somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ সেতু

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এক
ফরিদের আজ মনটা কেমন যেন করছে।কাজে কিছুতেই মন বসতে চাইছে না।সাতক্ষীরার মানুষ সে কিন্ত ঢাকায় স্বল্প বেতনের চাকুরী করে।বাড়িতে ছোট ছোটো দুইটি ছেলেমেয়ে। আজ মেয়েটির জন্য মন খুব উতালা হয়ে আছে।
দেশের বাড়িতে পাঁচটি মানুষ।অল্প বেতনে কোনোমতে তাদের খরচ চলে।ঢাকায় এনে তাদের ভরনপোষণ করার মতো তার ক্ষমতা নেই।অথচ মন সারাক্ষণ বাড়িতে পড়ে থাকে।প্রতি সপ্তাহে বাড়ি যাওয়াটাও সম্ভব হয়ে ওঠে না।

মিলি বুঝতে পারছে না কি করবে।তার মেয়েটার জ্বর দুদিন হলো।জ্বরের ঘোরে বাবার নাম ধরে ডাকছে।অথচ বাবাকে কাছে পাবে সে উপায় নেই।বেসরকারি চাকরি। বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে বাসে উঠলে পৌঁছাতে পারে গভীর রাত্রে।ফেরীতে জ্যাম বেশি থাকলে পৌঁছাতে ভোর হয়ে যায় ফরিদের।শনিবারে অফিস ধরতে গেলে শুক্রবারের বিকেলের পরই রওনা দিতে হয়।
এত অল্প সময়ের জন্য প্রতি সপ্তাহে আসাটা পোষায় না।লোকটার শরীরটাও দূর্বল হয়ে গেছে অনেক।সারা সপ্তাহ অফিস করে এত লম্বা জার্নি করতে গেলে সে কাহিল হয়ে যায়।মিলির বড় মায়া লাগে।মেয়েটা বাবা বাবা করে অস্থির।ছেলেটার বয়স দুবছর হলো সে বাবাকে চেনে না।চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে কোলে নিতে গেলে কেঁদে কেটে একাকার হয়।শাশুড়ির বয়স হয়েছে তিনিও ফরিদের পথ চেয়ে থাকেন।কিন্ত সে মাসে একবারের বেশি আসতে পারেনা।কি ভালোই না হতো যদি ফরিদ প্রতি সপ্তাহে একবার বাড়িতে আসতো।এতগুলো তৃষিত হৃদয় তার আগমনের পথ চেয়ে থাকে।

দুই
বশির সাহেব রিটায়ার করেছেন কয়েক বছর হলো।যশোরের মফস্বল এলাকায় মনের মতো একটা বাড়ি তুলেছে। গাছগাছালি লাগিয়েছেন তিনি তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে।কিছু মুরগী, কিছু কবুতর পেলেছেন।বাগানে খরগোশ রেখেছেন কিছু। এক ছেলে লন্ডন থাকে,মেয়ে কানাডায়।ইচ্ছা ছিলো নিরিবিলিতে জীবনের বাকি দিনগুলি কাটিয়ে দেবেন।হঠাৎ করেই গত বছর তার স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়লো। কেমোথেরাপি থেকে শুরু করে সবই করানো হয়েছে।মানুষটা এখন ভালোর দিকে তবে প্রতিমাসেই চেকাপ করাতে হয়।প্রয়োজনে দুএকদিন এডমিট থাকতে হয় হসপিটালে।

এখানেই তিনি পড়েছেন মহা ঝামেলায়। নিজেদের গাড়িতে করে গেলেও ফেরীঘাটের জ্যাম আর এতটা রাস্তার ধকল সইতে পারা খুব কষ্ট তার স্ত্রীর জন্য।যমুনা সেতু দিয়ে ঘুরে গেলেও অনেক সময় লাগে।।শরীরটা তার এখনো রীতিমতো দূর্বল। বেশিরভাগ সময় শুয়েই কাটান।একজন লোক সার্বক্ষনিক দেখভাল করে।চেকাপ না করালেও সমস্যা।এসব রোগীর ক্যান্সার যেকোনো ফাঁকে ফিরে আসতে পারে বলে ডাক্তার বার বার হুশিয়ার করে দিয়েছে।এদিকে প্রতিমাসে আসা যাওয়ার ধকল সহ্য করে স্ত্রীর যে অবস্থা হচ্ছে তা দেখলে আর সহ্য করতে পারেন না।ছেলেমেয়েরা অনেকবার বলেছে ঢাকায় বাসা নিতে।ছোট ছেলেটা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ছে।সেও রাগ করে।কিন্ত কেবল গুছিয়ে বসেছেন এখানে। কিভাবে আবার ঢাকায় বসতি করবে?দু এক মাসের ব্যাপার নয়।বছর বা কয়েক বছর এমন ফলোআপ করতে হতে পারে।তার স্বামী স্ত্রী কেউই ঢাকার বদ্ধ জীবন সহ্য করতে পারেন না।অগত্যা তার স্ত্রীকে এই জার্নির ধকল সহ্য করতে হচ্ছে।প্রতিবার জার্নির সময় স্ত্রীর বিবর্ন চেহারার দিকে তাকিয়ে তিনি মনে মনে প্রার্থনা করেন যেন পরম দয়ালু আল্লাহ একটা সুব্যবস্থা করে দেয় যাতে এত কষ্ট আত সহ্য করতে না হয় তাকে।

তিন
ফরিদপুরের শামীমা আক্তার দ্রুত হাত চালাচ্ছেন।পেঁপেঁ দিয়ে রান্না শিং মাছের ঝোল একটা বাটিতে ঢেলে অল্প মসলায় রান্না করা দেশি মুরগির মাংস আরেক বাটিতে ঢেলে নেয়।রমিজ ব্যাপারির বড় ছেলে আজকে ঢাকা যাবে।তার হাতে খাবারগুলো দিয়ে দিতে হবে।ছেলেটা লাফাঙ্গা। ঠিকমতো পৌঁছে দেবে না নিজে ই খেয়ে বসে থাকবে তার হদিস নাই।তাও সে নিরুপায়।

তার বড় মেয়ে এবার মেডিকেল পরীক্ষা দেবে।কোচিং-এ ভর্তি হয়েছে ঢাকায়।মেসে থাকে।গত মাসে তার জন্ডিস ধরা পড়েছে।মেয়েটা কিছুই মুখে দিতে পারেনা।তার উপর মেসের তেল মসলা দিয়ে রান্না খাবার খাওয়া বারন।

গত সপ্তাহে গিয়ে একটা রাইস কুকার কিনে দিয়েছে সে।তাতে কলা সেদ্ধ,পেঁপে সেদ্ধ করে কোনোমতে উর্মি খায়।এসব মুখে রোচেনা বলে অনেক সময় না খেয়ে কাটায়।দূর্বল শরীরে রাঁধবে কিভাবে?তাছাড়া পড়াশোনাও আছে।

এদিকে শামীমা আক্তারে রাতের ঘুম হারাম।বহু কষ্টে মেয়েকে এতদূর নিয়ে গেছেন।মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেলে এতদিনের কষ্ট তার সার্থক হবে।মেয়ের বাবা কাতারে থাকে।কিছু টাকা পাঠিয়ে আর দু চার বছর পর পর দেশে এসে একটা করে বাচ্চা দিয়েই সে তার দায়িত্ব পালন শেষ করে।এদিকে বাড়িতে পঙ্গু শাশুড়ি, দুইটা ছোট ছেলেমেয়ে। এদের রেখে উর্মির কাছে যেয়ে থাকতেও পারছেন না শামীমা। ননদকে ধরে একটা সপ্তাহ মাত্র থেকে মেয়ের দেখভাল করেছেন।যদি তিনদিন অন্তর ঢাকা গিয়ে কিছু খাবার দিয়ে আসতে পারতেন তবে ভালো হতো। তার শরীরে এখনো অনেক জোর।জার্নির ধকল তার সংকল্পের কাছে কিছুনা।কিন্ত তিনি হেরে যাচ্ছেন সময়ের কাছে।যদি দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যেত তো ছোট গুলোকে কারো দায়িত্বে রেখে তিনি সপ্তাহে দুদিন মেয়েকে দেখে আসতেন।রোগে ভুগে আর না খেয়ে দূর্বল মেয়েটা যদি ভালো কোথাও চান্স না পায় তাহলে নির্ঘাত ওর বাবা জোর করে উর্মির বিয়ে দিয়ে দেবে কোনো অজায়গায়। শামীমা কিছুতেই চায়না তার বাচ্চাদের পরিনতি তার মতো হোক।কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার কাছে সে অসহায় হয়ে পরে।
চার
লাবনী হাতে মেহেদী লাগাচ্ছে জানালার ধারে বসে।মানুষটা খুব মেহেদী পছন্দ করে।নতুন একটা শাড়ি সে ভাঁজ খুলে রেখেছে,সন্ধ্যার পর গোছল সেরে পড়বে।আজ তার মনে খুব আনন্দ হচ্ছে।গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে সে আনমনা হয়ে যায়।
সজীব ছোট ব্যাগটা কাঁধে ফেলে তারাতারি বাসে উঠে বসে।ছোটো ব্যাগটা জিনিসে ঠাঁসাঠাসি। সবার জন্য উপহার আছে ব্যাগ।বিশেষ করে তার ময়না পাখিটার জন্য।

নারায়ণগঞ থেকে যাত্রা করে এই বাস ঢাকা থেকে বের হতেই সন্ধ্যা পেড়িয়ে যাবে।তারপর সাভার মানিকগঞ্জ পেড়িয়ে ফেরীঘাট।ফেরী এক দুই ঘন্টার মধ্যে পার হতে পারলে কপাল ভালো নয়ত কতক্ষন লাগবে বলা মুশকিল। ফেরী পাড় হয়ে রাজবাড়ি, যশোর পেরিয়ে কতক্ষনে খুলনা পৌঁছাতে পারবে কে জানে।


নতুন বিয়ে হয়েছে তাদের।কিন্ত দুজনের ভালো করে সময় কাটানোর সুযোগ হয়নি।গার্মেন্টসে চাকরি করলে ছুটি অতটা পাওয়া যায়না।এদিকে লাবনীর জন্য মন পড়ে থাকে খুলনায়।প্রথম প্রেমের যে উন্মাদনা তার আস্বাদন করা সম্ভব হয়না ভালো করে।

লাবনী রুপালি পাড়ের লাল শাড়ি পড়েছে।ঠোঁটে লিপস্টিক, চোখে কাজল।গায়ে লাগিয়েছে সুগন্ধি। এখন বাজে রাত বারোটা। ভাগ্য ভালো থাকলে সজীব বারোটা থেকে একটার মধ্যেই এসে পড়বে।আর খারাপ থাকলে কয়টা বাজবে তার ঠিক নেই।একবার সকাল এগারোটা বেজেছিলো তার পৌঁছাতে।
লাবন্য বসে থাকে খাটের উপর পা তুলে।ভাবে এবার সজীবকে বলবে ঢাকায় একটা বাসা দেখতে।তারপর কিভাবে তা সাজাবে এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায়।যদিও জানা আছে এক্ষনি তা সম্ভব নয়।তাদের বিয়ে এখনো উঠিয়ে নেয়া হয়নি তাই সে বাবার বাড়িতেই আছে।আগামী রোজার ঈদে অনুষ্ঠান করা হবে।তাছাড়া সে এখানে কলেজ থেকে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে।
রাত বাড়ে।বাড়ে অপেক্ষার প্রহর।লাবনীর চোখের কাজল লেপ্টে যায়,সুগন্ধি ফিকে হয়ে যায়।চাঁদের আলোটাও যখন ফিকে হতে শুরু করেছে তখন শোনা যায় সেই কাঙ্খিত পদশব্দ। ভোর চারটা!

