মুভি এর প্রযুক্তি নিয়ে আজকে আমার পোস্ট।
আমি অনেক আগে থেকেই এই বিষয় নিয়ে জানা ও পড়া পছন্দ করি।।
প্রত্যেক টা বিষয় এই আমার ধারনা আছে। যা আমি জানাতে পছন্দ করি। কারন আমার অদিকাংশ বন্ধু ও অনেক বিজ্ঞ লোক এই বিষয় জানে না।
প্রথমত ক্যামেরা******]
বাংলাদেশ তার মুভি তে সাধারনত আগেরকার দিনের ক্যামেরা ব্যবহার করে যার সম্পর্কে আমার ধারনা নেই। আশা করি দরকার নেই।
এই সব ক্যামেরার লেন্স এ অনেক সমস্যা রয়েছে। উন্নত কোন ফিল্ম সিটি তে এর ব্যবহার অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
বর্তমানে ব্যবহার করা অনেক মুভি ক্যামেরা আছে।
যার মধ্যে red camera অন্যতম
এর প্রযুক্তি অনেক উন্নত, দাম কম, এর অনেক সুনাম ও সেবা থাকায় এটা মোটামুটি বাজেট এর মুভির জন্য সর্বেসর্বা।
কোন মুভি বানানোর জন্য ক্যামেরা জরুরি। আমি দাম কম বলায় মনে করবেন না যে এর দাম কম। মানে অন্য মুভি ক্যামেরা থেকা এর দাম একটু কম ।
আর এই মুভি ক্যামেরা আপনার পার্সোনাল কাজে ব্যবহার করা ক্যামেরার
তুলনায় অনেক অনেক দামি। যার ফলে এই সকল ক্যামেরার নাম আমারা শুনি না। আর এগলু চালানোর জন্য এক্সপার্ট থাকা জরুরি। কারন এগুলু হাইলি প্রফেশনাল ক্যামেরা।
আর আপনি দাম দিয়ে শুধু ক্যামেরা কিনলেই হবে না তা চালানোর জন্য অনেক accesories দরকার যার ভাল দাম রয়েছে।
যার কারনে ক্যামেরা কিনে মুভি করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এই কারনে সবাই ক্যামেরা ভাড়া নেয় মুভি করা জন্য। না হলে এটা আপনার মুভির অনেক পরিমান বাজেট
নষ্ট করে ফেলেবে।
রেড ক্যামেরা দিয়ে যে সকল মুভি শুট হয়েছে । transformers, begin agin,captain america,bad neighbors,ride along
,enders game,pirates of carabian, total siyappa, আরও অনেক মুভি।
একটি রেড ক্যামেরা
নাম ঃEPIC-M RED DRAGON (CARBON FIBER) W/ SIDE SSD MODULE (CARBON FIBER) AND MAGNESIUM LENS MOUN
দাম (বাংলাদেশি টাকা) 38,74,079 লাখ টাকা / ( 50,000 )$
রেড ক্যামেরা ডিজিটাল হওয়ায় এতে মেমোরির প্রয়োজন হয় । যার দাম আর নাই বললাম।
উপরের এটি ক্যামেরার মাত্র একাংশ এর বাকি অংশের দাম ত রয়েছে। অইগুলা আলাদা কিনতে হবে ।
১। যেমন ( পাওয়ার বক্স)
২। এর মেমরি।
৩। লেন্স
৪। ক্যামেরা মুভেমেন্স এর জন্য স্ট্যান্ড। অনেক স্ট্যান্ড দরকার পরে।
আরও অনেক জিনিস যা হলিউড এ ব্যবহার হয়। বাংলাদেশর ফিল্ম যেহেতু উন্নত নয় তাই রেড ক্যামেরা কোম্পানি বাংলাদেশি নেই। ইন্ডিয়ায় এদের শুরুম আছে। অইখানে এই গুলা পাওয়া যায়।
অনেক উন্নত মানে মুভি ক্যামেরা আছে । যা এই ডিজিটাল দিনেও রিল বা ফিতা ব্যবহার করে। আসলে এই রিল বা ফিতা
ডিজিটাল পধতি থেকে ভাল বলেই ব্যবহার করা হয়।কিছু ক্যামেরা আছে যা 50 fps এ শুট করে থাকে। মানে অনেক slow motion এ।
এগোল দিয়েই মুভি তে বুলেট এর শুট করে হয়। fps = frame per second হলিউড মুভি গুলাতে 24 fps সবচেয়ে জনপ্রিয়।
