নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না সৌরভ!এ কি করে সম্ভব! নিজের ডান হাতের বিশ টাকার নোটটার দিকে বিস্ফারিত চোখে চেয়ে আছে সে ।আরেকবার তাকাচ্ছে বামহাতে ধরা ঘামে ভেজা মোটামুটি ব্যবহৃত আরেকটি বিশ টাকার নোটের দিকে । থ হয়ে গেছে খাটের পাশের চেয়ারে বসে থাকা প্রিয়াংকাও ।একসময় হা করা গাল বন্ধ করে হাত বাড়াল স্বামীর ডান হাতে ধরা নোটের দিকে । চোখের কাছে তুলে ধরে ষাট ওয়াটের বাল্বের দিকে তাকিয়ে নিখুঁত ভাবে দেখা যাচ্ছে সরু, লম্বা দাগটা ,বাঘের মাথা জলছাপ,অসংখ্য কারুকাজ, নকশা,আর চশমাসহ বঙ্গবন্ধু ।উল্টোপিঠে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ । ভ্রু কুচঁকে তাকালো প্রিয়াংকা সৌরভের দিকে । চিন্তিত ভঙ্গিতে নোটটা নিয়ে কিনারা ঘষে দেখল সে দু আঙুলে । নিখুঁত!ড্যাম ব্যাংক নোট!
- কি করে হল?
-কি জানি!সহজ স্বীকারোক্তি সৌরভের ।
-তারমানে বলতে চাইছ বিশ টাকার নোটটা বাচ্চা দিয়েছে?
-আজব!তা কখন বললাম? পুরনো নোটটা দু হাতের তালুর মাঝে ঘষছিলাম কিছুক্ষন ধরে ।কিছুক্ষন পর দেখি খড়খড়ে শব্দ । অতঃপর একটা থেকে দুটো হয়ে গেল নোট ।
-কি মনে হয়?চালাতে পারবে এটা?
-আগে দেখি আরো হয় কিনা!নতুন নোটটা হাতে নিয়ে চোখ বন্ধ করে ঘষতে শুরু করল সৌরভ আবার । সেকেন্ড চল্লিশেকের মাথায় খড়খড়ে শব্দ যেন রসগোল্লা বর্ষন করল পতি পত্নীর কানে ।
-মাই ফুট! আর্তনাদ বেড়িয়ে এল প্রিয়াংকার গলা চিরে ।
-কি হল?
-ক্যান ইউ ইমাজিন? তুমি টাকশালের মেশিনে পরিনত হয়েছ ।কোন আলৌকিক ব্যাপার স্যাপার?
-সেরকম তো কিছু হয়নি । তবে একবার মোহছেন আউলিয়ার মাজারে এক দরবেশ বাবা বলেছিলেন সাতাশ বছর বয়সে আমি ধনবান হব ।
-গত সপ্তায় বার্থডে গেলনা তোমার?কততম ছিল?
-সেরকম একটাই হবে । গরিবের আবার বার্থডে সেলিব্রেশন!মুখ বাকাঁল সৌরভ ।
চলবে...................
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২