নাহ! বেশি কিছু বলবো না, ইদানিং হলুদ সাংবাদিক কথাটি বহুল আলোচিত।
দেশে যেমন টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পত্রিকার পরিমান বাড়ছে ঠিক তেমনি এদের ইনকামের পরিমান বাড়াতে নানা অসুদুপায় অবলম্বন করছে। পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল গুলো তাদের হিট বাড়াতে অনেক মিথ্যা তথ্য প্রদান করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এমনকি তারা টাকা খেয়ে এমন সব নিউজ প্রচার করছে, সত্যি যেন নাটকের মহড়া চলে। নাটকের শুটিং শেষে যেমন বর্জিত দৃশ্যগুলো বাদ দেয়া হয়। ঠিক তেমনি এই হুলুদ সাংবাদিকদের কাজ অবৈধ কাজ দেখেও না দেখার ভান করা, অথবা বিকৃত করে উপস্থাপন করা। আজ আমার বাড়ির সামনেও এমন এক নাটকের মহড়া চলছে। যাদের লিডে আছেন দেশের দুটি প্রাইভেট তিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি ১। বিজয় টিভি ২। দিগন্ত
কিছুদিন আগে রেললাইনের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। এলাকাটা বস্তির মতো দেখাতো তাই একটু খুশি ছিলাম। তবে পরক্ষনে সেই সব মানুষের জন্য খারাপও লেগেছে , যে এতোগুলো মানুষ কোথায় যাবে। তবে একথা ত সত্য এই সব অবৈধ স্থাপনাতে থেকে বিভিন্ন অবৈধ কাজ চলতো। রেললাইনে চলতো ছিনতাই এবং প্রকাশ্যে গাজা বিক্রি পর্যন্ত।
এইসব অবৈধ স্তাপনায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো যা এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের পকেটে যেত। আমাদের এলাকায় সরকার বংশীয় লোকজনের বাস, যাদের অনেক সম্পত্তি থাকা সত্তেও তাদের লোলুপ দৃষ্টি অনেকের জায়গা সম্পত্তির উপর। মসজিদের টিন পর্যন্ত খুলে নিতে তাদের বাধে না। কারন শুধু এইটাই যে মসজিদের আশে পাশে ঘেঁষে দোকান বানিয়েছিলো, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট বলেছে, মসজিদের সাথে দোকান দেয়া যাবে না। ভেঙ্গে ফেলতে বলছে। তাই তাদের ভালো লাগে নাই। এই জন্য মসজিদ ভাংতে চেয়েছিলো। আমাদের মসজিদের মোয়াজ্জেম সহ কয়েকজন মুসুল্লি মিলে প্রতিবাদ জানালে, সে অনেক গালিবাজি করে।
এখন তাদের ইনকামের পথকে আরো সুগম করতে দুটি চ্যানেলের সাংবাদিক এনে নাটকীয় মহরার মাধ্যমে নিউজ নেয়ে হচ্ছে। যারা রেললাইনের পাশে স্থাপনা করতে চায় তাদেরকে ১০০ টাকা করে দিতে হবে, যা সাংবাদিকদের উদর পূর্তির জন্য। ক্যামেরার সামনে কথা বলার জন্য স্ক্রিপ্ট লিখে দেয়া হয়েছে, ঠিক যেমনটি নাটকে হয়। এরপর নিউজ এডিটিং এ সব সত্যকে ধুয়ে মুছে, প্রচার করা হবে।
হায়রে দেশ ... যেদেশে চলে নীতি বর্জিত রাজনীতি।