ভয়ংকর সুন্দর সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ ৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
জোহানেসবার্গের আকাশে পৌছাতে প্রায় ৯ ঘন্টা লাগল কাতার থেকে।ক্যাপ্টেন জানালো যে কিছুক্ষনের মধ্যে আমরা জোহানেসবার্গ এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবো। আমি উপর থেকে উকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কেমন শহরটা, কেমন দেশটা। একটা চাঁপা উত্তেজনা টের পেলাম নিজের মধ্যেই। এত যায়গায় গিয়েছি,কিন্ত এমন অনুভূতি কখনো হয়নি আমার।
কিছুক্ষনের মধ্যেই ল্যান্ড করলাম ও আর ট্যাম্বো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে।আফ্রিকা!!! এসেই গেলাম!!!প্লেন থেকে নেমে লাগেজ বেল্টের দিকে এগুতেই একটু ধাক্কা খেলাম। এত কালো লোক একসাথে কখনো দেখিনি। বর্নবাদী মনে হতে পারে আমাকে? না তা নয়। এটা সাউথ আফ্রিকা সম্পর্কে এত ভয়ংকর গল্প শোনার কারণেই হয়েছে সম্ভবত।
লাগেজ বেল্টের সামনে অপেক্ষা করার সময় দেখলাম কয়েকজন এয়ারপোর্ট কর্মী বিভিন্ন সিরিয়স কাজ করছে কিন্ত শরীরটা বাজতে থাকা মিউজিক এর সাথে সাথে দুলাচ্ছে।এরা আসলেই খুব আনন্দ প্রিয় জাতি।ইমিগ্রেশানের লোকটার আমার সাথে বিভিন্ন মজা করলো। আমার পাসপোর্ট হাতে নিয়ে বললো, "ফ্রম বাংলাদেশ? হাউ ইজ এভরিওয়ান ইন বাংলাদেশ?" এরপর পাসপোর্ট এ এরাইভাল সিল দিয়ে বললো,"স্টে ওয়েল মান, এন্ড নেক্সট টাইম প্লীজ ব্রিং ডিজিটাল পাসপোর্ট, দিজ হ্যান্ড রিটেন পাসপোর্ট গিভস ট্টাবল মান"। আমি একটু লজ্জা পেয়েই বললাম, "শিওর মা ফ্রেন্ড"।
পাসপোর্ট নিয়ে বাইরে আসলাম।তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে তখন। সাথে ভয়ংকর ঠান্ডা বাতাস। আমার মনে হলো আমি বের হওয়া মাত্রই জমে গেলাম। উফফফ।আমার গায়ের সামার স্যট এই ঠান্ডা ঠেকাতে পারলোনা।আমার কলিগ খুঁজতে লাগলেন আমাদের রিসিভ করতে আসা লোকদের।খুঁজে পেতে অবশ্য সময় লাগলো না।তিনজন এসেছেন আমাদের রিসিভ করতে। সেলিম ভাই, আলম ভাই আর সোহাগ।সেলিম ভাই পরে জেনেছি বিশাল ধনাঢ্য ব্যক্তি। সাউথআফ্রিকায় আল-মেহরান নামের একটা হোটেল চেইনের মালিক। আলম ভাই কন্সট্রাকশান বিজনেস করেন। উনিও বেশ ধানাঢ্য। আর সোহাগ হল সেলিম ভাই এর শালা। সেলিম ভাই এর সাথে ওনার দুই পিচ্চি মেয়েও ছিলো। আমাদের জন্য ফুল কিনে নিয়ে এসেছিলেন ওনারা। মেয়ে দুটি আমাদের কে দিল। ফুলের তোড়া।
আমি তো অভিভূত! এত সুন্দর অভ্যর্থনা পাবো সাউথ আফ্রিকায় কল্পনাতেও ছিলনা এটা। পরে যতদিন ছিলাম, দেখেছি বাংলাদেশী ভাইয়েরা কি অসাধারণ আতিথেয়তা দিয়েছেন আমাদের কে। আমরা সেলিম ভাইয়ের বিএমডব্লিউ গাড়িতে চড়ে বের হলাম এয়ারপোর্ট থেকে। রওনা দিলাম আমাদের গন্তব্যস্হল ফোর্ডসবার্গের দিকে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার
মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের
আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন
ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান
উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!
এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন