somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনা মোকাবেলায় মানুষের জন্য মানুষের পাশে 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন'

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বলছিলাম স্বপ্নবাজ একজন মানুষের হাত ধরে এগিয়ে আসা স্বপ্নবাজ একদল তরুনের কথা।বলছিলাম বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কথা।এই দুঃসময়ে নিরবে নিভৃতে সঠিক পদক্ষেপগুলি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যেমন ছিল শুরু থেকেই।কিশোর কুমার দাশের হাত ধরে তার অনুদানেই ২০১৩ সালে গড়ে উঠেছিল প্রতিষ্ঠানটি।একদল আত্মত্যাগী কর্মঠ তরুন মানুষের কল্যানে বাড়িয়ে দিয়েছিল তাদের সাহায্যের হাত।কিশোর কুমার দাশের অর্থ আর এই তরুনদের সেচ্ছাশ্রম এই দুই জিনিসকে পুঁজি করে শুরু হয়েছিল ব্যাতিক্রমধর্মী এই প্রতিষ্ঠান। তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের শিক্ষা দিতে নারায়ণগঞ্জ এর স্টেশনের ধারে শুরু হয়ে আজ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এর শাখা।এখন সমাজের অনেক শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের অনুদানে চলছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

ফেসবুকে 'এক টাকায় আহার' নামের এক ব্যাতিক্রমী আয়োজন দেখে বছর দুয়েক আগে খুব ভাল লেগেছিল।



এখানে মূলত একটাকার বিনিময়ে একবেলা আহার করানো হয় তৃণমূল শিশু এবং মানুষকে।একটি টাকা এখানে ধরে রাখে দুস্থ মানুষের আত্মসম্মান।বাজার, রান্না, বিতরন সবকিছুই করে একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুণতরুনী।
ব্যাতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগকে সম্মান না জানিয়ে কোনো উপায় নেই।

করোনা আক্রমণ শুরু হওয়া থেকেই তাদের সময়োপযোগী কার্যক্রম চোখে পড়েছে।মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরন থেকে শুরু করে,রাস্তা ও স্টেশনগুলোতে জীবানুনাশক ছিটানো,দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন কোনো কিছুই বাদ নেই।











এদের কল্যাণদৃষ্টি থেকে রাস্তার পশুও বাদ যায়নি



নিরবে নিভৃতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে তারা।আপনি ঠিক দুস্থ নন তবে নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত।এই দুঃসময়ে সাহায্য আপনারও দরকার কিন্ত কাওকে বলতে পারছেন না।আপনার দুয়ারেও হাজির হচ্ছে তারা।না, এখানে আপনাকে মাথা নিচু করে দাঁড়াতে হচ্ছে না। কেউ দানের গর্বে গর্বিত হয়ে আপনার দান গ্রহনরত ছবি তুলে নিচ্ছে না।






দেশের বিভিন্ন এলাকার চাষীভাইদের থেকে ট্রাক ভর্তি করে কাঁচা সবজি এনে শহরের বিভিন্ন জায়গাতে ঢেলে রেখে যাচ্ছে তারা।সেই সাথে থাকছে একটি নোট।আপনি যেই হন।প্রয়োজন অনুসারে খাবার নিয়ে যেতে পারবেন সেখান থেকে।এতে মানুষের প্রয়োজন যেমন মিটে যাচ্ছে তেমনি চাষীদের জীবন বাঁচছে।





আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিদ্যানন্দের সমস্ত দাতা এবং স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই এই দুঃসময়ে তাদের শুভবোধ আর সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।আমাদের যেমন এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানা দরকার তেমনি মানুষকে জানানো দরকার।আমরা অনেকেই ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে মানুষকে সাহায্য করতে চাই কিন্ত ভরসা করার মত লোক বা মানুষের কাছে পৌঁছানোর পথ খুঁজে পাই না।বিদ্যানন্দ দাতা আর গ্রহীতার মাঝে সেই সেতু হয়ে দেখা দিয়েছে।আমরা চাইলে আমাদের অনুদান বিকাশ করতে পারি তাদের নাম্বারে।বিকাশ এপ
এ বিদ্যানন্দে অনুদানের সরাসরি একটা জায়গা আছে। সপ্তাহে যদি বিশ টাকাও সকল বিকাশ ব্যবহারকারী দেয় তাতেও কিন্ত অনেক ফান্ড তৈরী হয়ে যাবে।আসুন অল্প করে হলেও আমরা এসময়ে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াই।

তাদের কাজ সম্পর্কে জানতে তাদের ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখতে পারেন।ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন ভাল কাজের প্রচারের ও মানুষকে ভাল কাজে উৎসাহ দানের ছবি কেমন হওয়া উচিৎ। সহজেই পার্থক্য করতে পারবেন চলমান পরিস্থিতিতে আত্মপ্রচারের ছবিগুলোর থেকে।


বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এই লিংক থেকে
লিংক

ছবিসূত্রঃ বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজ
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×