এত অল্প সময়ের দেখা।ক্ষনিকের সঙ্গলাভ।কারোরই মনের তৃষ্ণা মেটে না।শরীর তাপিত মরুভূমির মত হয়ে থাকে।গৃহস্থবাড়িতে ভোর হলে দৈনন্দিন কার্যক্রম শুরু হয়।তখন আর ঘরে দোর দিয়ে বসে থাকা যায় না।তাছাড়া এটা লাবনীর বাবার বাড়ি।লজ্জায় সে কাওকে মুখ দেখাতে পারেনা এইদিনগুলোতে।সজীব নাস্তা সেরে রওনা দেয় তার নিজ গ্রামে। সেখানে দুপুরে খেয়েই আবার তাকে ফিরতি যাত্রা করতে হবে।

গ্রামের রাস্তা দিয়ে ব্যাগ কাঁধে একটা তরুন হন হন করে হেঁটে যেতে থাকে।সে একবারও পেছনে তাকায়না ঐ মায়াবী নয়নে আঁটকে পড়ার ভয়ে।তরুণী লাল শাড়ির আঁচলে চোখের জল আটকায়।তার ভীষণ অভিমান হয়।কার উপর এ অভিমান কে জানে?

এবার যাওয়ার আগে সজীব বলেছে তার মেহেদীর রঙ ফিকে হওয়ার আগেই আবার আসবে।আসবে না ছাই!এসেই বা লাভ কি এতটুকু সময়ের জন্য?

পাঁচ
সাজিদ আর নিশিতা উচ্চ শিক্ষা শেষে কয়েক বছর হন্যে হয়ে চাকুরী খুজেছে। নানা জটিলতায় নিরাশ হয়ে তারা নিজ জেলায় ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে।সাজিদ অনেকটুকু জায়গা জুড়ে ফল আর সবজির বাগান করছে।সাধারণ সবজি বা ফল না।নতুন ধরনের কিছু।গত বছরও তার ক্ষেতে স্ট্রবেরি আর ড্রাগন ফ্রুটের ভালো ফলন হয়েছে।এসব ফল মাগুরার লোকাল মার্কেটে তেমন চলেনা কিন্ত ঢাকার দিকে ডিমান্ড প্রচুর।দামও ভালো পাওয়া যায়।কিন্ত যাতায়াতের অসুবিধার জন্য বেপারিদের কাছে অনেক কম দামে এগুলো দিয়ে দিতে হচ্ছে।সাজিদের মনেহয় যদি সরাসরি যাতায়াত করা যেত তাহলে সে অল্প খরচেই ফ্রেস সবজি সুপারমার্কেট গুলোতে দিতে পারতো।তাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কিছু দিতে হতো না।

নিশিতা ছোট আকারে কেক,দেশি পিঠা ও অন্যান্য মুখরোচক খাবারের বিজনেস করে।তাকে গ্রাম্য কিছু মেয়ে সাহায্য করে।তার বিজনেসটা বাড়ানোর ইচ্ছা কিন্ত স্বামীর মতোই তারও হাতপা বাঁধা। যদি দু তিন ঘন্টায় ঢাকা পৌঁছানো যেত তা হলে নিজেদের সাথে সাথে গ্রামের লোকেরও উন্নতির চেষ্টা তারা করতে পারতো।

ছয়
সোহা পিঠ টান করে সোজা হয়ে বসে আছে।তার সমস্ত নার্ভ সজাগ। লঞ্চ চলছে।বাইরে নিকষ অন্ধকার। ভয়ে তার বুক দুরুদুরু করছে।এর আগে সে কখনো একা একা জার্নি করেনি।বাবা সাথে থাকত।বাবাই তাকে রোকেয়া হলে পৌঁছে দিয়ে আসতো বারবার। নিয়েও আসতো বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হলে।

