somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খেয়ে দেয়ে কাজ নেই

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই সময়গুলো খুব কষ্টদায়ক। আপনি নিজে কী করতে চাইছেন, জানেন না। আপনার সঙ্গে কী হলে, আপনি খুশি হতেন, জানেন না। এবং এই সময়ে আপনি বহুদিনের না করা জিনিসগুলো করে ফেলেন। যেমন ধরুন, আপনি ভেবেছিলেন ইনস্টাগ্রাম খুলবেন না। এই সময়ে খুলে ফেলবেন। আপনি ভেবেছিলেন এক ঘণ্টার আগে সিগারেট খাবেন না। খেয়ে নেবেন। আপনি ভেবেছিলেন, ফেসবুকে কয়টা লাইক এল সে নিয়ে ভাববেন না। ভেবে ফেলবেন। আরও অনেক কিছু। হয়ত আপনার এই সময়ে কবিতা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিছুতেই পারবেন না। ভাবতে গেলেই প্রিয় কবির কবিতার মতো কিছু একটা লিখে ফেলবেন। আর ভুলেও কাউকে ফোন করতে যাবেন না। কারণ এই সময়ে কেউ ফোন ধরে না। এটা নিয়ম। হতাশ হবেন না।
এই সময়ে আপনার খিদে পেতে পারে। পেট শূন্য মনে হবে। আসলে ওটা খিদে নয়। কী, আমি জানি না। তবে খিদে না। তার পর প্রেমিকা অন্য কারোর সঙ্গে ঘুরছে ফিরছে কিনা এইসব নিয়ে তদন্ত করতে ইচ্ছে হবে। করতেই পারেন। নিজের রিস্ক।
ভুলেও গুরু গম্ভীর তত্ত্বকথা বা বই পড়তে বসবেন না। কারণ ওটা আপনাকে আবার পরে পড়তে হবে। টিভি খুলে আপনি স্পোর্টস চ্যানেল সার্ফ করবেন। কিন্তু কোনও লাইভ খেলা এখন দেখানো হবে না। ঠিক এই সময়ে আপনার মনে হবে, কই দুপুরে ঘুমালাম না। এখন ঘুম আসছে না কেন? আসবে না। এটাই নিয়ম।
কিন্তু এভাবে তো ফেলে রাখা যায় না। একটু লিখতে বসলে, একটা সময়ে চাঙ্গা লাগবে। মনে হবে, প্রেমিকা যা খুশি তাই করুক। আমারও চ্যালেঞ্জ। আপনি আবার ভাবতে বসবেন। প্রেমিকা কি সত্যিই কিছু করেছে? কোনও উত্তর পাবেন না। আর আপনি কাকেই বা চ্যালেঞ্জ জানালেন? কোনও উত্তর পাবেন না।
আপনি এই সময়ে আপনার মানি ব্যাগ নিয়ে বসুন। দেখুন কটা নোট আছে। আর আপনার এই মাসে কী কেনার শখ। হিসেব মিলিয়ে ফ্লিপকার্টএ দাম দেখে নিন। এইসব করতে করতে ডিনারের সময় হয়ে যাবে। আপনার ঘুম পেয়ে যাবে। মাঝখানে কয়েকটা সিগারেট খেতে পারেন। ঘরে নয়। রাস্তায় বা ছাদে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×