somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগাররা ফিরে আসুন

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



খুব দুঃখ নিয়ে লিখছি। ব্লগে যোগ দেয়ার পর থেকে জানামতে কারো সাথে মনোমালিন্য হয়নি। একআধটু ঠোকাঠুকি হয়ত হয়ে থাকতে পারে তবে সেটা কোনভাবেই বিচলিত হবার মত নয়। সুদীর্ঘ চার বছর আগে নিক খুললেও নিয়মিত হয়েছি ছয়/সাত মাস আগে। এর মধ্যে সবাইকে বন্ধু হিসেবেই পেয়েছি। সবাই উৎসাহ দিয়েছেন, লেখার প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ গঠনমূলক সমালোচনাও করেছেন। ব্লগারদের এই সৌহার্দ্যমূলক সহাবস্থান আমাকে একাধারে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করেছে। কিন্তু আজ লিখতে বসে একটু কষ্টের দীর্ঘশ্বাসও কি বেরিয়ে আসছে না?

আমি জেনেছি এই ব্লগে পূর্বে কোন একসময় পাঁচ-ছয়শো ব্লগারকেও একসাথে দেখা যেত। কিছু জটিলতা ও আনুষঙ্গিক কারণে ব্লগ অনেক সংকুচিত হয়ে এসেছে। এখন শতাধিক ব্লগারকে একসাথে পাওয়া খুবই মুশকিল। তারপরও কিন্তু বর্তমান অবস্থাকে একেবারে খারাপ বলার উপায় নেই। যাঁরা আছেন তাঁরাও প্রায় সবাই খুব ভালোমানের লেখক। কিন্তু একটা ব্যাপার বেশ কিছুদিন যাবত মনকে পীড়া দিয়ে যাচ্ছিল। মতের মিল না হওয়ার কারণে এখানে কারো কারো সাথে কারো কারো মনোমালিন্যের মত ঘটনাও ঘটে। আর এই মনোমালিন্যকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ অভিমান করে ব্লগ ছেড়েও চলে গেছেন, যাচ্ছেন হয়ত ভবিষ্যতেও যাবেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে- এমন কী মনোমালিন্য হচ্ছে যার কারণে ব্লগাররা ব্লগই ছেড়ে দিচ্ছেন? তাহলে একথা কি ভেবে নেয়া যুক্তিসঙ্গত নয় যে কারো লেখার সমালোচনা করতে গিয়ে আমরা সীমা অতিক্রম করে ফেলছি? গঠনমূলক সমালোচনাকে কেউ যদি নিজের জন্য ক্ষতিকর মনে করে তবে তার ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়াই উচিত। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনার পরিবর্তে যদি কেউ ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হয় বা তাচ্ছিল্যের শিকার হয় বা কারো লেখা নিয়ে উপহাস করা হয় তাহলে সে অভিমানে বা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্লগে আসা ছেড়ে দিলে কি তাকে দোষ দেয়া যায়?

বর্তমানে এমন অনেক ব্লগারকে মিস করছি যারা কিছুদিন আগেও নিয়মিত ছিলেন। কেউ কেউ হয়ত ব্যস্ত আছেন, সময় পাচ্ছেন না বা ছোটাছুটির মধ্যে আছেন তাই অনিয়মিত। কিন্তু আমার জানামতে অনেকেই অভিমান করে ঘোষণা দিয়ে ব্লগ ছেড়েছেন। তাদের অভিমান কি যৌক্তিক ছিল নাকি অযৌক্তিক ছিল সেটা আমি বলতে পারব না। হয়ত তারা কাউকে অযথা ভুল বুঝেছেন বা কারো কথায় দুঃখ পেয়েছেন বা ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তবে তাদেরকে ব্লগে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বটা কিন্তু আমাদেরই।

আমাদের সকলের উচিত হবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা। কারো কারো সাথে কারো কারো ফেসবুকে বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনও যোগাযোগ আছে। তাই আসুন আমরা সবাই চেষ্টা করি বুঝিয়ে শুনিয়ে তাদেরকে কিভাবে আবার ব্লগে আনা যায় আর ব্লগের হৃত গৌরবকে কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করা যায়।

নিয়মিত যাদেরকে বেশ অনেকদিন যাবত দেখছি না তাদের ব্যাপারে আপনারা হয়ত কেউ কেউ জানেন এবং অনুভব করছেন। তাদের কারো জন্য কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। আসলে এমন একটি পোস্ট দেব বলে বেশ কিছুদিন থেকে চিন্তাভাবনা করছিলাম। এই পোস্টটা আমার পক্ষ থেকে না হয়ে আরও কোন হেভিওয়েট ব্লগারের পক্ষ হতে হলে অনেক ভালো হত এবং আরও বেশি সাড়া ফেলতে পারত। কিন্তু আমাকে নিজাম (মন্ডল) ভাই গতরাতে এ ব্যাপারে একটা পোস্ট দিতে বলেছিলেন আর আমারও চিন্তাভাবনা ছিল, তাই এই লেখা। আশা করি আপনারা এ ব্যাপারে যথাযথ মতামত ব্যক্ত করবেন? উপরের ব্লগারদের মধ্যে কমপক্ষে দু'জন অভিমান করে চলে গেছেন। আরও অনেকে যাওয়া-আসার মধ্যে আছেন। বাকীদের কথা বলতে পারছি না।

সবার জন্য শুভকামনা।


বিলি ভাইয়ের ব্লগঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/Biliar

ভ্রমরের ডানা ভাইয়ের ব্লগঃ Click This Link

মলাসইলমুইনা ব্লগঃ Click This Link

নূর-ই-হাফসা ব্লগঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/hafsablog
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩১
৬৮টি মন্তব্য ৭০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×