বাবা নেই আজ তিন মাস।হার্ট এটাক হলো সন্ধ্যায়।স্থানীয় ডাক্তার রেফার করলেন ঢাকায়।নিতে নিতে রাস্তাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।অথচ পথ এত দূর না হলে সময় মত ইনজেকশনটা দেয়া গেলে তিনি নাকি বেঁচে যেতেন।ম্যাপে দেখতে ঢাকা থেকে বরিশাল কত কাছে।অথচ বাস্তবে সাত সমুদ্র তের নদীর মত দূর বলে মনে হয়।

বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে সোহার মা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে।সোহা তাই মাঝে মাঝেই এসে মাকে দেখে যায়।প্রতিবারই তার মনে হয় জান হাতে করে বসে আছে।গতবার বাসে আসতে গিয়ে অনেক রাত হয়ে গেল।তারপর ঝড়বৃষ্টি। কি ভীষণ বিপদে সে পড়েছিলো তা সেই জানে।বাবা-মায়ের দোয়া ছিলো বলেই বেঁচে গেছে বড় দূর্ঘটনা থেকে।এবার তাই লঞ্চে উঠেছে।লঞ্চ সকালে গিয়ে বরিশাল পৌঁছাবে।একা একা মোটেও স্বস্তি পাচ্ছে না সে।এদেশে একাকি মেয়েরা দিনেই নিরাপদ না,রাতে তো যেকোনো কিছু ঘটতে পারে!

আসমা বেগম রাত জেগে বসে আছেন জায়নামাজে।ক্রমাগত দোয়া করে যাচ্ছেন- আল্লাহ আমার মেয়েটা যেন ভালোভাবে এসে পৌঁছাতে পারে।তুমি তার সহায় হইয়ো।তার শরীরটা ভালো থাকে না আজকাল।টেনশন করা ডাক্তারের নিষেধ। তবুও এখন তার ঘাড়ের পেছনের রগ টনটন করছে ব্যথায়।প্রেসার উঠেছে অনেক।ঔষধ খেয়েও কাজ হচ্ছে না।আজেবাজে চিন্তা ভর করছে।এদেশে মেয়েদের মায়েরা স্বস্তিতে থাকতে পারেনা।কিন্ত অন্তত যাতায়াতটা যদি সহজ হতো।ইশ! সোহার বাবাও হয়ত সঠিক চিকিৎসা পেয়ে বেঁচে যেতেন।

সাত
লেখক তার কলম রেখে উঠে পড়লেন। রাত অনেক হয়েছে।আজকের রাত পেরুলেই একটা বিশেষ দিন।সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা ট্রল আর নানা রকম নেতিবাচক স্ট্যাটাসের ভীড়ে তার লেখাটা কোথায় হারিয়ে যাবে।কপালে হয়ত জুটবে ভার্চুয়াল নাগরিকদের ভার্চুয়াল জুতো,সুমধুর বাক্যবাণ।

তিনি শুধু জানেন কালকের পর ফরিদের মেয়েটা প্রতি সপ্তাহে বাবার দেখা পাবে।বশির সাহেব তার স্ত্রীকে নিয়ে সহজেই চেকাপে যেতে পারবেন।শামীমা তার অসুস্থ মেয়েকে নিজের হাতের খাবার দিয়ে আসতে পারবে।
সজীব সত্যিই লাবনীর কাছে ফিরতে পারবে তার মেহেদীর রঙ ফিঁকে হয়ে যাওয়ার আগে।সাজিদ নিশিতার মত উদ্যোগী যুবক-যুবতী নিজের সাথে সাথে এলাকার অনেক লোকের ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে পারবে।

আসমা বেগমদের দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও কমবে।সোহার বাবার মত অনেক বাবাই সুচিকিৎসার পেয়ে বেঁচে ফিরবেন।
বিশ্বাস করুন আপনার জন্য যদি নাও হয় এইসব মানুষের জন্য কাল ২৫ জুন একটা বিশেষ দিন।



ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ২:১৮
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×