somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ভা লো বা সা র শ্রা ব ণ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





১.

আমি তখন বসে আছি ষ্টেশনে, পাশে তখনও মেয়েটা দাড়িয়ে । আমার নিজেকে কেমন বে-আক্কেল মনে হচ্ছিল। ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না । ট্রেনটা কি আমি ফেল করলাম, না ট্রেনটাই আমাকে ফেল করলো।এই প্রথম এমনটা হলো ।
মেয়েটাও যে পিছু ছাড়ছে না, কি যে করি।
আমি মেয়েটাকে আবার বললাম এই তোমার বাড়ি কোথায় ?
তার এক উত্তর জানিনা ,আমার মেজাজ গেল চড়ে বললাম যাও এখান থেকে। দেখে তো মনে ভদ্রলোকের মেয়ে হারালি কেমন করে।
এই তোমার কাছে বাসার ফোন নাম্বার আছে, মেয়েটা এদিক ফিরে ঠোট বেঁকিয়ে বলল না !
-তাহলে যাও এখান থেকে আমি কিছু করতে পারব না। আর শোন আমার পিছু পিছু আসবে না আমার এইসব একদম ভালো লাগে না।
উঠে দাঁড়ালাম এ পাশটা ছাড়বো পরের ট্রেন আসতে তো এখনও দেড়ঘন্টা কি আর করা ।
হঠাৎ নরম হাতের স্পর্শ পেয়ে পেছনে তাকালাম দেখি মেয়েটা আমার হাতটা ধরে আছে। কতই বা বয়েস হবে বড়জোর পাঁচ।
-আচ্ছা তোমার যদি আমার মতো একটা ছোট্ট আম্মি (মেয়ে) থাকতো ।
-আম্মি কথাটা মনে হতেই আমার মুখে সেই পুরোনো অট্টহাসি চলে এলো আম্মি হা হা হা আম্মি।
-আমার মতো ছন্নছাড়া জীবনে আবার আম্মি ,এই যাও ভাগ এখান থেকে আমার কখনই আম্মি হবেনা ।
-আমাকে একা ফেলে যেতে তোমার কষ্ট লাগবে না ,তুমি কি আমাকে একটু সাহায্য করতে পার না ।

সাহায্য শব্দটা আমার কানে কেমন বাজলো মেয়েটাকে সামনে দাড় করালাম তাকালাম চোখের দিকে কোথায় দেখেছি
এই চোখ মনে করতে পারছিনা। আমি জিগ্যেস করলাম নাম কি তোমার ?
-নিম্মি
-নাম টা সুন্দর
-বাবা কি করে
-ব্যাংকের ম্যানেজার
-যেখানে থাকো সে জায়গার নাম জানো
-প্রশিকা অফিসের সামনে
-কোন পাড়ায় থাকো
-বলতে পারিনা
আমি চোখ রাঙ্গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কি বলতে পারো তাহলে
-আমাকে বকছো কেন, তোমাকে ছোট্ট বেলা কি সবাই বকতো ?
-কথা তো ভালোই বলতে পারো
-আমাকে তোমার সাথে নেবে
-তোমার মা’র কথা মনে পড়ছে না।
-তুমি কি আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাবে?
-তোমার মাকে তো আমি চিনি না ।
-তাহলে আমাকে মায়ের কাছে নিয়ে চলো প্লিজ চলো না।

বাবা বলতেন যারা বিপদে পড়ে তাদের সাহায্য করতে হয় আজ বাবা নেই কিন্তু বাবার সেই কথা পালন করতে গিয়েই আজ আমার জীবনটা এমন ছন্নছাড়া।
আজ থেকে ছয় বছর আগের কথা এই সেই ষ্টেশন যে আমার জীবনের কালসাক্ষী, যেখানে আমার সাথে দেখা হয়েছিলে মৌমি’র।
সেও এমনি করে দাড়িয়ে ছিলো ,ট্রেন ফেল করে,ছিনতাই কারীদের হাতে ব্যাগ খুইয়েছে এখন বাড়ি ফিরবে কি করে। তার উপর আবার সন্ধ্যে নামছে।
বরাবর মতো ষ্টেশনে এসেই একটা পত্রিকার খোজ করতে গিয়ে ওকে চোখ পড়ল বিষণ্ন মনে দাড়িয়ে আছে। আগ বাড়িয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলার অভ্যাস আমার কখনোই ছিলনা।
আমার দিকে তাকিয়ে কি ভেবে ও নিজ থেকেই এগিয়ে এলো , আমি নিজেই সংকোচিত হলাম ।
আমি পত্রিকা নিয়ে পড়ায় মনোযোগী হলাম ও এসে পিছন থেকে দাড়িয়ে বলল
আমি আপনার সাথে একটু কথা বলতে চাইছিলাম
-বলুন
-বাসায় ফিরবো ট্রেন ফেল করেছি তারপর আবার ব্যাগ হয়েছে ছিনতাই এখন সাহায্য না পেলে আমার যে কি হবে ভাবতে পারছিনা।
-আমাকে কি আপনার বাজে ছেলে মনে হচ্ছেনা ,আর আমি কি করে আপনাকে সাহায্য করবো আমি যে অচেনা, আর ছেলেরা তো ভালো নয় সেটা নিশ্চই জানেন।
-চোখ দেখে তো মনে হয়না আপনি বাজে লোক ।
-আমি আবারও পুরোনো সেই অট্টহাসি হেসে বললাম আপনি কি চোখের ডাক্তার না কি দার্শনিক যে চোখের ভাষা বোঝেন ।
-চোখের ভাষা বুঝতে আবার ডাক্তার হওয়া লাগে নাকি !
-আমি চুপ করে গেলাম
কারণ এই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললে একটু পরে কোন প্রসঙ্গ আসবে তা আমার ভালো করে জানা তাই চুপ।
একটু ভাবলাম কি করবো !
উপকার করতে গিয়ে আবার বিপদে পড়বো না তো ,
-আমি বললাম দেখুন আমি কিন্তু ভালো লোক নই
-আচ্ছা ঠিক আছে ।

