somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবে আসবে যুদ্ধমুক্ত আগামী?

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কতদিন ধরে কত পথ চলেছি,
আজো ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের ঘ্রাণ
মধ্যরাতে জেগে ওঠে ।
দেড় লাখ নারীর হারানো সম্ভ্রম হয়ে ওঠে-
আঁধার গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা
বেশ্যা নারীর পায়ের ধুলো ।
আজ ত্রিশ লক্ষ বোকা মানুষের মাংস পচা ঘ্রাণ-
ধোঁয়ার সাথে আজকের যুবসমাজ বুকে পুড়ে নেয়।
আজ হাতে হাত মিলিয়ে ভাষণ দেয় ঐতিহাসিক রাজাকারেরা।

আজ যখন কিছু কষ্টে শিষ্টে বেঁচে থাকা,
অপ্রয়োজনীয়, খেটে খাওয়া হাজার খানেক মানুষ ;
দেয়াল চাপা পড়ে মরে,
তখন ওই আমার সাদাপাকা-উকুন ধরা-জটাচুলের পাগলি মা
খিলখিল করে হেসে ওঠে ।
বলে, "মর, তোরা আরো মর ।
পরদেশীর গুলিতে ত্রিশ লাখ,
দেয়াল চাপা পড়ে এগারশ,
বোমায় হাজার হাজার,
আর প্রতিদিনের যুদ্ধে শত শত,
তোরা মর, আরো মর ।"


বিচার, আইন, সংবিধান,রাজনীতি ...

মা এই কথাগুলো শুনলে খেপে যায় ।
আমার দিকে কাদা ছুড়ে মারে ।
চিৎকার করে, কাদে,আবার হাসে,
বলে, "তোরা সব মরবি!
লোভ তোদের বাঁচতে দেবে না ।"

মার কথা শুনে ভয় হয় ।
বেড়িয়ে পড়ি রাস্তায় ।

রাতের আঁধারে দেখা হয়
চকচকে ছুরি হাতে একদল মানুষের সাথে ।
তবে এরাই কি সেই চার দশক আগের বেয়োনেটধারী পরদেশী?
কখনো দেখি রাস্তার পাশের
ছিন্ন কাথা গায়ে মানুষগুলোকে।
তবে এরাই কি সেই একাত্তরের উদ্ধ্বাস্তু মানুষগুলো?

দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি
কিছু অপর্যাপ্ত বসনা নারীদের ।
কখনো কখনো আর্ত চিৎকার শুনি ।
আবার মুখচেপে ধরা গোঙ্গানীর আওয়াজ !
সেই বীরাঙ্গনা নারীদের মিল পাই ওদের সাথে।

স্টেজে দাঁড়ানো কিছু রাজাকারের বড় গলা শুনি-
পশুর চিৎকারের মত মনে হয় ।

হরতালের কাচ ভাঙা জলন্ত গাড়ি, জলন্ত মনির,
রক্তাক্ত বিশ্বজিৎ,
পঙ্গু লিমনকে দেখি।
অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়া পিশাচগুলোকে দেখি ।
মনে পড়ে ' অপারেশন সার্চ লাইট' -এর কথা ।
আমার পাগলি মায়ের কাছে তো এই যুদ্ধের গল্পই শুনেছি!

তবে কি যুদ্ধ আবার শুরু হলো?
নাকি সেই একাত্তর থেকে এখনো চলছে?
আমি ভয় পাই -
তাকিয়ে থাকি অনাগত সূর্যোদয়ের দিকে-
কখন সূর্য উঠবে!
কখন আসবে যুদ্ধমুক্ত নতুন ভোর!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×