somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সনেট কবি
সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

পাবলিকের মোচড় ও চাঁদের জোছনা , সস-২

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পাবলিক মোচড় দিলে ক্ষমতাবানও অক্ষম হয়ে পড়ে, কোটা সংস্কার দাবীতে সাধারণ ছাত্ররা সেটা আরেক বার দেখিয়ে দিল। সরকার আর সবাইকে কুচ পরোয়া নেহি বলে বলুক পাবলিককে সে কথা না বলুক। কি সাংঘাতিক! ছাত্রদেরকে মতিয়া রাজাকার বলেছেন, এত বড় গালি তারা হজম করে কেমন করে? হতে পারে তারা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নয় তাই বলে রাজাকারও নয়।দল ক্ষমতায় আনে আবার দল ক্ষমতা থেকে বিতাড়নের কারণ হয় সে জন্য সরকারকে দল সামলাতে পারতে হবে। সরকার দল সামলাতে না পারলে দেশ সামলাবে কেমন করে? এত দিন যারা পিঠ পেতে মার খেয়েছে সুযোগ পেলে তারা দৈত্যে পরিণত হবে, এ বিষয়টা সরকারের মাথায় থাকতে হবে।লালন বলেছেন, সময় গেলে সাধন হবে না, কাজেই সময় থাকতে সরকারের করণীয় ঠিক করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিকের অসন্তোষ বাড়ছে। অসন্তোষের এ স্রোতগুলো একত্র হলে সরকার ভেসেও যেতে পারে, সে জন্য সরকারের শুধু নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে হবে না।কারণ নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে স্রোত যখন বইতে শুরু করবে তখন এ স্রোত থামাবে কে? যারা মার খেয়েছে তাদের ভিতর প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে, সে আগুন দাবানলে পরিনত হলে ফায়ার ব্রিগেডেও কাজ নাও হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বুঝালেন ৭০% সরকারি চাকুরী যোগ্যতায় হয় কিন্তু ছাত্ররা ৯০% সরকারি চাকুরী যোগ্যতায় চায়।এখন প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নয় বরং বতিল করার কথা বলছেন। তারচে বরং ছাত্রদের কথাই থাক। নাই মামার চেয়ে কোটার কানা মামা থাকুক।

জনাব চাঁদগাজী বলেছেন দেশকে বেকার মুক্ত করা সম্ভব। তাঁর থেকে ফর্মূলা নিয়ে দেশকে বেকার মুক্ত করার চেষ্টা করা হোক। বেকারত্বের কারণে ছেলেরা বিয়ে করছে না, মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না, কন্যা দায় গ্রস্থ্য পিতার দায় মুক্তি ঘটছে না। এ ক্ষেত্রে অচলায়তন তৈরী হচ্ছে। সরকার এ বিষয়ে ভাবনাহীন থাকতে পারে না। জনাব চাঁদগাজীকে টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী বানানো যায়। একজন ব্লগার মন্ত্রী হলে ব্লগাররা তাদের বুদ্ধি ব্লগে কলসি উপুড় করে ঢালবে। ফলে জাতি আরো বেশী বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে।

কারো ঘটে বুদ্ধি না থাকলে সে দুই ঘট বুদ্ধি ধার নিতে পারে। তাই বলে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে বুদ্ধিহীনেরমত কাজ করলে চলে না।

এত্তগুলা ছাত্র-ছাত্রী মিলে সরকারকে একটা ফ্রি পরামর্শ যখন দিয়েই ফেলেছে তখন সরকারের আর কথা না বাড়িয়ে সেটা বরং মেনে নেওয়াই শ্রেয়। কারণ এগুলোতো আমাদেরই ছেলেপিলে। ওদের মনভাবটাওতো আমাদের বুঝা দরকার। কাজেই সরকারের আর অহেতুক অভিমান নয়।

আমার এক ছাত্র গতরাতে ফোন করে বললো, স্যার, চাইলাম ফুল, সরকার দিল বাগান।কিন্তু সেটা রাগ হয়ে না দিয়ে খুশী মনে দিলেই ভালো হতো।

সভার শুভবুদ্ধিততে দেশ ও জনতার কল্যাণ হোক ।

# ক্ষমতার ঘট

ঝাঁকে ঝাঁকে আসে তারা রাস্তার উপর
চাকুরী বৈসম্য দূর ন্যার্য কামনায়
খালি হাতে ঘরে তারা ফিরতে না চায়
অনঢ় মনেতে রোখে যত আসে ঝড়।
দির রাত কেটে যায় কাঁপিয়ে শহর
সরকার ভাবে বসে হয়ে নিরুপায়
কি ভাবে এ ঝড়টারে রুখে দেয়া যায়
বলে বাপু হেথা কেন? ঘরে বসে পড়!

তারা নাহি শুনে কথা স্রোতে বয়ে চলে
দাবায়ে রাখতে পারে নেই কোন বাঁধ
সম্মুখে সকল রুখে তারা কথা বলে
দাবী পূরণে ফিরবে মনে সুধু সাধ।
সরকার ভাবে এ যে কি জ্বালা উদ্ভট
আন্দোলনে কেঁপে উঠে ক্ষমতার ঘট।


# আয়ত অচল

হতচ্ছাড়া দেশটার নেই কোন গতি
বেকারে বেকারে কত বেড়েছে বিকার
তরুণেরা হয়ে কত কষ্টের শিকার
পায়না তালাসে কোন বাঁচার সম্বল।
কত মনে সহ্য হয় এই অধঃগতি
মাথার উপরে মেঘ জমেছে চিন্তার
নিত্য দিন পেয়ে তারা তিক্ত উপহার
সৃষ্টি হয় মন মধ্যে আয়ত অচল।

ছেড়েদে মা কেন্দেঁ বাঁচি চারি দিকে ‘নেই’
কোথা গেলে পাবে কিছু মনতুষ্টি জন্যে
চারিদিকে দেখা যায় অন্ধকার সেই
মরে যেতে মন চায় সে যার সৌজন্যে।
ঘর ছেড়ে নিত্য তারা ফিরে আসে বাড়ি
হতাশা তাদের মারে সর্বদা আছাড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×