টিকেট কাটলাম মেয়ে দেখি নাছোরবান্দা আমার পিছু ছাড়ে না আমি বললাম আপনি দাড়ান আমি টিকেট কাটি।
-না আপনি আমাকে ফেলে চলে যান আর কি আমিও সাথে যাবো ।
পকেট থেকে ক’টা টাকা বের করলাম ওর হাতে দিয়ে বললাম বাসার ঠিকানায় ফোন করুন আর কিছু খাবার কিনুন,ও বলল আর সেই সুযোগে আপনি পালিয়ে যান।
আমার ভীষন রাগ লাগছিল অগত্যা কি আর করা সাথে নিলাম তবে খাবারটা কিনলাম ওর হাত দিয়ে ।
ট্রেনে উঠলাম সিটে বসেই ও বলল খাবারটা আমাকে দিয়ে কেনালেন তা বুঝতে পেরেছি ,
-বলুন তো কেন?
-আপনি যে অজ্ঞান পর্টির লোক নন সেটার প্রমাণ দিলেন
-হ্যাঁ

ট্রেন সিরাজগঞ্জ থেকে লালপুর হয়ে যাবে নাটোর আমার গন্তব্য ছিলো অন্যপথে কিন্তু আজ বিপদগামীনির সাথে চললাম অজানার পথে। আগে কখনো যাইনি ও পথে
মৌমি ষ্টেশনে ব্যাগ হারিয়ে তিন ঘন্টা বসে থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতা বলল,আমি এক পাশে কাত হয়ে পত্রিকা পড়ছিলাম
এই ফাঁকে সে বিনা অনুমতিতে আমার ডাইরি খানা পড়ে ফেলেছে ।
যখন দেখলাম তখন মেজাজ আমার তিরিক্ষি হয়ে গেছে,ও বলল দুঃখিত।

মৌমি বসেছে জানালার পাশে ,এবার অনুমতি নিয়েই ডাইরি পড়ছে হাওয়ায় উড়ছে ওর চুল আমার এ সময় কেন যেন মনে হচ্ছে আমি বসে আছি নাটোরের সেই বনলতার সামনে আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে এলো
“এলো চুলে ঢাকা মুখখানি তার, উচ্ছলতার সে চোখ হারিয়েছে রাতের তারায়,
আমার ছন্নছাড়া মন বুঝতে তার চোখের ভাষা, আজ তার চোখেতেই হারায়।”

-কি আমার চোখে হারালেন নাকি?
-মাফ করবেন আমার ভূল হয়ে গেছে
-কেন আমি কি পেত্নি নাকি আমাকে এ কথা শোনানো যায়না
-যায় তবে আমার চেহারায় তো সুন্দরের ছিটেফোঁটা নেই ,অতএব কোন মেয়ে আমাকে ভালোবাসার প্রশ্নই আসেনা এই ভেবে দুরেই থাকি।
আমার দিকে তাকিয়ে আপাদমস্তক দেখলো
-নিজেকে এতো ছোট ভাবেন কেন?
আমি চুপ করে গেলাম কারণ এরপর কি প্রসঙ্গ আসতে পারে তা আমার ভালো করে জানা।
আমার মনে প্রশ্নের উদ্রেক হলো আমি কি কাউকে ভালোবাসতে পারি ? আচ্ছা এতকাল তো মনে হয়নি এই সব কথা আজ হঠাৎ কেন মনে হচ্ছে। একজন কে সাহায্য করতে গিয়ে ভালোবাসার কথা ভাবা হচ্ছে ছিঃ না আমি এমন নই।

ট্রেন লালপুর আসতেই আমি বললাম কিছু খেয়ে নিন। না কোন দ্বিধা নেই সে নিজের মতো করে খেলো। পরিচয় জানলাম ঢাকায় পড়ে ইডেনে ।
আর আমি হতচ্ছাড়া পড়ালেখা ছেড়ে ব্যাবসা করি জেনে তিনি একটু হতাশ হলেন।


২.