কারন এতে ভাল মান পাওয়া যায়। আর এর ফলে রিল বা ফিতা কম লাগে। যার দাম অনেক। এর দাম নিয়ে হলিউড ও ভাবে।
তবে কিছু কিছু ফিল্ম যা বড় বাজেট এর তারা ৩০ এমনকি ৪৫ fps ও শুট করে থাকা যা অনেক অনেক দামি।
কিছু জনপ্রিয় মুভি ক্যামেরা । যথাঃ
1.Arri Alexa(সাকিব খানের মতে তিনি এই ঈদ hero the superstar মুভিতে এই ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন )
2.Sony CineAlta
3.Panavision Genesis
4.Red One
5.Red Epic
6.Red Scarlet
7.Blackmagic Design
এ ছাড়াও অনেক মুভি ক্যামেরা আছে।
এতক্ষণ যেসব ক্যামেরার আলাপ করলাম এই সকল ক্যামেরা বলিউড সহ বড় বড় মুভি প্রতিষ্ঠানে জনপ্রিয়।
!! এবার বলব এমন কিছু ক্যামেরার কথা যা বাবহারে সাহস বলিউড এর ও কম। যার দাম অনেক । কেনার কল্পনাও করা যায় না। মুলত কেনা যায় না। শুধু ভাড়া।
এমন ক্যামেরার মধ্যে আমার জানা মতে এইগুলা।=
..১ imax ..
..২ fusion camera system..(যা দিয়ে avatar করা হয়েছে।)
imax ক্যামেরা imax প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে যা তাদের নিজেদের তৈরি।
imax 3d 3d প্রযুক্তির বস। সবচাইতে মজার বিষয় এত প্রযুক্তিসম্পন্ন হয়েও এটা রিল বা ফিতা ব্যবহার করে। হা হা হা।
আসলে imax এর মতে এটা এত পরিমান মেমরি খায় যে
এটা দিয়ে ফিল্ম করা সম্ভব নয়। তাই রিল ব্যবহার হয়। কারন রিল unlimted মেমরি।
imax এর নিজস্ব সিনেমা প্লেক্স আছে। যা মানুষকে উন্নত গ্রাফিক্স এর সাধ দেয়।
nasa ও এই ক্যামেরা মহাকাশে ব্যবহার করে।
imax cameraআছে মাত্র ১৫-২১ এর মত (আনুমানিক)। তাই ভাড়া নেওয়ার সময় প্রতিযোগিতা হতে পারে বড় বড় পরিচালক এর সঙ্গে ।
তাহলে বোঝেন এর ভাড়া কেমন হবে।
প্রতি সপ্তাহের জন্য 12,39,705 লাখ টাকা।
আর এটা যেহেতু রিল ব্যবহার করে তাই এর ১ foot রিল এর দাম ২৩২ টাকা । আর পুরা মুভি বানাতে আপনার রিল এর দরকার আনুমানিক 1,50,000 feet to 2,50,000 feet।
আর যদি 3d মুভি বানাতে চান তাইলে এর double ফিতা লাগবে।
তাইলে বুঝেন।
বাংলাদেশ ( transformer) (godzilla ) ( avenger) টাইপ মুভি বানানো সম্ভব হবে কি না কারন এগোলতে আছে imax এর ব্যবহার?????
কারন দামি ক্যামেরা দিয়ে শুট করলেই হবে না। আছে vfs অথবা animation এই গুলার খরচ কে দেবে।??
ভাল ক্যামেরা দিয়ে শুট করে যদি (vfx)/fx ও সাউন্ড এর উপর জোর না দিয়ে আলতু ফালতু graphics এর কাজ করান তবে তা হয়ে যাবে
স্যার অনন্ত জলিল এর মুভির মত।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সূত্র ... http://www.red.com/
Click This Link
http://coinmill.com/BDT_USD.html#USD=3
http://www.red.com/shot-on-red
https://www.imax.com
en.wikipedia.org/wiki/IMAX
http://en.wikipedia.org/wiki/Movie_camera
https://www.youtube.com/user/imaxmovies
https://www.youtube.com/user/imaxmovies/about
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২০