অন্ধকার দর্পণে খোঁজো সু-অস্পষ্ট
হিমালয়শৃঙ্গ থেকে সুদূর সমুদ্রমুখি রুপালি ধনুকনদী,
স্রোতস্বিনীর কলধ্বনি এলোমেলো শীৎকারে অমিত্রাক্ষর ঐকতান
অনাদিকাল হতে প্রেমভ্রষ্টা পাপিনী আমি,
তুমি এক ধ্যানমগ্ন অচেতন ঋষি
আচম্বিক হিংস্রতায় জেগে ওঠো সম্পর্কের মহাকর্ষ টানে :
ভগের অঙ্কুর কিংবা ভগাঙ্কুর চেনো না তুমি
কিংবা অরগাজ্ম;
তথাপি তুমিই শেখালে কী করে শ্রেষ্ঠ সম্ভোগ হয়, যোগাসনে
সুদীর্ঘ সঙ্গমে অরগাজ্ম-অমৃত, অভিনব বিস্ময়
আজন্ম অস্পর্শিত, অদলিত, অথচ আযৌবন বুভুক্ষাক্ষুব্ধ, উন্মুখ
সুনিপুণ ভগাঙ্কুরের আমায় দিলে সুতীব্র লবণাক্ত সুখ।
তারপরও থাকে না কিছুই, স্মৃতি কিংবা সঙ্গমের সুখ দ্রুত যাই ভুলে
বুদবুদ রতিকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা পূর্বাপর খোঁজে নদীনালা
সবকিছু ফিকে হতে হতে
পুনর্বার
গ্রীবামূল, নাভিমূল লোভনীয় পনিরের মতো।
আকাঙ্ক্ষার রাতগুলো আধুনিক সঙ্গমে কাটে
মুঠোফোনে সেক্সচ্যাট, শৃঙ্গারের ধ্বনি বিনিময়
আকৈশোর প্রেমপ্রাজ্ঞ প্রেমিকের মন চুর নব নব প্রেমিকার
বিচিত্রিত অন্বেষার নেশায়।
ভাগ হয় ভালোবাসা, তুমিও নারীতে নারীতে প্রত্যহ প্রত্যূষের আগে
অতলান্ত রাত জেগে অপেক্ষায়, ক্ষুধায় আর কামনার দুর্মর কাঙ্ক্ষাবানে ভেসে।