নাটোর ট্রেন থামলো।
রাত্র ১০টা
আমি বললাম তো এসে গেলাম এখন আপনি যেতে পারেন। এই বলে আমি পিছু ফিরলাম কিন্তু আবারও তার কথা
-না আপনাকে আমার সাথে যেতে হবে
-কোথায়
-বাসায়
-দুঃখিত আমি যেতে পারব না প্লিজ আমাকে এখন যেতে দিন।
-মা আপনাকে যেতে বলেছে
-মা জানলো কি করে
-আমি বলেছি
-না যাব না
-মা’র কথা টা অন্তত রাখুন।
-আচ্ছা ঠিক আছে তবে দেখা করেই আমি ফিরবো
-আচ্ছা ঠিক আছে দেখা যাবে।

অনিচ্ছা স্বত্বও বাসায় গেলাম তারপর সেই পুরোনো স্টাইল পরিচিত হওয়া এবং পরিশেষে রাত্রিটি থেকে যাওয়ার অনুরোধ মনে মনে বললাম কুচ্ছিত একটা অপদার্থের জন্য এত দরদ দেখাবার কি দরকার।
ঘুম থেকে উঠেই বাসায় ফিরলাম ব্যাস্ত হয়ে গেলাম আবারও কাজে ,কিন্তু মন থেকে ওই স্মৃতিটা কিছুতেই মুছতে পারলাম না।
্রপ্রায় তিন মাস পর একদিন বাসায় ফিরে দেখি মৌমি বসে আছে মা’র সাথে তারপর হালকা ঝাড়ি এবং সেই সাথে মা’র কিছু বকা।

এভাবেই শুরু হলো আবেগ যুক্ত ভালোবাসা আমাদের তো আর মাঠে ঘাটে ঘুরে প্রেম করার মতো সুযোগ ছিলো না তাই হঠাৎ দেখা আর বাকিটা ফোনেই কথা চলতো। ভাবতাম একজন আরেক জনের জন্য কতকিছু করে ফেলবো কিন্তু কে জানতো এই ভালোবাসার জন্য একসময় এভাবে কাঁদতে হবে। বুকের মাঝে যাকে ঠাই দিয়েছিলাম সে যে আমার মতো অপদার্থের বুকটা ফালা ফালা করে দেবে তা’ কে জানতো।
আসলে প্রেম বোধহয় এমনই হয়,দীর্ঘ চার বৎসর পর একদিন আবিস্কার করলাম আমার ভালবাসা একটা ভালোবাসা’র (নীড়) আশায় আমার ভালবাসা ভুলে গেছে এমনকি এক সন্ধ্যায় আমাকেই সে চিনতে পারেনি।

তারপর একদিন,
আগের সেই রেল স্টেশনেই আমি বসে আছি আমার সামনে দিয়ে তার নিরব পদযাত্রায় এখন দেখলাম আজ নতুন একজন সঙ্গি ! আসলেই ভালোবাসা এমনই হয়। আমি আর বেশি কিছু দেখার আশা করলাম না ট্রেন মিস করলাম। যখন জানলাম ওর বিয়ে হয়ে গেছে সামনে গিয়ে দাড়ালাম অনেক কথা বললাম ও শুধু বলল তুমি কি জানো না এই মন যে কখন যে কার মনে লেগে যায় কেউ তা বলতে পারেনা। আমি কাঁদবো না হাসবো বুঝতে পারলাম না। আমি বুঝেছিলাম আমার সাথে ও করেছিলো অভিনয় আর আমার কাছ থেকে ও শিখেছিলো কিভাবে ভালোবাসতে হয়,তারপর ভালবাসার পালা বদলে আমি হলাম অচেনা তাই এখন পুরোনো মানুষকে আর ভালো লাগে না এই আর কি।

৩.



