আজ অবধি সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনীর মৃত্যু হয়েছে ১৪ দিনে; এখনো আইডিএফ ভেতরে যায়নি। গাজার ভেতরে ৪০ হাজার হামাস সদস্য থাকার সম্ভাবনা; এদের থেকে ৫ হাজার যদি যুদ্ধে নিহত হয়, সাথে যদি ২/৩ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়, মৃতের সংখ্যা ১২ হাজারের উপরে চলে যাবে। ২০৩ জনকে উদ্ধারের জন্য এত মানুষের প্রাণ হারানোকে কেহ কেন বন্ধ করতে পারলো না? এই হত্যাকান্ড বন্ধ করার দায়িত্ব ছিলো আরবদের।
ইসরায়েলের হিসেবে মতো ২০৩ জন ইসরায়েলী নাগরিক হামাসের হাতে বন্দী আছে; সংখ্যাটা সঠিক না'হওয়ার সম্ভাবনা আছে; এবং ২০৩ সঠিক হলেও, বয়স্ক কয়েকজনের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৭ই অক্টোবর, ইসরায়েলের ভেতরে ১৩০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে মনে হয় না; মনে হয়, ইহুদীরা এখানে মিথ্যা বলছে।
আইডিএফ গতকাল ভেতরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো; মনে হয়, তারা এখনো আপোষের মাধ্যমে বন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা করছে। আপনারা যারা গত ৬০ বছরের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যাকে সঠিকভাবে বুঝেননি, এবার চেষ্টা করলে উহা বুঝতে পারবেন। বাইডেন গতকাল ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলকে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য করা হবে; ঠিক সমপরিমাণ ডলার আসবে আমেরিকান ইহুদীদের থেকে। বাইডেন গাজার জন্য দিয়েছে ১০০ মিলিয়ন।
গত ১৮ তারিখে আরবরা যদি বাইডেনের সাথে বসে যুদ্ধের মধ্যস্হতা করতো, কমপক্ষে ৩/৪ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে পারতো। আরব দেশগুলো চেষ্টা করলে আইডিএফ'এর প্রবেশ ২/১ সপ্তাহ ঠেকাতে পারতো; তারা বন্দী ইহুদীদের মুক্ত করার চেষ্টা করতে পারতো। হামাসের সাথে প্রায় ৪০ হাজার পরিবার যুক্ত, এসব পরিবারের কি হবে, এরা আজীবন কাকে সমর্থন করবে? গাজাকে হামাসমুক্ত করতে গিয়ে যেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, আরব দেশগুলো মধ্যস্হতা করলে কম সমস্যার মধ্য দিয়ে করতে পারতো, সাথে সাথে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে পারতো।
মিশর আজকেও বর্ডার খোলেনি; জাতিসংঘের সেক্রেটারী এখন মিশরের বর্ডারে, ট্রাকগুলোর পাশ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে; কিন্তু জেনারেল সিসি ১ পায়সার দামও দিচ্ছে না; ঠিক ১৯৪৮ সালে, মিশরের বাদশাহ ও সেনাবাহিনী জাতিসংঘের কথাকে ১ পয়সার দাম দেয়নি।