মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী দল অথবা অসম্প্রদায়িক দলের আগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি রাজনৈতিক দল যা ভোটের রাজনীতি করে। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অসম্ভব চতুর দল যার প্রতিটি পদক্ষেপ রাজনৈতিক ফায়দার জন্য। যুদ্ধাপরাধীর বিচার আওয়ামীলীগ অনেক আগেই করতে পারতো যা এখন করার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা।
আর জামাত নিষিদ্ধের কথা বলছেন তো? সেটা আওয়ামীলীগ সেদিন করবে যেদিন তা করলে রাজনৈতিক ফায়দা হবে। আর কিছু না এইটাই আওয়ামীলীগ এর এইটাই আসল রূপ। যারা ভোটের জন্য সংবিধানের সবচেয়ে বড় শত্রু এরশাদকেও নিজের পুকুরে গোসল করতে দিয়েছে!
জামাত-বিএনপি যেমন ইসলামকে ব্যবহার করে ধর্মভীরু মুসলমানদের হাতে রাখতে চায় ঠিক তেমনি আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে মুক্তমনা দেশপ্রেমিকদের হাতে রাখতে চায়। এই দল অবশ্য ধর্মভীরুদের উপর থেকেও লোলুভ দৃষ্টি ফেলতে ভুলেনা!
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস বড় অদ্ভুত। সাম্ভাব্য সব কিছুই ঘটে গিয়েছে আমাদের ইতিহাসে। সব উত্থান পতনেই বাংলাদেশের মুক্তমনা মানুষগুলোর একমাত্র আস্থা ছিল এবং আছে আওয়ামীলীগের উপরে। কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থা খুব ভয়ঙ্কর।
বাঙালীর ডি.এন.এ. তে প্রতিহিংসা, লোভ আর বোকামি কমন উপাদান যার প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্পষ্ট। তবু খুঁটি নড়বড়ে হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের মুক্তমনাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। তাদের কাছে আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষা অনেক। আওয়ামীলীগ অনেকটা অবলা অশিক্ষিত নারীর কাছে মদখোর স্বামীর মত।
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় আমি নির্দ্বিধায় বলবো দুই দলের মধ্যে আমার ভোট আওয়ামীলীগই পাবে কারন দুইটা খারাপের মধ্যে বাছায় করার জন্য যখন আমরা বাধ্য তখন অপেক্ষাকৃত কম খারাপটাকেই সমর্থন দেওয়া উচিৎ কাওকে ভোট না দিলে আমার ভোট না দেওয়ার ফায়দা জামাত বিএনপি পাবে। কিন্তু আমি এইটা নিশ্চিত যে আজকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ আরেকটি দলের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে!
মুক্তচিন্তার জয় হউক...