ট্রেনের হুইসেল।
কল্পনার জগৎ থেকে ফিরে এলাম, মেয়েটা এখন আমার হাত ধরে বসে আছে ।
আমি বললাম যাও এখান থেকে... ...।
ট্রেনে উঠবো কিন্তু আবারও মনটা খারাপ লাগছে ভেতর থেকে কে যেন বলছে আবার একটু উপকার করলে কি হয়?
না আর নয়,আবার খারাপ ও লাগছে ।
এসব ঝামেলা শুধু আমাকেই পায় কেন,উঠে দাড়িয়ে পিছনে তাকালাম তারপর ডাকলাম আয় কাছে আয় ,তোমার বাবার নাম কি?
-জানিনা
-তাহলে কি জানিস
-তোমার বাবার নাম কি?
-ওরে বিচ্ছুরে
-থাকিস কোথায় প্রশিকা অফিসের সামনে
-এই অফিসটা কোথায়
-জানিনা
-জায়গার নাম কি?
-বনলতা সেন কে চেন?
-তার মানে নাটোর থাকিস
-হ্যাঁ
-এতক্ষণ বললি না কেন
-মা বকবে যে ,আমাকে কোথাও ঘুড়তে নিয়ে যায়না তাই তো রয়ে গেছি
-ঘটনাটা কি?
-মায়ের সাথে বাসায় ফিরছিলাম মা বকেছিল তাই ট্রেন ছাড়ার আগে নেমে পড়ছিলাম।
-এত রাগ।
-তোমার মায়ের নাম কি?
- মৌমিতা রায় রাত্রী
নামটা শুনেই আমি একটা শকড খেলাম একটু অবাকও হলাম মৌমি শেষ পর্যন্ত আবারও . . . .। একেই বলে প্রেম!
কখনো কি ভেবেছিলাম এমনটা হবে না ভাবতে পারিনি আসলে আমি যা ভাবি না তাই হয়।
ট্রেনের টিকিট কাটলাম ট্রেনে উঠলাম তখন পড়ন্ত বিকেল,বাসায় ফোন করলাম মা,আমি কাল আসছি,আজ অনেক দিন পর আবারও কারও উপকার করতে যাচ্ছে তোমার ছেলে।

কোলে নিয়ে নিম্মি কে খাওয়ালাম তারপর শোনালাম আমার জীবনের এক ছোটা সা প্রেম কাহানি,দেখলাম মায়ের মতোই রাগ তারপরও মায়ের প্রতিই ভালোবাসা।
কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেই জানিনা ওর ডাকে উঠলাম এসে গেছি ষ্টেশনে। নামলাম রিকসা নিলাম ওদের বাসাতো আমার চেনাই ছিলো তারপরও একবার ভাবলাম বাসা বদল করেনি তো আবার এদিকে নিম্মি কোলে বসে ঘুমিয়ে গেছে।
আবারও সেই প্রশিকা অফিসের সামনে থামলাম অনেকদিন পর । দেখলাম অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে সন্ধ্যা ৭টা বাজে কোল থেকে নামিয়ে নিম্মির হাত ধরলাম বললাম চল।
বাসার গেট পেরুতেই শুনলাম কে যেন বলছে নিম্মি এসে গেছে আমি বললাম যাও নিম্মি ও হতবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। সামনে তাকিয়ে দেখি দরজার পাশে দাড়িয়ে আছে মৌমি নিম্মি ওর কাছে ফিরে যেতেই আমি পিছূ ফিরলাম এবার বাড়ি ফেরা যাক।
পেছন থেকে মৌমি বলল কে আপনি,এই নিম্মি তুই কার সাথে এসেছিস ?
- মা রুদ্র আঙ্কেল আমাকে নিয়ে এসেছে
-রুদ্র !
-এই আঙ্কেল আমার মা’র সাথে কথা বলবে না ।
এমন সময় মৌমি’র মা এসে পিছূ দাড়ালেন কি,রে বাসায় আসবি না । আমার সোজা উত্তর না, আমি আসি ।
হঠাৎ মৌমি বলল বাইরে বৃষ্টি নামছে একটিবার অন্তত বসে যাও আমি বললাম আমার সে দিন কি আর আছে !
বাইরে তখন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে এখুনি বৃষ্টি নামবে ,নিম্মি আমার হাত ধরে বলল কি রুদ্র আঙ্কেল আমাদের ঘরে বসবে না, আরেকদিন বসবো আজ চলি
-আজ একটু বসে যাওনা
-না
-আঙ্কেল যদি, আমার মতো তোমার একটা আম্মি থাকতো তাহলে বসতো না।
-না নিম্মি আমার কখনই আম্মি হবেনা । যাই আজ আবার একদিন আসবো
-আসবে তো কথা দাও
-দিলাম
জানিনা এই কথা আমি কখনোই রাখতে পারবো কিনা ।
আমি পথে নামলাম বাইরে তখন শ্রাবণের বৃষ্টি আমাকে যে সব দুর্যোগের মধ্য দিয়েই যেতে হবে বহুদূর ভালো থেকো মৌমি ভালো থেকো নিম্মি ।



* সমাপ্ত *



এটা একটা সিনেমাটিক স্টাইলের গল্প। তাই প্রথম পাতায় পোষ্ট দিলাম না।
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×