আমার মতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যত ভোট হবে সেগুলি সব আমেরিকায় অনুষ্ঠিত করলে ভাল হয় । ভোট কারচুপি তদন্তে আমেরিকা থেকে দলে দলে প্রতিনিধী আসতে হবে না । পরশুদিন ভোট হইলো আর আজকে দেখি বাংলাদেশে কত যায়গা থেকে প্রতিনিধী, ফোন কল, অভিযোগ গ্রহণকারীর চাইতে বেশী অভিযোগ শ্রবণকারীতে ভরে গেছে । আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসতে সময় লাগে ২২/২৩ ঘন্টা । নির্বাচন চলাকালীন কারচুপির অভিযোগ উত্থাপনের মূহুর্তে প্লেনে উঠলেই কেবল এত অল্প সময়ে বাংলাদেশে পৌঁছানো সম্ভব । নির্বাচনে কারচুপি কোন দেশে কোন আমলে আবার না হয়; শুধু ভারতে হয় না । যেসব দেশের লোক এসেছে সেসব দেশে ভোট কারচুপির ধরণ আলাদা এবং আমাদের দেশের ভোট কারচুপির তুলনায় সাড়া পৃথিবীর ভোট কারচুপির রেইটিং-এ দুই চাইর ধাপ অগ্রসর হয়েই আছে । সবচাইতে বড় কথা আমাদের ভোট নিয়ে তারা এতো উৎসাহী হয়ে উঠলে আমরা এই দেশে নির্বাচন করবো কিভাবে । একটা কথা সকলেরই স্পষ্ট জানা থাকা উচিত যে, ভোটে যে বা যারা হারবে তারা ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলবেই । ভোট কারচুপি অনেক ধরণের আছে যেমন সুক্ষ, স্থুল, হালকা, পাতলা, ব্যপক হারে ইত্যাদি ইত্যাদি । তাই বলে ভোট কারচুপির তদন্ত হওয়ার পূর্বেই ভোট আয়োজনকারী পক্ষকে চতুর্দিক থেকে অভিযোগের কাঁটাতারের বেড়াজ্বালে ঘেড়াও করে ফেললে ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন আয়োজনে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না । তখন বাধ্য হয়ে আমাদেরকে আমেরিকায় ভোটের সকল আয়োজন যেমন ভোট গ্রহণ, ভোট গণনা এবং কোন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন অনুভব করলে ভোট কারচুপিও আমেরিকায় যেয়ে করতে হবে ।
কে আওয়ামীলীগ কে বিএনপি এখানে সেই প্রসঙ্গ অবান্তর মনে করিয়া নিজেকে একজন বাংলাদেশী মনে করিয়া বা ভাবিয়া পড়িলে ভাল হয় ।