somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমাচার - ট্রাভেল পার্টনার নন্দিনী

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুগে যুগে নন্দিনীকে দেখেছি বহুরুপে। শেষবার দেখলাম একটা ওয়েবসাইটের এড পেইজে। ট্রাভেল পার্টনার হিসেবে। আর কত তুমি নিজেকে বেচবে? একবারও কি আয়না দেখ না? পুরুষ কি রুপে তোমায় সাজিয়ে দিয়েছে আর তুমি নিজেকে কোথায় নিয়ে গেছ!

শুনেছি জামানীতে হালাল পতিতা নামক পতিতালয় চালু হয়েছে। সহি আকিদায় বিয়ে দিয়ে বিছানা সঙ্গী করার প্রথা তারা চালু করেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিন তালাকের বিনিময়ে নিজের জীবনে আবার ফিরে যাওয়া যায়।



নন্দিনী জানি তোমারও খারাপ লাগে। প্রথমে ভাল লাগে। ভাল লাগা শেষে খারাপ লাগায় গিয়ে আটকে যায়। যদি তুমি জানতে তোমার প্রিয় পুরুষটিরও খারাপ লাগে। যদি তোমাকে পায় তবে সে বেহেসতে হুরপরীও চায় না। তার কথাও একবার ভেবে দেখ প্লিজ।

বিড়ালটি সিমকার্ড খেয়ে ফেলেছে গল্পটি পড়ে নন্দিনীর ভাবনার শেষ নেই। বিড়ালটি কি করে সিম কার্ড খেল। বিড়ালে কি সিম কার্ড খায়? এই নিয়ে হাজারটা রহস্য। অথচ নিজে প্রতিদিন সিমকার্ড হয়ে কিভাবে বিড়ালের খাবার হয়ে যাচ্ছে সেই খেয়াল নেই। সত্যি নন্দিনী, তোমায় কোন পুরুষই বুঝে না। তোমায় বুঝে যায় শুধু বিড়ালগুলো।

নন্দিনীরাও এক সময় ভাল হয়ে উঠে। তারা স্বামী ভক্ত হয়। কলঙ্ক যা হবার তা হয় অতীত। আসলে কতটা অতীত হয়? কেননা যে খারাপ সে সবসময় খারাপ। কান্না কাটি করে স্বামীগুলোও ঘর মুখি হয়। অফিস শেষ করে বউয়ের জন্য একটি লাল গোলাপ নিয়ে আসেন। আল্লাদে আটখানা হয়ে স্ত্রীর সেবা করেন। তখন অন্য এক নন্দিনী আতুড় ঘরে মুখ ঢাকেন। তিনি নন্দিনীর শাশুড়ি। নন্দিনী তুমি কি কখনো শাশুড়ী হতে চাও না? কি করে যেন জীবনের পর্দা নেমে আসে দুচোখে। লজ্জ্বা শরমের বালাই নাই এমন যুগলকে দেখে আমি মুগদ্ধ হই। শুধু নন্দিনীর মুখ পানে চেয়ে থাকি। আহা কি নির্মল সুন্দর সে হাসি।

একবার এক নন্দিনীকে একটা ফুল দিয়েছিলাম। সেও আমাকে একটা ফুল দিয়েছিল। ফুল পেতে কার না ভাল লাগে? আমারও ভাল লেগেছে। ভাল লাগে নি শুধু নন্দিনীর কৌতুক। সে আমাকে বলেছে জীবনে পেছনে ফিরে তাকাতে নেই। কি মনে করে যেন আমি তার পেছনে তাকালাম! সে আমাকে অসভ্য ভেবে চলে গেল। যেখানে গেল সেখানে তার সামনা এবং পেছন দুটিই ছিল উন্মুক্ত। পরের বার দেখা হলে তাকে বলব, শুন নন্দিনী তুমি চলে যেতে চাইলে চলে যাবে, তবে কোথায় যাবে সেটা আগে ভাববে। চলে যাওয়াটাকে গুরুত্ত্ব দিও না, কার কাছে থাকবে সেটাকে গুরুত্ত্ব দিও।

এই কথা আজও ভাবতে ভাল লাগে যে, আমি যেমন তাকে মিস করি সেও একইভাবে আমায় মিস করে। ভাবনা পর্যন্তই সেই নন্দনী আর তার ফুল। আমাদের একটি জমি আছে। জমি যেহেতু আছে তাই সেই জমির আকাশও আছে। আমি জমির মালিকানা পাই নি। কিন্তু আকাশের মালিকানা পেয়েছি। কিভাবে পেয়েছি সেটা আসল কথা নয়। আসল কথা হচ্ছে আমার আকাশে চাঁদ দুইটি। কিভাবে একটি আকাশে দুটি চাঁদ থাকতে পারে তা আমার জানা নেই। তবে তারা আছে। তারা স্বতীনের মত ঝগড়া করে না। যে যার মত করে ছুটে চলে নিজ অক্ষে।

তবুও নন্দিনীরা হচ্ছেন ঢবে রাখার মত ফুল। ভ্রমর তো আসে যায়। বড় যতনে তারা ফুল ফুটায়। এই ফুলের জন্য নন্দিনীকে ঘুরে রাখতে হয়। তাদের সম্মান দিয়ে মাথায় তুলে রাখতে হয়। কারণ ফুল মানেই প্রেম। আর প্রেম মানেই অমরত্ত্ব। প্রেম আর অমরত্ত্ব যেখানে বাস করে সেই ঘরে অবশ্যই ভালবাসা বাস করে। আর এভাবেই নন্দিনীদের জীবনে প্রেম আসে। তারা কখনো কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে না।
তবে তারা প্রেমে পড়ে। প্রেমে পড়ে যায় একটি সংসারের। যা তাকে ঘিরেই বেড়ে উঠে। একটি নন্দিনীর জীবনে যদি প্রেম আর অমরত্ত্ব খেলা করতে পারে তবে আমার আকাশে দুটি চাঁদ থাকা অসম্ভব কিছু না

*** ফেইসবুকের https://www.facebook.com/obaydul.shipon
এই আইডিতে আমাকে রাখা হয়েছে। আপনারা কি একটু দেখে আসবেন সেখানে আমি কেমন আছি!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৪
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×