে কিনা সেটাই যাচাই করছিলাম। পুরো একপাতা লিখে ফেলার পরে সম্বিত ফিরল। বুঝতে পারলাম, খুব বাজে হয়েছে। এদিকে বাবা বারবার বলেছিল, যতটুকু জানিস লিখবি, কিন্তু খাতা পরিষ্কার করে লিখবি। সেইদিন আর খারা পরিষ্কার রাখা হয়নি। ওই পাতাটা খুব হিজিবিজি করে কাটতে হয়েছিল।
আমাদের মিশনে খাতা দেখানো হত। ক্লাসে খাতা দেওয়া হত। আমাকে স্যার আলাদা করে ডেকেছিলেন। বলেছিলেন, তুমি এসব কী লিখেছ খাতায়? বাবাকে কাল নিয়ে আসবে। সেইবার প্রথম একক্লাস বন্ধুদের সামনে খুব কেঁদেছিলাম। স্যারের হাতে পায়ে ধরেছিলাম। বলেছিলাম, যত ইচ্ছে মারুন আমাকে। বাবাঁকে ডাকবেন না। আমাকে মারার জন্য, ছাত্রমারার স্পেশালিস্ট পড়িয়াস্যারকে ডাকা হয়েছিল। করিডরে তুমুল মেরেছিলেন। আমার তাতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এই খবর যদি বাবার কানে যেত তাহলে হয়ত আরও সাংঘাতিক কিছু হতে পারতো।
তবে আজ আর সেসব হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কপি ছেড়ে হঠাৎ ব্লগ লিখছি দেখেও অফিসে কেউ কিচ্ছু বলবে না। কিন্তু পরিস্থিতি কতটা বদলে গেল। তখন যা লিখতে চেয়েছিলাম লিখেছিলাম। এখন একটা কবিতা লিখতে চাইছিলাম পারলাম না। চারপাশে লোক নেই। কেউ কিচ্ছু বলার নেই। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমিও আর আমার মতো নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×